রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দ্বিতীয় সচিব রেজাউল হাসান করোনায় আক্রান্ত

তানজীর মহসিন অংকন:/=

রাজস্ব বোর্ডের দ্বিতীয় সচিব কাজী রেজাউল হাসান করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দ্বিতীয় সচিব (মূসক নীতি) হিসেবে কর্মরত। মঙ্গলবার (১৬ জুন) তার নমুনা পজেটিভ আসে। বিসিএস (কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট) অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ মুসফিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। প্রথমবার এনবিআরে কর্মরত কোন কর্মকর্তার করোনা সনাক্ত হয়েছে।

সৈয়দ মুসফিকুর রহমান বলেন, কাজী রেজাউল হাসান বিসিএস (কাস্টমস অ্যান্ড এক্সাইজ) ৩০ ব্যাচের কর্মকর্তা। গতকাল (মঙ্গলবার) তার নমুনা পজেটিভ এসেছে। আমরা তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ রাখছি। তবে সে আক্রান্ত হলেও ভালো আছেন।

বুধবার (১৭ জুন) কাজী রেজাউল হাসান  বলেন, ৮-৯ দিন আগে হালকা সর্দি ও কাশি হয়েছিল। ১১ জুন বৃহস্পতিবার নমুনা দিয়েছি। মঙ্গলবার রেজাল্ট দিয়েছি, যাতে নমুনা পজেটিভ। চিকিৎসা নিচ্ছি। ভালো আছি। আমার পরিবারের কারো উপসর্গ নেই। তবে বাজেটের সময় প্রচুর কাজ করতে হয়েছে। হয়ত কারো সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত হতে পারেন বলে তিনি ধারণা করছেন।

১১ জুন বাজেট ঘোষিত হয়েছে। বাজেটের আগে কয়েকমাস বাজেট প্রস্তুতে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয়। বিশেষ করে কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়কর নীতির শাখার। এছাড়া অন্যান্য শাখার কর্মরতদের পরিশ্রম করতে হয়। এ মহামারির মধ্যেও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাজেটের কাজ করেছেন। ফলে কারো সংস্পর্শে এসে কাজী রেজাউল হাসান আক্রান্ত হতে পারেন। তবে এনবিআরে প্রথমবার কোন কর্মকর্তা আক্রান্ত হয়েছেন।

বিসিএস (কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট) অ্যাসোসিয়েশনের সূত্রমতে, রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এ নিয়ে তিনজন উপ কমিশনার ও তিনজন সহকারী কমিশনার আক্রান্ত হয়েছেন। কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগে এখন পর্যন্ত ৮৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে দুইজন রাজস্ব কর্মকর্তা করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। প্রতিদিনই নমুনা হচ্ছে, আক্রান্ত হচ্ছে। বহু কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনাভাইরাস নিয়ে অফিস করছেন। উপসর্গ না থাকায় আক্রান্ত এ উপ কমিশনার আক্রান্ত হওয়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

সূত্রমতে, কাজী রেজাউল হাসান ছাড়াও ৩০ তম ব্যাচের মোহাম্মদ সাইদুল আলম ও ইমাম গাজ্জালী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মোহাম্মদ সাইদুল আলম কাস্টম, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপীলাত ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার ও ইমাম গাজ্জালী রংপুর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটে কর্মরত। এছাড়া ৩১ ব্যাচের তিনজন সহকারী কমিশনার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে শরীফ মোহাম্মদ ফয়সাল ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটে, উম্মে নাহিদা আক্তার ঢাকা কাস্টম হাউসে এবং এ এস এম নাজমুল হক শিমুল পানগাঁও কাস্টম হাউসে কর্মরত।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দ্বিতীয় সচিব রেজাউল হাসান করোনায় আক্রান্ত

প্রকাশের সময় : ০৬:৫০:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুন ২০২০

তানজীর মহসিন অংকন:/=

রাজস্ব বোর্ডের দ্বিতীয় সচিব কাজী রেজাউল হাসান করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দ্বিতীয় সচিব (মূসক নীতি) হিসেবে কর্মরত। মঙ্গলবার (১৬ জুন) তার নমুনা পজেটিভ আসে। বিসিএস (কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট) অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ মুসফিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। প্রথমবার এনবিআরে কর্মরত কোন কর্মকর্তার করোনা সনাক্ত হয়েছে।

সৈয়দ মুসফিকুর রহমান বলেন, কাজী রেজাউল হাসান বিসিএস (কাস্টমস অ্যান্ড এক্সাইজ) ৩০ ব্যাচের কর্মকর্তা। গতকাল (মঙ্গলবার) তার নমুনা পজেটিভ এসেছে। আমরা তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ রাখছি। তবে সে আক্রান্ত হলেও ভালো আছেন।

বুধবার (১৭ জুন) কাজী রেজাউল হাসান  বলেন, ৮-৯ দিন আগে হালকা সর্দি ও কাশি হয়েছিল। ১১ জুন বৃহস্পতিবার নমুনা দিয়েছি। মঙ্গলবার রেজাল্ট দিয়েছি, যাতে নমুনা পজেটিভ। চিকিৎসা নিচ্ছি। ভালো আছি। আমার পরিবারের কারো উপসর্গ নেই। তবে বাজেটের সময় প্রচুর কাজ করতে হয়েছে। হয়ত কারো সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত হতে পারেন বলে তিনি ধারণা করছেন।

১১ জুন বাজেট ঘোষিত হয়েছে। বাজেটের আগে কয়েকমাস বাজেট প্রস্তুতে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয়। বিশেষ করে কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়কর নীতির শাখার। এছাড়া অন্যান্য শাখার কর্মরতদের পরিশ্রম করতে হয়। এ মহামারির মধ্যেও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাজেটের কাজ করেছেন। ফলে কারো সংস্পর্শে এসে কাজী রেজাউল হাসান আক্রান্ত হতে পারেন। তবে এনবিআরে প্রথমবার কোন কর্মকর্তা আক্রান্ত হয়েছেন।

বিসিএস (কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট) অ্যাসোসিয়েশনের সূত্রমতে, রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এ নিয়ে তিনজন উপ কমিশনার ও তিনজন সহকারী কমিশনার আক্রান্ত হয়েছেন। কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগে এখন পর্যন্ত ৮৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে দুইজন রাজস্ব কর্মকর্তা করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। প্রতিদিনই নমুনা হচ্ছে, আক্রান্ত হচ্ছে। বহু কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনাভাইরাস নিয়ে অফিস করছেন। উপসর্গ না থাকায় আক্রান্ত এ উপ কমিশনার আক্রান্ত হওয়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

সূত্রমতে, কাজী রেজাউল হাসান ছাড়াও ৩০ তম ব্যাচের মোহাম্মদ সাইদুল আলম ও ইমাম গাজ্জালী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মোহাম্মদ সাইদুল আলম কাস্টম, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপীলাত ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার ও ইমাম গাজ্জালী রংপুর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটে কর্মরত। এছাড়া ৩১ ব্যাচের তিনজন সহকারী কমিশনার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে শরীফ মোহাম্মদ ফয়সাল ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটে, উম্মে নাহিদা আক্তার ঢাকা কাস্টম হাউসে এবং এ এস এম নাজমুল হক শিমুল পানগাঁও কাস্টম হাউসে কর্মরত।