বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকার ও আ’লীগের ত্রাণ তৎপরতায় দিশেহারা বিএনপি: হাছান মাহমুদ

প্রফেসর জিন্নাত আলী ।।

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের দেশব্যাপী ত্রাণ তৎপরতায় বিএনপি দিশেহারার মতো কথা বলছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনাভাইরাস মোকাবেলায় দেশের এক-তৃতীয়াংশের বেশি মানুষকে সরকার নানাভাবে সহায়তার আওতায় এনেছে।অপরদিকে ক’দিন আগে আমরা বিএনপিকে তিতুমীর কলেজে ছাত্রদলের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করতে দেখেছি। আর মীর্জা ফখরুল সাহেব বলছেন, তারা সারা দেশে ত্রাণ বিতরণ করছেন, কিন্তু জনগণ তা দেখতে পারছেন না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন আসছে, তারা কাকে ত্রাণ বিতরণ করছেন!

তথ্যমন্ত্রী জানান, সরকার ৫০ লাখ পরিবারকে বছরে ৭ মাস মাস ১০ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে এবং আরও ৫০ লাখ পরিবারের জন্য রেশন কার্ডের ব্যবস্থা করছে, যার আওতায় আসবে ১ কোটি পরিবারের প্রায় ৫ কোটি মানুষ। এছাড়াও আরও ১ কোটির বেশি মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সহায়তা দিচ্ছে সরকার।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু এখন নয়, ক্ষমতায় বা বিরোধী দল যেখানেই ছিল, সব সময় দুর্যোগে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে, আর বিএনপি এখনো শুধু ঢাকা শহরে কয়েকটা লোক দেখানো ফটোসেশনে মন্তব্য করে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশে সিটি কর্পোরেশন, জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায় পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৭২ হাজারের মতো স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি রয়েছে। এরমধ্যে অনিয়মের ঘটনা আনুপাতিক হারে দুই হাজারে একটির মতো, যদিও একটি ঘটনাও কাম্য নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এ ধরনের অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের আগে মোবাইল কোর্টে বিচার হচ্ছে, পরে নিয়মিত মামলার হাত থেকেও এদের রেহাই নেই।

এর আগে করোনাভাইরাস মোকাবেলাকালে সহায়তা চেয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের কাছে সাংবাদিকদের তালিকা হস্তান্তর করেন বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতারা।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের সভাপতি মোল্লাা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম তপু এ তালিকা হস্তান্তর করেন।

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এ সময় বলেন, আজকে বিএফইউজে ও ডিইউজের পক্ষ থেকে সারা দেশের সাংবাদিকদের একটি তালিকা দেয়া হয়েছে। তাদেরকে কীভাবে রেশনিংয়ের আওতায় আনা যায়, সেটি আমরা আলোচনা করেছি। একই সঙ্গে কীভাবে আর্থিক সহায়তা করা যায়, সেটিও আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, যেহেতু সাংবাদিকরা ঝুঁকির মধ্যে থেকে কাজ করছেন, সংবাদ পরিবেশন করছেন এবং করোনা মোকাবেলাতেও তারা কাজ করছেন, আমরা আশা করছি, শিগগিরই তাদের জন্য ইতিবাচক কিছু করতে আমরা সক্ষম হব। জাতীয় প্রেস ক্লাবে ইতিমধ্যেই একটি ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু করা হয়েছে বলেও জানান ড. হাছান।

বাংলাদেশ সংবাদপত্র কর্মচারী ফেডারেশন সভাপতি মো. মতিউর রহমান তালুকদার ও বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব নিউজ পেপার প্রেস ওয়ার্কার্স সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন খানও এ সময় মন্ত্রীর কাছে নিজ নিজ সংগঠন সদস্যদের তালিকা হস্তান্তর করেন।

আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

জনপ্রিয়

সরকার ও আ’লীগের ত্রাণ তৎপরতায় দিশেহারা বিএনপি: হাছান মাহমুদ

প্রকাশের সময় : ০৫:০৬:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০২০

প্রফেসর জিন্নাত আলী ।।

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের দেশব্যাপী ত্রাণ তৎপরতায় বিএনপি দিশেহারার মতো কথা বলছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনাভাইরাস মোকাবেলায় দেশের এক-তৃতীয়াংশের বেশি মানুষকে সরকার নানাভাবে সহায়তার আওতায় এনেছে।অপরদিকে ক’দিন আগে আমরা বিএনপিকে তিতুমীর কলেজে ছাত্রদলের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করতে দেখেছি। আর মীর্জা ফখরুল সাহেব বলছেন, তারা সারা দেশে ত্রাণ বিতরণ করছেন, কিন্তু জনগণ তা দেখতে পারছেন না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন আসছে, তারা কাকে ত্রাণ বিতরণ করছেন!

তথ্যমন্ত্রী জানান, সরকার ৫০ লাখ পরিবারকে বছরে ৭ মাস মাস ১০ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে এবং আরও ৫০ লাখ পরিবারের জন্য রেশন কার্ডের ব্যবস্থা করছে, যার আওতায় আসবে ১ কোটি পরিবারের প্রায় ৫ কোটি মানুষ। এছাড়াও আরও ১ কোটির বেশি মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সহায়তা দিচ্ছে সরকার।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু এখন নয়, ক্ষমতায় বা বিরোধী দল যেখানেই ছিল, সব সময় দুর্যোগে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে, আর বিএনপি এখনো শুধু ঢাকা শহরে কয়েকটা লোক দেখানো ফটোসেশনে মন্তব্য করে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশে সিটি কর্পোরেশন, জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায় পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৭২ হাজারের মতো স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি রয়েছে। এরমধ্যে অনিয়মের ঘটনা আনুপাতিক হারে দুই হাজারে একটির মতো, যদিও একটি ঘটনাও কাম্য নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এ ধরনের অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের আগে মোবাইল কোর্টে বিচার হচ্ছে, পরে নিয়মিত মামলার হাত থেকেও এদের রেহাই নেই।

এর আগে করোনাভাইরাস মোকাবেলাকালে সহায়তা চেয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের কাছে সাংবাদিকদের তালিকা হস্তান্তর করেন বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতারা।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের সভাপতি মোল্লাা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম তপু এ তালিকা হস্তান্তর করেন।

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এ সময় বলেন, আজকে বিএফইউজে ও ডিইউজের পক্ষ থেকে সারা দেশের সাংবাদিকদের একটি তালিকা দেয়া হয়েছে। তাদেরকে কীভাবে রেশনিংয়ের আওতায় আনা যায়, সেটি আমরা আলোচনা করেছি। একই সঙ্গে কীভাবে আর্থিক সহায়তা করা যায়, সেটিও আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, যেহেতু সাংবাদিকরা ঝুঁকির মধ্যে থেকে কাজ করছেন, সংবাদ পরিবেশন করছেন এবং করোনা মোকাবেলাতেও তারা কাজ করছেন, আমরা আশা করছি, শিগগিরই তাদের জন্য ইতিবাচক কিছু করতে আমরা সক্ষম হব। জাতীয় প্রেস ক্লাবে ইতিমধ্যেই একটি ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু করা হয়েছে বলেও জানান ড. হাছান।

বাংলাদেশ সংবাদপত্র কর্মচারী ফেডারেশন সভাপতি মো. মতিউর রহমান তালুকদার ও বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব নিউজ পেপার প্রেস ওয়ার্কার্স সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন খানও এ সময় মন্ত্রীর কাছে নিজ নিজ সংগঠন সদস্যদের তালিকা হস্তান্তর করেন।

আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।