
মাহবুবুল আলম টুটুল ।।
দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের চাষি, খামারি এবং উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত মাছ, দুধ, ডিম ও পোল্ট্রি বাজারজাত করার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সব জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এতে চাষি, খামারি ও উদ্যেক্তাদের কাছ থেকেই পণ্য সংগ্রহের ব্যবস্থা করা হবে।
করোনা পরিস্থিতিতে বাজারজাতকরণ সংকটে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ উৎপাদক, খামারি ও উদ্যোক্তাদের কথা মাথায় রেখে এবং ভোক্তাদের প্রাণিজ পণ্য প্রাপ্তির চাহিদা বিবেচনা করে এ নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশন, উদ্যোক্তা ও খামারিদের সহযোগিতায় স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে এ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।
ইতিমধ্যে কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও ফরিদপুরে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এবং জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পিকআপ, কুল ভ্যান ও অটোরিকশাযোগে প্রান্তিক পর্যায় থেকে দুধ ও ডিম সংগ্রহ করা হচ্ছে। একইসাথে প্রচার-প্রচারণাপূর্বক শহরের গ্রোথ সেন্টার ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্র চালু করে দুধ ও ডিম নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোতে ভোক্তাদের আস্থা অর্জন ও বিশুদ্ধ দুধের নিশ্চয়তা প্রদানে ভেটেরিনারি সার্জন, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর এবং ভেটেরিনারি কম্পাউন্ডারের সমন্বয়ে ভ্রাম্যমাণ দুধ পরীক্ষাকরণ টিমও গঠন করা হয়েছে। এতে খামারি ও উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি ভোক্তাগণ উপকৃত হচ্ছেন।