
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কায় ভারতীয় নাগরিকদের দাবির মুখে চালুর কয়েক ঘণ্টা পরে আবারও বন্ধ হয়ে গেছে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম।বুধবার (১০ জুন) বিকলে সাড়ে ৩টা থেকে আবারও বন্ধ হয়ে পড়ে বুড়িমারী স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম। চালুর ৬ ঘন্টা মধ্যে ভারতীয় পাথর বোঝাই ট্রাক প্রবেশ করেছেন ৬৫ টি আর বাংলাদেশ থেকে ভারতে বিভিন্ন পন্য বোঝাই ২০টি ট্রাক প্রবেশ করেন।এর আগে দীর্ঘ আড়াই মাস পরে বুধবার সকাল থেকে উভয় দেশের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম চালু করা হলে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পায় বুড়িমারী ও চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর।বুড়িমারী স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রুহুল আমীন বাবুল জানান, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে ভারত ও বাংলাদেশ সরকার যৌথ সিদ্ধান্তে বুড়িমারী স্থলবন্দরের সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।এতে প্রায় আড়াই মাস বন্ধ হয়ে পড়ে ত্রি-দেশিয় বাণিজ্যকেন্দ্রখ্যাত ভারতীয় চ্যাংরাবান্ধা ও বাংলাদেশের বুড়িমারী স্থলবন্দরের সব কার্যক্রম। ফলে ঝিমিয়ে পড়ে এ স্থলবন্দর। অর্থনীতিতে মন্দাভাব দেখা দেয়। বেকার হয়ে পড়েন হাজার হাজার শ্রমিক। দু’দেশের যৌথ সিদ্ধান্তে বুধবার সকালে বন্দর চালু হলে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ভারতীয় নাগরিকদের দাবির প্রেক্ষিতে আবারও বুড়িমারী স্থলবন্দর বন্ধ হয়।
পণ্য আমদানি-রফতানি শুরু হলে ভারতীয় চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর এলাকার স্থানীয়রা করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কায় বন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানায়। তারা চ্যাংরাবান্ধা বন্দর সড়ক দুই ঘন্টারও বেশি সময় ধরে অবরোধ করে রাখলে চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়।অবশেষে চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের দেওয়া চিঠিতে বুড়িমারী স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, ভারতীয় চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চিঠির কারণে চালুর ৬ ঘণ্টা পরে বুড়িমারী স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।