শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

৩০ জুনের মধ্যেই পরিশোধ করতে হবে গ্যাস-বিদ্যুতের বকেয়া বিল–বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

আলহাজ্ব হাফিজুর রহমান:/=

৩০ জুনের মধ্যেই গ্যাস-বিদ্যুতের বকেয়া বিল দিতে হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, খনিজ ও জ্বালানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিলের বিলম্ব মাশুল জুন পর্যন্ত মওকুফ করা হয়েছিল। তবে ৩০ জুনের মধ্যে এসব বকেয়া বিল না দিলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বুধবার বিদ্যুৎ, খনিজ ও জ্বালানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে থেকে অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সবার ঘরবন্দি হওয়ার মধ্যে গ্যাস ও বিদ্যুতের প্রি-পেইড গ্রাহকদের জন্য নির্বিঘ্ন সেবা নিশ্চিত করতে কোম্পানিভিত্তিক পৃথক উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই দুই সেবাখাতের পোস্ট পেইড গ্রাহকদের বিল পরিশোধে ৩/৪ মাসের শিথিলতার কথা আগেই ঘোষণা করা হয়। সে অনুযায়ী মে মাসের আগে বিদ্যুতের বকেয়া না দিলেও সংযোগ সচল থাকবে বলে জানানো হয়। আর গ্যাসের বিল পরিশোধে জুন মাস পর্যন্ত সময় পান গ্রাহকরা। এজন্য কোনো বিলম্ব মাশুল বা সার চার্জ দিতে হবে না গ্রাহককে।

দেশে করোনা পরিস্থিতি এখন আরও খারাপ। তাই বিলম্ব ফি মওকুফের বিষয়টি আর বাড়ানো হবে কি-না’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটা আর মোটেও বাড়বে না। কারণ আমরা মনে করি, এখন আস্তে আস্তে (আমরা) স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছি। এটা বাড়ালে আবার আমাদের অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে। সুতরাং, এ সময় সবার পার্টিসিপেট (অংশগ্রহণ) দরকার।’

তিন মাসের বিল একসঙ্গে দেয়াটা তো বোঝা হয়ে যাবে-এমন প্রশ্নে নসরুল হামিদ বলেন, ‘অবশ্যই বার্ডেন হবে। তবে এজন্য আমরা আগেই বলেছিলাম প্রস্তুত থাকতে হবে। গ্রাহকদের প্রতিমাসের বিল দেয়া হয়েছে। তবে আমরা বলেছিলাম পরের মাসে বিল দিলেও সার্চ চার্জ লাগবে না। কিন্তু আগামী ৩০ জুনের মধ্যে বিলগুলো পরিশোধ করতে হবে। এরপর একদিন পার হলেই সার্চ চার্জ দেয়া লাগবে।

৩০ জুনের পরেও কেউ যদি বিল দিতে না পারে তাহলে তাদের লাইন কেটে দেয়া হবে কি-না’-জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যে নিয়ম আছে সে নিয়মই প্রয়োগ হবে।’

অতিরিক্ত বিলের বিষয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিতরণ কোম্পানিগুলো এটা সমন্বয় না করলে আমার বরাবর আবেদন করলেই হবে। আমি সব কোম্পানিকেই এগুলো সমন্বয় করতে বলেছি। গ্রাহক যাতে সন্তুষ্ট হয় সেভাবেই ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

৩০ জুনের মধ্যেই পরিশোধ করতে হবে গ্যাস-বিদ্যুতের বকেয়া বিল–বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০২:২৪:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুন ২০২০

আলহাজ্ব হাফিজুর রহমান:/=

৩০ জুনের মধ্যেই গ্যাস-বিদ্যুতের বকেয়া বিল দিতে হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, খনিজ ও জ্বালানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিলের বিলম্ব মাশুল জুন পর্যন্ত মওকুফ করা হয়েছিল। তবে ৩০ জুনের মধ্যে এসব বকেয়া বিল না দিলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বুধবার বিদ্যুৎ, খনিজ ও জ্বালানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে থেকে অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সবার ঘরবন্দি হওয়ার মধ্যে গ্যাস ও বিদ্যুতের প্রি-পেইড গ্রাহকদের জন্য নির্বিঘ্ন সেবা নিশ্চিত করতে কোম্পানিভিত্তিক পৃথক উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই দুই সেবাখাতের পোস্ট পেইড গ্রাহকদের বিল পরিশোধে ৩/৪ মাসের শিথিলতার কথা আগেই ঘোষণা করা হয়। সে অনুযায়ী মে মাসের আগে বিদ্যুতের বকেয়া না দিলেও সংযোগ সচল থাকবে বলে জানানো হয়। আর গ্যাসের বিল পরিশোধে জুন মাস পর্যন্ত সময় পান গ্রাহকরা। এজন্য কোনো বিলম্ব মাশুল বা সার চার্জ দিতে হবে না গ্রাহককে।

দেশে করোনা পরিস্থিতি এখন আরও খারাপ। তাই বিলম্ব ফি মওকুফের বিষয়টি আর বাড়ানো হবে কি-না’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটা আর মোটেও বাড়বে না। কারণ আমরা মনে করি, এখন আস্তে আস্তে (আমরা) স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছি। এটা বাড়ালে আবার আমাদের অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে। সুতরাং, এ সময় সবার পার্টিসিপেট (অংশগ্রহণ) দরকার।’

তিন মাসের বিল একসঙ্গে দেয়াটা তো বোঝা হয়ে যাবে-এমন প্রশ্নে নসরুল হামিদ বলেন, ‘অবশ্যই বার্ডেন হবে। তবে এজন্য আমরা আগেই বলেছিলাম প্রস্তুত থাকতে হবে। গ্রাহকদের প্রতিমাসের বিল দেয়া হয়েছে। তবে আমরা বলেছিলাম পরের মাসে বিল দিলেও সার্চ চার্জ লাগবে না। কিন্তু আগামী ৩০ জুনের মধ্যে বিলগুলো পরিশোধ করতে হবে। এরপর একদিন পার হলেই সার্চ চার্জ দেয়া লাগবে।

৩০ জুনের পরেও কেউ যদি বিল দিতে না পারে তাহলে তাদের লাইন কেটে দেয়া হবে কি-না’-জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যে নিয়ম আছে সে নিয়মই প্রয়োগ হবে।’

অতিরিক্ত বিলের বিষয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিতরণ কোম্পানিগুলো এটা সমন্বয় না করলে আমার বরাবর আবেদন করলেই হবে। আমি সব কোম্পানিকেই এগুলো সমন্বয় করতে বলেছি। গ্রাহক যাতে সন্তুষ্ট হয় সেভাবেই ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।