বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সূর্য থেকে বেরোচ্ছে অদ্ভুত শিখা, স্যাটেলাইটে মারাত্বক ক্ষতির শঙ্কা

আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান :/=

তিন বছর ধরে সবচেয়ে বড় সৌর শিখা তৈরি করেছে সূর্য। ফলে সূর্যের সৌর চক্রটি আরো সক্রিয় হতে পারে। এতে মহাকাশের স্যাটেলাইট বা রেডিও সরঞ্জামের ওপর প্রভাব পড়ার শঙ্কা রয়েছে।

সূর্যের স্পটগুলোর জটিল চৌম্বকীয় ক্ষেত্রকে সূর্যের অন্ধকার অঞ্চল হিসাবে শনাক্ত করেছিল নাসা। ২৯ শে মে ওই সানস্পটগুলোর মধ্যে থেকে একটি ছোট্ট সৌর শিখা এসেছিল। যা বায়ুমণ্ডলে ক্ষতিকারক বিকিরণ পাঠিয়েছিল।

২৯ শে মে আসা সৌর শিখাটিকে এম ভাগে ফেলা হয়েছিল। যা সৌর শিখার শক্তির মধ্যম ভাগকে প্রতিনিধিত্ব করছে। যা সি-বর্গের শিখার চেয়ে আরো শক্তিশালী। তবে এক্স-শ্রেণির শিখার চেয়ে দুর্বল।

সৌর শিখা মূলত পাঁচটি শ্রেণিতে ভাগ রয়েছে: এ-শ্রেণি, বি-শ্রেণি, সি-শ্রেণি, এম-শ্রেণি ও এক্স-শ্রেণি। কোনো শিখা যদি এক্স-শ্রেণিতে পৌঁছায় তবে আগের শিখা থেকে ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী হয়ে থাকে। অর্থ্যাৎ প্রতিটি শ্রেণি আগের শ্রেণির চেয়ে দশগুণ বেশি শক্তিশালী থাকে।

জানা গেছে, এম-ক্লাসের শিখাটি একটি ছোট রেডিও ব্ল্যাকআউটের কারণে ঘটেছে। তবে শিখাটি নিয়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সতর্কতা জানানোর মতো প্রবল ছিল না। এ লক্ষণে বুঝা যায় যে, পৃথিবীর নিকটতম নক্ষত্র সূর্য বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

সূর্যের একটি ১১ বছরের নিজস্ব চক্র রয়েছে। যেখানে তার ক্রিয়াকলাপ বাড়ে ও কমে। সূর্যের শক্তিশালী ক্রিয়াকলাপ মহাকাশে এনার্জি পাঠাতে পারে। ফলে রেডিও যোগাযোগে বিপত্তি বাঁধতে পারে। এমনকি এনার্জি গ্রিডের ওপরেও প্রভাব ফেলতে পারে।

রেডিও কমিউনিকেশন, স্যাটেলাইটগুলোকে রক্ষা করা ও মহাকাশচারীদের রক্ষার্থে সৌরচক্রগুলোর ক্রিয়াকলাপ জানা বিজ্ঞানীদের একান্ত জরুরি। এছাড়া সূর্য থেকে ওই শিখা বের হওয়ার সময় জানতে বিজ্ঞানীদের ছয়মাস বা এক বছর পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

সূর্য থেকে বেরোচ্ছে অদ্ভুত শিখা, স্যাটেলাইটে মারাত্বক ক্ষতির শঙ্কা

প্রকাশের সময় : ০৬:৫৩:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুন ২০২০

আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান :/=

তিন বছর ধরে সবচেয়ে বড় সৌর শিখা তৈরি করেছে সূর্য। ফলে সূর্যের সৌর চক্রটি আরো সক্রিয় হতে পারে। এতে মহাকাশের স্যাটেলাইট বা রেডিও সরঞ্জামের ওপর প্রভাব পড়ার শঙ্কা রয়েছে।

সূর্যের স্পটগুলোর জটিল চৌম্বকীয় ক্ষেত্রকে সূর্যের অন্ধকার অঞ্চল হিসাবে শনাক্ত করেছিল নাসা। ২৯ শে মে ওই সানস্পটগুলোর মধ্যে থেকে একটি ছোট্ট সৌর শিখা এসেছিল। যা বায়ুমণ্ডলে ক্ষতিকারক বিকিরণ পাঠিয়েছিল।

২৯ শে মে আসা সৌর শিখাটিকে এম ভাগে ফেলা হয়েছিল। যা সৌর শিখার শক্তির মধ্যম ভাগকে প্রতিনিধিত্ব করছে। যা সি-বর্গের শিখার চেয়ে আরো শক্তিশালী। তবে এক্স-শ্রেণির শিখার চেয়ে দুর্বল।

সৌর শিখা মূলত পাঁচটি শ্রেণিতে ভাগ রয়েছে: এ-শ্রেণি, বি-শ্রেণি, সি-শ্রেণি, এম-শ্রেণি ও এক্স-শ্রেণি। কোনো শিখা যদি এক্স-শ্রেণিতে পৌঁছায় তবে আগের শিখা থেকে ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী হয়ে থাকে। অর্থ্যাৎ প্রতিটি শ্রেণি আগের শ্রেণির চেয়ে দশগুণ বেশি শক্তিশালী থাকে।

জানা গেছে, এম-ক্লাসের শিখাটি একটি ছোট রেডিও ব্ল্যাকআউটের কারণে ঘটেছে। তবে শিখাটি নিয়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সতর্কতা জানানোর মতো প্রবল ছিল না। এ লক্ষণে বুঝা যায় যে, পৃথিবীর নিকটতম নক্ষত্র সূর্য বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

সূর্যের একটি ১১ বছরের নিজস্ব চক্র রয়েছে। যেখানে তার ক্রিয়াকলাপ বাড়ে ও কমে। সূর্যের শক্তিশালী ক্রিয়াকলাপ মহাকাশে এনার্জি পাঠাতে পারে। ফলে রেডিও যোগাযোগে বিপত্তি বাঁধতে পারে। এমনকি এনার্জি গ্রিডের ওপরেও প্রভাব ফেলতে পারে।

রেডিও কমিউনিকেশন, স্যাটেলাইটগুলোকে রক্ষা করা ও মহাকাশচারীদের রক্ষার্থে সৌরচক্রগুলোর ক্রিয়াকলাপ জানা বিজ্ঞানীদের একান্ত জরুরি। এছাড়া সূর্য থেকে ওই শিখা বের হওয়ার সময় জানতে বিজ্ঞানীদের ছয়মাস বা এক বছর পর্যবেক্ষণ করতে হবে।