
তানজীর মহসিন অংকন:/=
পুলিশের সাইবার ক্রাইম দমন ইউনিটের সফল অভিযানে অবশেষ বর্ডার ক্রস বাইক ফেইসবুক পেইজের মালিক প্রতারক আরমান খান এখন বেনাপোল থানা পুলিশের হেফাজতে। প্রতারক আরমান হোসেন কুমিল্লা জেলা সদরের ভুবনগড় গ্রামের শাহ আলমের ছেলে। তবে সে বতর্মানে ঢাকার ৫২৯, রানীয়া এভিনিউ, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বসবাস করছে।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের নামে ফেসবুক পেইজ, ইমেইল খোলেন। কর্মকর্তাদের ছবি লাগিয়ে নিজেরে বিশ্বাসযোগ্য করেন। বর্ডারক্রস বাইক বিক্রির চটকদার বিজ্ঞাপন দেন। মানি ব্যাক গ্যারান্টি দেন। অসংখ্য সৌখিন বাইক-ক্রেতার টাকা মেরে পেইজ বন্ধ করে গায়েব হয়ে যান। আবার পেইজ নতুন পেজ খোলেন।
আমাদের পেইজ ইনবক্সে অসংখ্য অভিযোগ আসে। তথ্যপ্রমাণসহ কাস্টম হাউসের আরও নঈম মীরন সদর থানায় মামলা করেন। বেনাপোল কাস্টম হাউসের মামলার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার এ প্রতারককে আলামতসহ আটক করে পুরিশ।
সুন্দর দাড়িমন্ডিত সুশীল ভদ্র সুরত প্রতারক আরমান, দেখে বোঝার উপায় নেই কসরত!
দু:সাহস ও অপজ্ঞানের আধার এ তরুণ! খুব চাতুর্যের সঙ্গে নানান কৌশলের প্রতারণা তার। কাস্টমস হাউসের পেইজের ইনবক্সে তার প্রতারণার বহু অভিযোগ। পুলিশের সাইবার ক্রাইম দমন ইউনিটকে বেগ পেতে হয়নি। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার,
মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে বাংলাদেশ পুলিশের সাইবার অপরাধ দমন এখন অনন্য মাত্রায়। তাদের সাফল্যে গর্বিত গোটা কাস্মটমস পরিবার।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার নেয়ামুল ইসলামের সমন্বয়ে পুলিশের ঢাকার সাইবার ইউনিটের ডিসি গোলাম কিবরিয়া ও যশোরের এসপি আশরাফ হোসেন যৌথভাবে এ মিশন সফল করেন। একটা সফল মিশনের এ প্রধান কুশীলবগণ প্রশংসা কুড়িয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন, ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৩)-এর ৫৪, ৫৬ ও ৫৭ ধারা অনুযায়ী, আরমানের অপরাধ প্রমাণিত হলে ন্যুনতম ৭বছর থেকে ১৪বছরের জেল ও দশ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
দেশের কোনে, অন্দরে, বন্দরে, সদরে, দূরে, অদূরে লুকিয়ে থাকা সাইবার অপরাধীরা এ থেকে একটা বড় শিক্ষনিয় বিষয়।