বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বরগুনার আমতলীতে স্বামী আক্রান্তের পর স্ত্রী ও সন্তান করোনায় আক্রান্ত, বাড়ী লকডাউন

বরগুনা প্রতিনিধিঃ বরগুনার আমতলীতে করোনায়ভাইরাসে স্বামী আক্রান্ত হওয়ার দুই দিন পরে স্ত্রী (৩০) ও তার শিশু সন্তান (৭) আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তের বাড়ী পৌর শহরের বন্দর প্রাইমারী সড়কে। এনিয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে সাত জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন আক্রান্তদের বাড়ীটি গত ২৩ এপ্রিল থেকেই লকডাউন করে রেখেছে।
সূত্র জানায়, ঔষধ কোম্পানী ড্রাগ ইন্টারন্যাশনালের আমতলী এরিয়া ম্যানেজার তার স্ত্রী ও দুই পুত্র সন্তান নিয়ে পৌর শহরের বন্দর প্রাইমারী সড়কের একটি ভাড়া বাসার বসবাস করেন। গত ২২ এপ্রিল নমুনা পরীক্ষায় স্বামীর করোনা পজিটিভ ধরা পড়লে উপজেলা প্রশাসন তার বাড়ীটি লকডাউন করে তাকে বাসায় আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছেন। এর পরের দিন ২৩ এপ্রিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে স্ত্রী ও দুই পুত্রের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইসিডিআর) পাঠায়। এরপর শনিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে তাদের রিপোর্ট হাসপাতালে এসে পৌছায়। রিপোর্টে স্ত্রী ও ছোট সন্তানের রিপোর্ট পজিটিভ হিসেবে উল্লেখ করা হলেও বড় ছেলের নেগেটিভ আসছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেন, গত ২২ এপ্রিল স্বামীর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসার পরের দিন (২৩ এপ্রিল) করোনায় আক্রান্তের স্ত্রী ও দুই সন্তানের নমুনা নিয়ে ঢাকা আইইসিডিআর পাঠাই। শনিবার রাতে তার রিপোর্ট হাসপাতালে এসে পৌছে। রিপোর্টে স্ত্রী ও ছোট সন্তানকে করোনা পজিটিভ বলে উল্লেখ করা হলেও বড় সন্তানের করোনা নেগেটিভ আসছে। নতুন করে আক্রান্ত দু’জনকেও হোম আইচোলোশনে চিকিৎসা দেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন বলেন, স্বামী আক্রান্ত হওয়ার দুই দিন পরে স্ত্রী ও শিশু সন্তানও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা গত ২২ এপ্রিল থেকে আক্রান্তদের বাড়ীটি লকডাউন করে দিয়েছি।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

জনপ্রিয়

বরগুনার আমতলীতে স্বামী আক্রান্তের পর স্ত্রী ও সন্তান করোনায় আক্রান্ত, বাড়ী লকডাউন

প্রকাশের সময় : ০৩:৫০:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২০
বরগুনা প্রতিনিধিঃ বরগুনার আমতলীতে করোনায়ভাইরাসে স্বামী আক্রান্ত হওয়ার দুই দিন পরে স্ত্রী (৩০) ও তার শিশু সন্তান (৭) আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তের বাড়ী পৌর শহরের বন্দর প্রাইমারী সড়কে। এনিয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে সাত জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন আক্রান্তদের বাড়ীটি গত ২৩ এপ্রিল থেকেই লকডাউন করে রেখেছে।
সূত্র জানায়, ঔষধ কোম্পানী ড্রাগ ইন্টারন্যাশনালের আমতলী এরিয়া ম্যানেজার তার স্ত্রী ও দুই পুত্র সন্তান নিয়ে পৌর শহরের বন্দর প্রাইমারী সড়কের একটি ভাড়া বাসার বসবাস করেন। গত ২২ এপ্রিল নমুনা পরীক্ষায় স্বামীর করোনা পজিটিভ ধরা পড়লে উপজেলা প্রশাসন তার বাড়ীটি লকডাউন করে তাকে বাসায় আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছেন। এর পরের দিন ২৩ এপ্রিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে স্ত্রী ও দুই পুত্রের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইসিডিআর) পাঠায়। এরপর শনিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে তাদের রিপোর্ট হাসপাতালে এসে পৌছায়। রিপোর্টে স্ত্রী ও ছোট সন্তানের রিপোর্ট পজিটিভ হিসেবে উল্লেখ করা হলেও বড় ছেলের নেগেটিভ আসছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেন, গত ২২ এপ্রিল স্বামীর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসার পরের দিন (২৩ এপ্রিল) করোনায় আক্রান্তের স্ত্রী ও দুই সন্তানের নমুনা নিয়ে ঢাকা আইইসিডিআর পাঠাই। শনিবার রাতে তার রিপোর্ট হাসপাতালে এসে পৌছে। রিপোর্টে স্ত্রী ও ছোট সন্তানকে করোনা পজিটিভ বলে উল্লেখ করা হলেও বড় সন্তানের করোনা নেগেটিভ আসছে। নতুন করে আক্রান্ত দু’জনকেও হোম আইচোলোশনে চিকিৎসা দেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন বলেন, স্বামী আক্রান্ত হওয়ার দুই দিন পরে স্ত্রী ও শিশু সন্তানও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা গত ২২ এপ্রিল থেকে আক্রান্তদের বাড়ীটি লকডাউন করে দিয়েছি।