
প্রফেসর মামুনুর রশিদ ।।
করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধটা কেবল চিকিৎসকদের নয়, এটি সবার যুদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ও আবাসিক সার্জন ডা. আশরাফুল হক সিয়াম। তিনি বলেন, ‘এ যুদ্ধটা সবার। সবার মধ্যেই সচেতনতা আনতে হবে।’
ডা. আশরাফুল হক সিয়াম বলেন, ‘করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ৮০ ভাগ লোকই ঘরে থেকে সেবা পেয়ে সুস্থ হয়ে যায়। অর্থাৎ ১০ থেকে ১৫ ভাগ রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। এই রোগ হলেই মৃত্যু অনিবার্য এই জায়গা থেকে আমাদের সরে আসতে হবে।’ শনিবার বেসরকারি একটি টেলিভিশনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি। জানান, করোনার কারণে তিনিও হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
আপনারা কী ধরনের অসুবিধায় পড়ছেন। এ পর্যন্ত আপনাদের কতজন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন এ বিষয়ে কিছু জানাতে পারেন কি না?
আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আজকে সারা বিশ্ব করোনায় আক্রান্ত এবং তার ভয়াবহতাও আমরা দেখতে পাচ্ছি। এই অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের দেশেও স্বাস্থ্যকর্মীরা যুদ্ধ করে চলেছে। যদিও আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চেষ্টা করছেন তার সাধ্য মতো। তারপরও আমরা কিছুটা সমন্বয়হীনতা, দায়িত্বহীনতায় অসুবিধার মধ্যে আছি। সেটা আপনারা সবাই দেখতে পাচ্ছেন। প্রথম যেই অসুবিধা সেটা আপনারা জানেন গত কিছুদিন ধরেই গণমাধ্যমে সেগুলো প্রচার হয়ে আসছে। সেটা হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মী এবং চিকিৎসকদের মানসম্মত সুরক্ষা, যেটাকে আমরা বলে মাস্ক এবং পিপিই। এর বাইরেও অনেক সমস্যা আছে।
এই সমস্যাগুলো কী ধরনের?
এর মধ্যে আমরা দেশের কিছু হাসপাতালকে আমরা করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য তৈরি করেছি। সেই হাসপাতালগুলোতে কিন্তু ইতোমধ্যেই রোগী ভর্তি হয়েছে এবং আমাদের স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকরা সেবা দিয়ে আসছেন। সেখানে তারা যেই সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হচ্ছেন, তার মধ্যে প্রধান হলো সেই হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকা-খাওয়ার। এর ব্যবস্থা হয়েছে নাকি তা কাগজ কলমের বাস্তবতা সেই বিষয়গুলো একটু দেখাশোনা করতে হবে। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, আমাদের দেশের মোট এক লাখ চিকিৎসকের মধ্যে ৩০ হাজার হচ্ছে সরকারি আর বাকিগুলোর বেসরকারি। বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা বিনা বেতনে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেন। যাকে আমরা বলি, অনারারি মেডিকেল অফিসার। এই বিনা বেতনের চিকিৎসকরা যদি এখনো বিনা বেতনে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যান, তাহলে তাদের পরিবার-পরিজন কিভাবে চলবে সেটা একটা প্রশ্ন থেকে যায়।
চিকিৎসকদের থাকা-খাওয়ার বিষয়ে আপনি বলছিলেন। কারা এই ধরনের সমস্যায় পড়ছেন?