বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আফ্রিকার চাদের কারাগার থেকে ৪৪ বন্দির লাশ উদ্ধার

Men pray next to coffins during a burial ceremony, after two people were killed by Boko Haram fighters in Dalori camp for internally displaced people, near Maiduguri, on July 26, 2019. - Two people were killed and several wounded when Boko Haram fighters raided a camp for people displaced by the jihadist conflict in northeast Nigeria, emergency services said on July 26, 2019. Dozens of Islamist militants on motorcycles and two motorised rickshaws stormed into Dalori camp on Thursday, shooting people and looting food supplies after overrunning a nearby military base. (Photo by Audu MARTE / AFP)

নুরুজ্জামান লিটন।।

আফ্রিকার উত্তর-মধ্যাঞ্চলের দেশ চাদের কারাগার থেকে ৪৪ কয়েদির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।রাত পোহানোর পর নিজ নিজ সেলে তাদের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় বলে ওই কারাগার সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি। এ বিষয়ে শনিবার দেশটির প্রধান প্রসিকিউটর ইউসুফ টম রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বিবৃতি দিয়েছেন।

তিনি বলেন, সম্প্রতি সেনাবাহিনী লেক এলাকায় অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন ৫৮ জঙ্গিকে আটক করে। তদন্তের জন্য তাদের রাজধানী এনজামেনায় পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার সকালে জেলাররা জানায়, ৪৪ কয়েদিকে তাদের সেলে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তারা কীভাবে মারা গেলেন সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। এ মৃতদের সবাই আফ্রিকার জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারামের সদস্য বলে দাবি করেন তিনি।

প্রধান প্রসিকিউটর আরও জানান, ৪০টি মৃতদেহ ইতিমধ্যে কবর দেয়া হয়েছে। চারটি দেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পরই জানা যাবে, তারা কীভাবে মারা গেলেন।

এদিকে ওই ৫৮ কয়েদিকে একটি মাত্র সেলে রেখে দুদিন ধরে তাদের কোনো খাবার দেয়া হয়নি বলে দাবি করে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে ওই কারাগার সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র।

চাদের মানবাধিকার সংগঠন ‘চাদিয়ান কনভেনশন ফর দ্যা প্রটেকশন অব হিউম্যান রাইটস- সিটিডিডিএইচ’ ঘটনাটিকে ভয়াবহ ও অমানবিক আখ্যা দিয়ে চাদ সরকারের ওপর অভিযোগের আঙুল তুলেছে।

সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক মাহামাত নুর আহমেদ ইবেদুরের বলেন, আমরা জেনেছি– ওই ৫৮ বন্দিদের ছোট একটি সেলে তালাবদ্ধ করে রেখেছিল কারা কর্তৃপক্ষ। বোকো হারামের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকার অভিযোগে তাদের কোনো ধরনের খাবার ও পানি দেয়া হয়নি। ফলে তারা মারা যান।

এদিকে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে দেশটির বিচারমন্ত্রী দিজিমেত আরাবি এএফপিকে বলেন, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাদের সঙ্গে কোনো খারাপ ব্যবহার করা হয়নি। তাদের পাকস্থলীতে বিষাক্ত পদার্থ পাওয়া গেছে। এটি দলীয়ভাবে আত্মহত্যা নাকি অন্য কিছু তা আমরা খতিয়ে দেখছি।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

জনপ্রিয়

গণমাধ্যম অভূতপূর্ব স্বাধীনতা ভোগ করছে: প্রেস সচিব

আফ্রিকার চাদের কারাগার থেকে ৪৪ বন্দির লাশ উদ্ধার

প্রকাশের সময় : ০৪:৩০:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২০

নুরুজ্জামান লিটন।।

আফ্রিকার উত্তর-মধ্যাঞ্চলের দেশ চাদের কারাগার থেকে ৪৪ কয়েদির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।রাত পোহানোর পর নিজ নিজ সেলে তাদের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় বলে ওই কারাগার সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি। এ বিষয়ে শনিবার দেশটির প্রধান প্রসিকিউটর ইউসুফ টম রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বিবৃতি দিয়েছেন।

তিনি বলেন, সম্প্রতি সেনাবাহিনী লেক এলাকায় অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন ৫৮ জঙ্গিকে আটক করে। তদন্তের জন্য তাদের রাজধানী এনজামেনায় পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার সকালে জেলাররা জানায়, ৪৪ কয়েদিকে তাদের সেলে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তারা কীভাবে মারা গেলেন সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। এ মৃতদের সবাই আফ্রিকার জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারামের সদস্য বলে দাবি করেন তিনি।

প্রধান প্রসিকিউটর আরও জানান, ৪০টি মৃতদেহ ইতিমধ্যে কবর দেয়া হয়েছে। চারটি দেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পরই জানা যাবে, তারা কীভাবে মারা গেলেন।

এদিকে ওই ৫৮ কয়েদিকে একটি মাত্র সেলে রেখে দুদিন ধরে তাদের কোনো খাবার দেয়া হয়নি বলে দাবি করে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে ওই কারাগার সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র।

চাদের মানবাধিকার সংগঠন ‘চাদিয়ান কনভেনশন ফর দ্যা প্রটেকশন অব হিউম্যান রাইটস- সিটিডিডিএইচ’ ঘটনাটিকে ভয়াবহ ও অমানবিক আখ্যা দিয়ে চাদ সরকারের ওপর অভিযোগের আঙুল তুলেছে।

সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক মাহামাত নুর আহমেদ ইবেদুরের বলেন, আমরা জেনেছি– ওই ৫৮ বন্দিদের ছোট একটি সেলে তালাবদ্ধ করে রেখেছিল কারা কর্তৃপক্ষ। বোকো হারামের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকার অভিযোগে তাদের কোনো ধরনের খাবার ও পানি দেয়া হয়নি। ফলে তারা মারা যান।

এদিকে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে দেশটির বিচারমন্ত্রী দিজিমেত আরাবি এএফপিকে বলেন, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাদের সঙ্গে কোনো খারাপ ব্যবহার করা হয়নি। তাদের পাকস্থলীতে বিষাক্ত পদার্থ পাওয়া গেছে। এটি দলীয়ভাবে আত্মহত্যা নাকি অন্য কিছু তা আমরা খতিয়ে দেখছি।