
মো: ইদ্রিস আলী ।।
১৫ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন পাকিস্তান অলরাউন্ডার সানা মীর। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে পাকিস্তানের হয়ে ২২৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ২০০৯ থেকে ২০১৭ এর মাঝে পাকিস্তান উইমেনকে ১৩৭টি ম্যাচে নেতৃত্বও দিয়েছিলেন তিনি।
গত বছর বাংলাদেশের বিপক্ষে দেশের মাটির সিরিজের একটি অংশ বাদ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যক্তিগত সফরে গিয়েছিলেন তিনি, ফিরে এসে খেলেছিলেন একটি টি-টোয়েন্টি। এরপর একই দলের বিপক্ষে দুটি ওয়ানডে খেলে ক্রিকেট থেকে অনির্দিষ্টকালের বিরতিতে গিয়েছিলেন, ফলে মালয়েশিয়ায় হওয়া ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ মিস করেছিলেন। এরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলেও জায়গা পাননি এক সময়ে তাদের ‘অটোমেটিক চয়েস’।
মীরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে গিয়েছিল মোটামুটি তখনই। আপাতত সব বন্ধ থাকার সময়েই চলে যাচ্ছেন তিনি। ৩৪ বছর বয়সী মীর বলেছেন, তার এখনই সরে যাওয়ার উপযুক্ত সময় মনে হয়েছে, ‘গত কয়েক মাস আমাকে ভাবনার সুযোগ করে দিয়েছে। আমার মনে হয়েছে সরে যাওয়ার এটিই সঠিক সময়। আমার বিশ্বাস, সামর্থ্য অনুযায়ী আমি আমার দেশ ও খেলাকে আমি সর্বোচ্চটা দিয়েছি।’
১২০ ওয়ানডেতে ২৪.২৭ গড়ে ১৫১ উইকেটের সঙ্গে টি-টোয়েন্টিতে ১০৬ ম্যাচে ২৩.৪২ গড় ও ৫.৫১ ইকোনমি রেটে বলিং করে ৮৯ উইকেট আছে তার। সঙ্গে এ দুই ফরম্যাটে যথাক্রমে ১৬৩০ ও ৮০২ রান করেছেন।
২০০৫ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করাচিতে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছিল এই ডানহাতির। ক্যারিয়ারের দিকে ফিরে তাকিয়ে সন্তুষ্টিই পাচ্ছেন তিনি, ‘আমি যখন আমার অভিষেকের দিকে তাকাই, এটা আমাকে তৃপ্তি দেয়। আমি এমন একটা প্রক্রিয়ার অংশ ছিলাম, যা লর্ডসের দর্শকভর্তি বিশ্বকাপ ফাইনালে নিয়ে গিয়েছিল ২০১৭ সালে, এরপর এমসিজিতে ৮৭ হাজার দর্শকের সামনে উইমেনস টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হয়েছিল। এগুলো মেয়েদের ক্রিকেটের জন্য দারুণ সাফল্যের গল্প।’
মীরের বিদায়ে তাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান, ‘পাকিস্তান ক্রিকেটের পক্ষ থেকে আমি সানা মীরকে দারুণ সফল এক ক্যারিয়ারের জন্য অভিনন্দন জানাই। সে অনেক বছর পাকিস্তান ক্রিকেটের প্রধান মুখ ছিল, এবং তরুণ প্রজন্মের জন্য দারুণ এক অনুপ্রেরণা।