সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ত্রানের তালিকায় ইউপি সদেস্যের পরিবারবর্গ : প্রতিবাদ করায় সাংবাদিককে হুমকি

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি||
বর্তমান করোনা ভাইরাসের সংকট মুহ‚র্তে সরকার অসহায় দিনমজুর,অসচ্ছল পরিবারে ত্রান সহায়তার হাত বাড়ালেও দেশের বিভিন্ন এলাকার চেয়ারম্যান ও মেম্বারাগন ত্রান সহায়তা ও নামের তালিকায় একের পর এক অনিয়মকে নিয়মে পরিনত করছে। অসহায় পরিবারের পরিবর্তে ত্রানে নামের তালিকায় মেম্বারের নিজে,মা,শাশুড়ী,শ্যালক,মেয়ের জামাইয়ের নাম যুক্ত করেছন। এর প্রতিবাদ করায় সাংবাদিককে দেখে নেবার হুমকি দিয়েছে মেম্বার।
আর এমনি ঘটনা ঘটেছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ৫নং বাদাঘাট ইউনিয়নে ৮নং ওয়ার্ড সরকারী ত্রান সহায়তার অগ্রাধিকার তালিকায়। এই তালিকা প্রকাশিত হলে এলাকায় তুলপাড় শুরু হয়েছে।
৮নং ওয়ার্ডটি জাংগাল হাটি,লামা শ্রম,রাজারগাও,ডালার পাড়,লাউড়েরগড় গ্রাম সমূহ নিয়ে গঠিত। আর ওয়ার্ড মেম্বার আঃ হক।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কায্যালয়ের তালিকা স‚ত্রে জানাযায়,সরকারি ত্রান সহায়তা জন্য আব্দুল হকের দস্তখতও শিলমোহর কৃত নামের তালিকায় ৪৮টি নাম রয়েছে এর মধ্যে মহিলা মেম্বার মনোয়ারা বেগমের জন্য বরাদ্দ ১০টি নাম। অবশিষ্ট ২৮টি নামের মধ্যে ১০জন তার নিজ পরিবারের।
তালিকায় উল্লেখিত ক্রমিক নং(৪) জরিনা খাতুন স্বামী মৃত সাদত আলী (তিনি মেম্বারের মা)ক্রমিক নং (৩৫) আঃ হক পিতা সাদত আলী(মেম্বারের নিজের নাম মোবাইল নম্বর সহজ অন্তর্ভুক্ত করেছে। একই পরিবারের ৩জনের নাম ক্রমিক ২৯তার শ্বাশুড়ি ক্রমিক নং ৩০ শ্যালিকা,ক্রমিক নং ২৪ শ্যালক ও ৩৭ নম্বর ক্রমিকে ওয়ার্ড নং ৯ এর বাসিন্দা অপর এক শ্যালকের স্ত্রী নাম ও ক্রমিক নং ১৬ মেম্বারের মেয়ের জামাই ৯নং ওয়ার্ড বাসিন্দা। ক্রমিক নং ৩১ আপন মামা শ্বশুর।
এছাড়া কিছু নামের সাথে পিতা কিংবা স্বামীর নামের মিল নেই। অসহায় লোকজন কর্মহীন লোকজন ােব সাথে বলেন,যেখানে অসহায় লোকজন কর্মহীন হয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে আরও সে কি না তাদের ন্যায্যতা নিয়ে ধোঁকাবাজি করেছে। সেই সাথে সরকারী সহায়তা আত্মসাৎ করার ফন্দি করতে নিজ পরিবারের সদস্যদের নাম তালিকায় রেখে। এর প‚র্বেও ভিজিএফ,ঘরসহ বিভিন্ন সহায়তা দেওয়ার কথা বলে টাকা অত্তস্বাধ করেছে বলেন অভিযোগ রয়েছে।
তালিকায় প্রকাশের পর সাংবাদিক আলম সাব্বির জানান,লাউড়েরগড় বাজােে শুক্রবার সন্ধায় একটি ফার্মেসীতে গিয়ে আঃ হক মেম্বারকে পেয়ে বলেন নিজের নাম বাদ দিয়ে অসহায় রলাকজনের চিন্তা করা উচিত। বর্তমান সময়ে সবাই বিপদে এক ঘরে ৩জনের নাম না দিয়ে দেখে শুনে দিলে কি হয়। এই কথা বলার পর মেম্বার আব্দুল হক অসদাচরন করেন। তখন উপস্থিত জনতা মেম্বারের অসদাচরনের প্রতিবাদ জানায়।
এবিষয়টি তাৎণিক ভাবে ইউএনও মহোদয় কে উক্ত মেম্বারের সম্মুখেই তার কর্মকান্ড সম্পর্কে অবহিত করি। তিনি অবাক হলেন এবং বিষয়টি ভালো ভাবে দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন। পরনেই আমাকে বাড়ি যাওয়ার পথে দেখে নেবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এবিষয়ে ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার আঃ হক বলেন,আমি আমার নিজের ও মা’র নাম দিয়ে ভুল করেছি। ইউএনও স্যার বলেছেন নাম কেটে দিতে আমি কেটে দিয়েছি। আর বাকীদের যাচাই করেন তারা পাওয়ার যোগ্য কি না।
সাংবাদিক কে হুমকির বিষয়ে বলেন,আমি কাউকে হুমকি দেই নি। ভুল বোঝা বুঝি হয়েছে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যনার্জি বলেন,এবিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদপে গ্রহণ করব।

 

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

জনপ্রিয়

সেপ্টেম্বরে আন্তধর্মীয় সংলাপ হবে বাংলাদেশে

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ত্রানের তালিকায় ইউপি সদেস্যের পরিবারবর্গ : প্রতিবাদ করায় সাংবাদিককে হুমকি

প্রকাশের সময় : ০৮:২৭:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২০
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি||
বর্তমান করোনা ভাইরাসের সংকট মুহ‚র্তে সরকার অসহায় দিনমজুর,অসচ্ছল পরিবারে ত্রান সহায়তার হাত বাড়ালেও দেশের বিভিন্ন এলাকার চেয়ারম্যান ও মেম্বারাগন ত্রান সহায়তা ও নামের তালিকায় একের পর এক অনিয়মকে নিয়মে পরিনত করছে। অসহায় পরিবারের পরিবর্তে ত্রানে নামের তালিকায় মেম্বারের নিজে,মা,শাশুড়ী,শ্যালক,মেয়ের জামাইয়ের নাম যুক্ত করেছন। এর প্রতিবাদ করায় সাংবাদিককে দেখে নেবার হুমকি দিয়েছে মেম্বার।
আর এমনি ঘটনা ঘটেছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ৫নং বাদাঘাট ইউনিয়নে ৮নং ওয়ার্ড সরকারী ত্রান সহায়তার অগ্রাধিকার তালিকায়। এই তালিকা প্রকাশিত হলে এলাকায় তুলপাড় শুরু হয়েছে।
৮নং ওয়ার্ডটি জাংগাল হাটি,লামা শ্রম,রাজারগাও,ডালার পাড়,লাউড়েরগড় গ্রাম সমূহ নিয়ে গঠিত। আর ওয়ার্ড মেম্বার আঃ হক।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কায্যালয়ের তালিকা স‚ত্রে জানাযায়,সরকারি ত্রান সহায়তা জন্য আব্দুল হকের দস্তখতও শিলমোহর কৃত নামের তালিকায় ৪৮টি নাম রয়েছে এর মধ্যে মহিলা মেম্বার মনোয়ারা বেগমের জন্য বরাদ্দ ১০টি নাম। অবশিষ্ট ২৮টি নামের মধ্যে ১০জন তার নিজ পরিবারের।
তালিকায় উল্লেখিত ক্রমিক নং(৪) জরিনা খাতুন স্বামী মৃত সাদত আলী (তিনি মেম্বারের মা)ক্রমিক নং (৩৫) আঃ হক পিতা সাদত আলী(মেম্বারের নিজের নাম মোবাইল নম্বর সহজ অন্তর্ভুক্ত করেছে। একই পরিবারের ৩জনের নাম ক্রমিক ২৯তার শ্বাশুড়ি ক্রমিক নং ৩০ শ্যালিকা,ক্রমিক নং ২৪ শ্যালক ও ৩৭ নম্বর ক্রমিকে ওয়ার্ড নং ৯ এর বাসিন্দা অপর এক শ্যালকের স্ত্রী নাম ও ক্রমিক নং ১৬ মেম্বারের মেয়ের জামাই ৯নং ওয়ার্ড বাসিন্দা। ক্রমিক নং ৩১ আপন মামা শ্বশুর।
এছাড়া কিছু নামের সাথে পিতা কিংবা স্বামীর নামের মিল নেই। অসহায় লোকজন কর্মহীন লোকজন ােব সাথে বলেন,যেখানে অসহায় লোকজন কর্মহীন হয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে আরও সে কি না তাদের ন্যায্যতা নিয়ে ধোঁকাবাজি করেছে। সেই সাথে সরকারী সহায়তা আত্মসাৎ করার ফন্দি করতে নিজ পরিবারের সদস্যদের নাম তালিকায় রেখে। এর প‚র্বেও ভিজিএফ,ঘরসহ বিভিন্ন সহায়তা দেওয়ার কথা বলে টাকা অত্তস্বাধ করেছে বলেন অভিযোগ রয়েছে।
তালিকায় প্রকাশের পর সাংবাদিক আলম সাব্বির জানান,লাউড়েরগড় বাজােে শুক্রবার সন্ধায় একটি ফার্মেসীতে গিয়ে আঃ হক মেম্বারকে পেয়ে বলেন নিজের নাম বাদ দিয়ে অসহায় রলাকজনের চিন্তা করা উচিত। বর্তমান সময়ে সবাই বিপদে এক ঘরে ৩জনের নাম না দিয়ে দেখে শুনে দিলে কি হয়। এই কথা বলার পর মেম্বার আব্দুল হক অসদাচরন করেন। তখন উপস্থিত জনতা মেম্বারের অসদাচরনের প্রতিবাদ জানায়।
এবিষয়টি তাৎণিক ভাবে ইউএনও মহোদয় কে উক্ত মেম্বারের সম্মুখেই তার কর্মকান্ড সম্পর্কে অবহিত করি। তিনি অবাক হলেন এবং বিষয়টি ভালো ভাবে দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন। পরনেই আমাকে বাড়ি যাওয়ার পথে দেখে নেবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এবিষয়ে ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার আঃ হক বলেন,আমি আমার নিজের ও মা’র নাম দিয়ে ভুল করেছি। ইউএনও স্যার বলেছেন নাম কেটে দিতে আমি কেটে দিয়েছি। আর বাকীদের যাচাই করেন তারা পাওয়ার যোগ্য কি না।
সাংবাদিক কে হুমকির বিষয়ে বলেন,আমি কাউকে হুমকি দেই নি। ভুল বোঝা বুঝি হয়েছে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যনার্জি বলেন,এবিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদপে গ্রহণ করব।