মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হিমালয়ে কেটকে চিনতে পারে ৮৫ বছরের আধা অন্ধ

তানজীর মহসিন অংকন ।।

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছেন কেট উইনস্লেট ও লিওনার্দো ডিকাপ্রিও। এর মধ্যে ‘টাইটানিক’ সব ছবিকে ছাপিয়ে গেছে। আলাদাভাবে দারুণ কিছু সিনেমায় অভিনয় করলেও  ১৯৯৭ সালের ক্ল্যাসিকটি দিয়েই বেশির ভাগ তাদের চেনে।

সম্প্রতি কেট ভারত সফরের গল্প বলছিলেন। সেখানে জানান, এক আধা অন্ধ ব্যক্তি তাকে ‘টাইটানিক’ তারকা হিসেবে চিনতে পারে। যা নায়িকাকে আবেগী করে তোলে। এমনকি চোখে পানি চলে আসে।

পুরো ঘটনাটি তুলে ধরেন ক্যান্ডিস ম্যাগাজিনে। কেট উইনস্লেট বলেন, “টাইটানিক সবখানে ছিল। ছবিটি মুক্তির কয়েক বছর পর আমি ভারতে যাই। হিমালয়ের পাদদেশে আমি কাঁধে ব্যাকপ্যাক নিয়ে হাঁটছিলাম। ওয়াকিং স্টিক নিয়ে আমার পেছনে এক লোক আসে, বয়স ৮৫ হবে এবং এক চোখ ছিল অন্ধ। তিনি আমার দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘তুমি- টাইটানিক’। আমি হ্যাঁ বলি এবং তিনি বুকের কাছে হাত নিয়ে বলেন, ‘ধন্যবাদ’। আমি কান্নায় ফেটে পড়ি।”

এই ঘটনা থেকে তিনি বুঝতে পারেন একটি মাত্র সিনেমা অনেক মানুষকে আনন্দ হয়েছিল।এরপর কেট জানান, পরিচালক জেমস ক্যামেরনকে নিয়ে গর্বিত। কারণ, তার কারণে লাখো মানুষের হৃদয় স্পর্শ করতে পেরেছেন। একই সময়ে সাফল্য তাকে অস্বস্তিতেও ফেলেছিল।

কারণ হিসেবে অস্কারজয়ী অভিনেত্রী জানান, তিনি নিরুপদ্রব সাধারণ জীবন যাপন করছিলেন। এমন খ্যাতির জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। তাকে নিয়ে চারদিকে শুরু হয় তুমুল আলাপ- যা ছিল অসত্য।‘টাইটানিক’ মুক্তির পরপরই সারা বিশ্বে ঝড় তোলে। অচিরে পরিণত হয় শীর্ষ আয়ের সিনেমায়। কাল্টের খেতাব মিলে, বিশ্ব সিনেমার ইতিহাসে আলাদা স্থান দখল করে নেয়।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

জনপ্রিয়

হিমালয়ে কেটকে চিনতে পারে ৮৫ বছরের আধা অন্ধ

প্রকাশের সময় : ০৪:২৬:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ এপ্রিল ২০২০

তানজীর মহসিন অংকন ।।

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছেন কেট উইনস্লেট ও লিওনার্দো ডিকাপ্রিও। এর মধ্যে ‘টাইটানিক’ সব ছবিকে ছাপিয়ে গেছে। আলাদাভাবে দারুণ কিছু সিনেমায় অভিনয় করলেও  ১৯৯৭ সালের ক্ল্যাসিকটি দিয়েই বেশির ভাগ তাদের চেনে।

সম্প্রতি কেট ভারত সফরের গল্প বলছিলেন। সেখানে জানান, এক আধা অন্ধ ব্যক্তি তাকে ‘টাইটানিক’ তারকা হিসেবে চিনতে পারে। যা নায়িকাকে আবেগী করে তোলে। এমনকি চোখে পানি চলে আসে।

পুরো ঘটনাটি তুলে ধরেন ক্যান্ডিস ম্যাগাজিনে। কেট উইনস্লেট বলেন, “টাইটানিক সবখানে ছিল। ছবিটি মুক্তির কয়েক বছর পর আমি ভারতে যাই। হিমালয়ের পাদদেশে আমি কাঁধে ব্যাকপ্যাক নিয়ে হাঁটছিলাম। ওয়াকিং স্টিক নিয়ে আমার পেছনে এক লোক আসে, বয়স ৮৫ হবে এবং এক চোখ ছিল অন্ধ। তিনি আমার দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘তুমি- টাইটানিক’। আমি হ্যাঁ বলি এবং তিনি বুকের কাছে হাত নিয়ে বলেন, ‘ধন্যবাদ’। আমি কান্নায় ফেটে পড়ি।”

এই ঘটনা থেকে তিনি বুঝতে পারেন একটি মাত্র সিনেমা অনেক মানুষকে আনন্দ হয়েছিল।এরপর কেট জানান, পরিচালক জেমস ক্যামেরনকে নিয়ে গর্বিত। কারণ, তার কারণে লাখো মানুষের হৃদয় স্পর্শ করতে পেরেছেন। একই সময়ে সাফল্য তাকে অস্বস্তিতেও ফেলেছিল।

কারণ হিসেবে অস্কারজয়ী অভিনেত্রী জানান, তিনি নিরুপদ্রব সাধারণ জীবন যাপন করছিলেন। এমন খ্যাতির জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। তাকে নিয়ে চারদিকে শুরু হয় তুমুল আলাপ- যা ছিল অসত্য।‘টাইটানিক’ মুক্তির পরপরই সারা বিশ্বে ঝড় তোলে। অচিরে পরিণত হয় শীর্ষ আয়ের সিনেমায়। কাল্টের খেতাব মিলে, বিশ্ব সিনেমার ইতিহাসে আলাদা স্থান দখল করে নেয়।