বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাড়িতে ডেকে এনে কলেজছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা সাতক্ষীরায়

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:।। প্রেমঘটিত বিষয়কে কেন্দ্র করে এক কলেজছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার যুগিখালী ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শিক্ষার্থী তুষার হোসেন জনি (২০) ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ২য় বর্ষের ছাত্র ও পাইকপাড়া গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে।

যুগিখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, তুষার জনির সঙ্গে একই গ্রামের কামরুজ্জামানের মেয়ে ও খোর্দ গার্লস স্কুলের ১০ম শ্রেণির ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানতে পেরে বুধবার রাতে কামরুজ্জামান ও তার ভাই ওয়াহিদুজ্জামান কৌশলে জনিকে বাড়িতে ডেকে আনে। এরপর তাকে বাড়ির পাশে নিয়ে মারপিট করে।

এসময় জনির চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়। জনির মাথায় আঘাত করার কারণে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকে।

তিনি আরো বলেন, পরে অজ্ঞান অবস্থায় স্থানীয়রা রাত সাড়ে ১১টার দিকে জনিকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বৃহস্পতিবার সকালে অবস্থা সংকটাপন্ন হলে সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জনিকে রেফার্ড করেন। তবে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই সে মারা যায়।

ঘটনার বিষয়ে কলারোয়া থানার ওসি শেখ মুনীর উল গিয়াস বলেন, এ ঘটনায় জড়িত থাকায় কামরুজ্জামানের বাবা রিয়াজ উদ্দিন, স্ত্রী আসমা খাতুন, স্থানীয় ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল জলিলকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনায় জড়িত বাকিদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

বাড়িতে ডেকে এনে কলেজছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা সাতক্ষীরায়

প্রকাশের সময় : ১০:০৩:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ এপ্রিল ২০২০

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:।। প্রেমঘটিত বিষয়কে কেন্দ্র করে এক কলেজছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার যুগিখালী ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শিক্ষার্থী তুষার হোসেন জনি (২০) ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ২য় বর্ষের ছাত্র ও পাইকপাড়া গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে।

যুগিখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, তুষার জনির সঙ্গে একই গ্রামের কামরুজ্জামানের মেয়ে ও খোর্দ গার্লস স্কুলের ১০ম শ্রেণির ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানতে পেরে বুধবার রাতে কামরুজ্জামান ও তার ভাই ওয়াহিদুজ্জামান কৌশলে জনিকে বাড়িতে ডেকে আনে। এরপর তাকে বাড়ির পাশে নিয়ে মারপিট করে।

এসময় জনির চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়। জনির মাথায় আঘাত করার কারণে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকে।

তিনি আরো বলেন, পরে অজ্ঞান অবস্থায় স্থানীয়রা রাত সাড়ে ১১টার দিকে জনিকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বৃহস্পতিবার সকালে অবস্থা সংকটাপন্ন হলে সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জনিকে রেফার্ড করেন। তবে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই সে মারা যায়।

ঘটনার বিষয়ে কলারোয়া থানার ওসি শেখ মুনীর উল গিয়াস বলেন, এ ঘটনায় জড়িত থাকায় কামরুজ্জামানের বাবা রিয়াজ উদ্দিন, স্ত্রী আসমা খাতুন, স্থানীয় ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল জলিলকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনায় জড়িত বাকিদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।