বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইফতার রমজানের অন্যতম ইবাদত

আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান ।।

ইফতার রমজানের অন্যতম ইবাদত। ইফতার (আরবি: إفطار‎‎ ইফ্‌ত্বার্) হচ্ছে, রমযান মাসে মুসলিমগণ সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকার পর, সূর্যাস্তের সময় যে খাবার গ্রহণ করেন। রোজাদারগণ রমজান মাসে সবাই একত্রে বসে ইফতার গ্রহণ করেন। খেজুর খাবার মাধ্যমে ইফতার শুরু করা সুন্নত।

সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা সুন্নাত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অসংখ্য হাদিসে যথাসময় ইফতার করার জন্য বিশেষভাবে তাগিদ দিয়েছেন। হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে-

‘মানুষ যতদিন ইফতারের সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেরি না করে ইফতার করবে; ততদিন তারা কল্যাণ লাভ করবে।’

ইফতারের দোয়া

 بِسْمِ الله বিসমিল্লাহ বলা। অতপর এ দোয়া পড়া-

اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ وَ اَفْطَرْتُ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু, ওয়া আ’লা রিযক্বিকা আফত্বারতু।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমারই জন্যে রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিযিক দ্বারা ইফতার করছি। (আবু দাউদ মুরসাল, মিশকাত)

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইফতার করাকালীন সময়ে বলতেন-

ذَهَبَ الظَّمَاءُ وَابْتَلَتِ الْعُرُوْقُ وَ ثَبَتَ الْأَجْرُ اِنْ شَاءَ اللهُ

উচ্চারণ : ‘জাহাবাজ জামাউ; ওয়াবতালাতিল উ’রুকু; ওয়া ছাবাতাল আঝরূ ইনশাআল্লাহ।’

অর্থ : ‘ (ইফতারের মাধ্যমে) পিপাসা দূর হলো, শিরা-উপসিরা সিক্ত হলো এবং যদি আল্লাহ চান সাওয়াবও স্থির হলো ‘ (আবু দাউদ, মিশকাত)

ইফতারের আগে আল্লাহপাক রোজাদারগণের দোয়া কবুল করেন। তাই ইফতারের আগে তাওবা-ইসতেগফার করা, ইফতারের সময় দোয়া পড়া এবং ইফতারের পর শোকরিয়া আদায় করা উত্তম। আল্লাহ সকলকে তাওফিক দান করুন। আমিন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

ইফতার রমজানের অন্যতম ইবাদত

প্রকাশের সময় : ০৪:৩৯:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল ২০২০

আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান ।।

ইফতার রমজানের অন্যতম ইবাদত। ইফতার (আরবি: إفطار‎‎ ইফ্‌ত্বার্) হচ্ছে, রমযান মাসে মুসলিমগণ সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকার পর, সূর্যাস্তের সময় যে খাবার গ্রহণ করেন। রোজাদারগণ রমজান মাসে সবাই একত্রে বসে ইফতার গ্রহণ করেন। খেজুর খাবার মাধ্যমে ইফতার শুরু করা সুন্নত।

সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা সুন্নাত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অসংখ্য হাদিসে যথাসময় ইফতার করার জন্য বিশেষভাবে তাগিদ দিয়েছেন। হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে-

‘মানুষ যতদিন ইফতারের সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেরি না করে ইফতার করবে; ততদিন তারা কল্যাণ লাভ করবে।’

ইফতারের দোয়া

 بِسْمِ الله বিসমিল্লাহ বলা। অতপর এ দোয়া পড়া-

اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ وَ اَفْطَرْتُ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু, ওয়া আ’লা রিযক্বিকা আফত্বারতু।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমারই জন্যে রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিযিক দ্বারা ইফতার করছি। (আবু দাউদ মুরসাল, মিশকাত)

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইফতার করাকালীন সময়ে বলতেন-

ذَهَبَ الظَّمَاءُ وَابْتَلَتِ الْعُرُوْقُ وَ ثَبَتَ الْأَجْرُ اِنْ شَاءَ اللهُ

উচ্চারণ : ‘জাহাবাজ জামাউ; ওয়াবতালাতিল উ’রুকু; ওয়া ছাবাতাল আঝরূ ইনশাআল্লাহ।’

অর্থ : ‘ (ইফতারের মাধ্যমে) পিপাসা দূর হলো, শিরা-উপসিরা সিক্ত হলো এবং যদি আল্লাহ চান সাওয়াবও স্থির হলো ‘ (আবু দাউদ, মিশকাত)

ইফতারের আগে আল্লাহপাক রোজাদারগণের দোয়া কবুল করেন। তাই ইফতারের আগে তাওবা-ইসতেগফার করা, ইফতারের সময় দোয়া পড়া এবং ইফতারের পর শোকরিয়া আদায় করা উত্তম। আল্লাহ সকলকে তাওফিক দান করুন। আমিন।