শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

হৃদরোগ থাকলে করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে, কী করবেন?

Image processed by CodeCarvings Piczard ### FREE Community Edition ### on 2016-04-03 14:52:17Z | |

প্রফেসর মামুনুর রশিদ ।।

হৃদরোগ থাকলে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে এমনটি দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তবে অহেতুক ভয় না পেয়ে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হৃদরোগ থাকলেও আপনি সুস্থ থাকবেন। আর যোগাযোগ রাখতে হবে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের সঙ্গে।

১. যাদের হার্টের পাম্প করার তুলনায় ক্ষমতা কম, তাদের শরীরে অক্সিজেন একটু কম যায়। কম থাকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও।

২. যাদের পেসমেকার বসেছে বা হার্টের একমুখী দরজা বা ভাল্ব পাল্টানো হয়েছে, তাদেরও সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি থাকে।

৩. অতিরিক্ত ওজন, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপানের অভ্যাস থাকলে ঝুঁকি বাড়ে।

৪. একাধিক রিস্ক ফ্যাক্টরের সঙ্গে হৃদরোগ থাকলে বিপদের আশঙ্কা বাড়ে।

হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবব্রত রায় জানান, করোনার সংক্রমণে শ্বাসনালি ও ফুসফুসের ওপরই চাপ বেশি পড়ে। অক্সিজেনের ঘাটতি হয়ে শ্বাসকষ্ট হয়। এতে হার্টের ওপর চাপ আরও বাড়ে। তাই মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই সাবধান হয়ে চলার কোনো বিকল্প নেই।

কীভাবে ও কতটা সাবধানতা জরুরি?

১ বাড়িতে কারও জ্বর-সর্দি-কাশি হলে তার থেকে দূরে থাকুন। আর বাড়ির বাইরে না যাওয়ার নিয়ম মেনে চলুন।

২. হাত ধৌত করতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এ ছাড়া শরীরচর্চা বন্ধ করবেন না। সম্ভব হলে ভোরে বা সন্ধ্যার সময় ছাদে হাঁটুন।

৩. যোগব্যায়াম ও ব্রিদিং এক্সারসাইজ করুন। প্রয়োজনে অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের কাছে জেনে নিন কী করতে হবে না হবে।

৪. অকারণে মাস্ক পরে বসে থাকার দরকার নেই।

হঠাৎ বুকে চাপ অনুভব করা, শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘুরে গেলে ও জ্ঞান হারালে হার্টের চিকিৎসা হয় এমন হাসপাতালে নিয়ে যান রোগীকে। যদি কোভিড সংক্রমণ হয়েও থাকে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

রাজনীতিতে নাম লেখাতে যাচ্ছেন সানিয়া মির্জা

হৃদরোগ থাকলে করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে, কী করবেন?

প্রকাশের সময় : ০৬:২৫:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০২০
প্রফেসর মামুনুর রশিদ ।।

হৃদরোগ থাকলে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে এমনটি দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তবে অহেতুক ভয় না পেয়ে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হৃদরোগ থাকলেও আপনি সুস্থ থাকবেন। আর যোগাযোগ রাখতে হবে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের সঙ্গে।

১. যাদের হার্টের পাম্প করার তুলনায় ক্ষমতা কম, তাদের শরীরে অক্সিজেন একটু কম যায়। কম থাকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও।

২. যাদের পেসমেকার বসেছে বা হার্টের একমুখী দরজা বা ভাল্ব পাল্টানো হয়েছে, তাদেরও সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি থাকে।

৩. অতিরিক্ত ওজন, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপানের অভ্যাস থাকলে ঝুঁকি বাড়ে।

৪. একাধিক রিস্ক ফ্যাক্টরের সঙ্গে হৃদরোগ থাকলে বিপদের আশঙ্কা বাড়ে।

হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবব্রত রায় জানান, করোনার সংক্রমণে শ্বাসনালি ও ফুসফুসের ওপরই চাপ বেশি পড়ে। অক্সিজেনের ঘাটতি হয়ে শ্বাসকষ্ট হয়। এতে হার্টের ওপর চাপ আরও বাড়ে। তাই মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই সাবধান হয়ে চলার কোনো বিকল্প নেই।

কীভাবে ও কতটা সাবধানতা জরুরি?

১ বাড়িতে কারও জ্বর-সর্দি-কাশি হলে তার থেকে দূরে থাকুন। আর বাড়ির বাইরে না যাওয়ার নিয়ম মেনে চলুন।

২. হাত ধৌত করতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এ ছাড়া শরীরচর্চা বন্ধ করবেন না। সম্ভব হলে ভোরে বা সন্ধ্যার সময় ছাদে হাঁটুন।

৩. যোগব্যায়াম ও ব্রিদিং এক্সারসাইজ করুন। প্রয়োজনে অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের কাছে জেনে নিন কী করতে হবে না হবে।

৪. অকারণে মাস্ক পরে বসে থাকার দরকার নেই।

হঠাৎ বুকে চাপ অনুভব করা, শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘুরে গেলে ও জ্ঞান হারালে হার্টের চিকিৎসা হয় এমন হাসপাতালে নিয়ে যান রোগীকে। যদি কোভিড সংক্রমণ হয়েও থাকে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিন।