
নুরুজ্জামান লিটন:/=
সারা দুনিয়াজুড়ে চলছে মহামারি করোনাভাইরাসের তাণ্ডব। মরছে লাখ লাখ মানুষ। অর্থনীতি চরম বিপর্যয়ে। কোটি কোটি মানুষ বেকার জীবন কাটাচ্ছে। দিশাহীন অবস্থায় চরম হতাশায় ভুগছে বিশ্ববাসী। এর মধ্যেই ন্যাশানাল ওসিয়ান অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ার এডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ) জানিয়েছে, প্রায় ১৩ থেকে ১৯টি নতুন ঝড় তৈরি হচ্ছে আটলান্টিক সংলগ্ন অঞ্চলে। খবর দ্য সান ও ইউএসএ টুডের।
এরই মধ্যে ভারত-বাংলাদেশে তাণ্ডব চালিয়ে গিয়েছে সুপার সাইক্লোন আম্ফান। একইসময়ে অস্ট্রেলিয়ায় তাণ্ডব চালিয়েছে সাইক্লোন ম্যাঙ্গা।
এনওএএ জানিয়েছে, আটলান্টিকের বুকে তৈরি হচ্ছে অন্তত ১৩টি ঝড়। সব থকে বেশি ১৯টি ঝড় বয়ে আসতে পারে আটলান্টিকের বুক থেকে। এখানেই শেষ নয়, এছাড়াও অন্তত ৬টি হারিকেন তছনছ করে দিতে পারে সব কিছু।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ওই ঝড়গুলির বেশিরভাগই সাইক্লোনের রূপ নেবে। এবং ঝড়গুলির সর্বনিম্ন গতিবেগ হবে ৩৯ মাইল প্রতি ঘণ্টায়। অর্থাৎ ঝড়ের গতিবেগ সর্বনিম্ন ৬২.৭৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। সাধারণত ঝড়ের গতিবেগ ৬৫ কিলোমিটারের ঊর্ধ্বে হলে তাকে সাইক্লোনের আখ্যা দেয়া হয়।
আবহাওয়াবিদদের ধারণা, অন্তত ১০টি ঝড় তাণ্ডব রূপ নিতে পারে। সেই ঝড়গুলির গতিবেগ হতে পারে ১১১ মাইল বা ১৭৮.৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। বা তারও বেশি হতে পারে গতিবেগ। অর্থাৎ অন্তত ১০টি ঝড় সুপার সাইক্লোনের রূপ নেবে। এ বছরই অর্থাৎ ২০২০ সালে এতগুলি ঝড়ের মোকাবিলা করতে হবে বিশ্বকে। এই সাইক্লোন বা সুপার সাইক্লোন ছাড়াও আরো ৬টি হারিকেন আছে। যার সর্বনিম্ন গতিবেগ হয় ৯৫ থেকে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়কে আমেরিকা মহাদেশে ‘হারিকেন’ বলে। দক্ষিণ আটলান্টিক এবং দক্ষিণ-পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগর ব্যতীত পৃথিবীর বাকি গ্রীষ্মমন্ডলীয় সাগরাঞ্চল যে ঝড় হয়, তা সাধারণভাবে ঘূর্ণিঝড় হিসেবে পরিচিত। প্রতি বছর বিশ্বে গড়ে ৮০টি গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় সংঘটিত হয়।
এছাড়াও আবহাওয়ার আরো বেশ কিছু পরিবর্তন হবে এবার বিশ্বে। শুধুমাত্র আটলান্টিক নয়, তার সঙ্গে ক্যারিবিয়ান সমুদ্র সংলগ্ন এলাকাতেও ঝড়ের সৃষ্টি হবে। ক্রমেই এই ঝড়গুলি সক্রিয় হয়ে উঠছে বলে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন। এই করোনার নৈরাজ্যের মধ্যে আবার সাইক্লোন মোকাবিলাতেও প্রস্তুত হয়ে থাকতে হবে বিশ্বকে।