নুরুজ্জামান লিটন:/-
বিসিএস (কর) ক্যাডার কর্মকর্তা সুধাংশু সাহার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিসিএস (কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট) অ্যাসোসিয়েশন। মঙ্গলবার (৯ জুন) অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ও এনবিআর সদস্য (গ্রেড-১) খন্দকার মুহাম্মদ আমিনুর রহমান এবং মহাসচিব, ভ্যাট নিরীক্ষা গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মুসফিকুর রহমান সই করা শোক বার্তা দেওয়া হয়।
সুধাংশু কুমার সাহা ২৭ তম ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি উপকর কমিশনার হিসেবে কর অঞ্চল-৩, ঢাকায় কর্মরত ছিলেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে সোমবার (৮ জুন) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তিনি মারা যান। রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে এ মেধাবী কর্মকর্তা মারা গেছেন।
শোক বার্তায় বলা হয়, বিসিএস (ট্যাকসেশন) ক্যাডারের ২৭তম ব্যাচের (মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকারী) অত্যন্ত মেধাবী, বিনয়ী, প্রতিশ্রুতিশীল ও পরোপকারী কর্মকর্তা উপকর কমিশনার সুধাংশু কুমার সাহা ৮ জুন রাত ১১টায় পরলোক গমন করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪০।
আরো বলা হয়, তার সর্বশেষ কর্মস্থল কর অঞ্চল-৩ সহ অন্যান্য সকল কর্মস্থলে তিনি সুনাম ও নিষ্ঠার সঙ্গে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। রাজস্ব যোদ্ধা হিসেবে দেশের এ চরম সংকটকালে জাতীয় অর্থনীতির চাকা সচল রাখার যুদ্ধে তিনি অবতীর্ণ ছিলেন। উন্নয়নের চালিকা শক্তি রাজস্ব আহরণ কর্মে নিয়োজিত এনবিআর ক্যাডার কর্মকর্তাদের মধ্যে তিনিই প্রথম রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনকালে কভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হন।
বার্তায় বলা হয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসারত অবস্থায় গতকাল তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউতে বিশেষ চিকিৎসা গ্রহণকালীন সময়ে তিনি না ফেরার দেশে চলে যান। তার এ অকাল মৃত্যুতে এনবিআরসহ সমগ্র জাতির এক অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হলো। কর্মজীবনে সুনাম ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালনকারী এই রাজস্ব সৈনিক মৃত্যুকালে স্ত্রী মানষী সাহা, সাঁঝবাতি নামে ছয়বছর বয়সী একটি কন্যা শিশু, প্রাণপ্রিয় সহকর্মীসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
আরো বলা হয়, অ্যাসোসিয়েশনের সকল সদস্য আমাদের এনবিআরের এ মেধাবী ও দক্ষ সহকর্মীর অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি। আমরা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি। পরম করুনাময় সৃষ্টিকর্তা যেন তার আত্মার শান্তি দেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারকে এ গভীর শোক সহ্য করার শক্তি দেন।
সূত্র জানায়, সরকারি ঘোষণার পর থেকে তিনি অফিস করেছেন। তিনি যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করে অফিস করেছেন। অফিস আর বাসা ছাড়া কোথাও যেতেন না। সর্বশেষ তিনি ১৪ মে অফিস করেছেন। এরপর কয়েকদিন ধরে তার তীব্র জ্বর ছিল। করোনার উপসর্গ থাকায় নমুনা পরীক্ষা করান। ২৮ মে (বৃহস্পতিবার) তার নমুনা পজেটিভ আসে। জ্বরের সাথে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় ওইদিন তাকে ঢাকা মেডিকেলের করোনা ইউনিট-২ (বেড-১, রুম-১, ওয়ার্ড-৬০১) ভর্তি করানো হয়। দেওয়া হয় অক্সিজেন সাপোর্ট। অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সোমবার রাতে অবস্থার আরো অবনতি হলে ভেন্টিলেশনে নেওয়া হয়। পরে রাত ১১টার দিকে তিনি মারা যান। সুত্র- শেয়ার বিজ