শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দর্শনা রেল বন্দর দিয়ে ৫০ হাজার মেট্টিক টন পিয়াজ আমদানি

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:/=

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা-ভারতের গেদে ট্রেন রুট দিয়ে ভারত থেকে ৪৯ হাজার ৬০০ মেট্টিকটন পিয়াজ আমদানি করা হয়েছে। আমদানিকৃত পিয়াজ বহন করে বাংলাদেশ রেলওয়ে দর্শনা আন্তর্জাতিক রেল স্টেশনের মাধ্যমে প্রায় ৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা আয় করেছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউন থাকার কারণে দু’দেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়। দীর্ঘ এক মাস ১৪ দিন বন্ধ থাকার পর গত ৯ মে দর্শনা রেল বন্দর দিয়ে ৪২ টি রেলওয়ে ওয়াগনের মাধ্যমে এক হাজার ৪৫ মেট্টিক টন  পিয়াজের প্রথম চালান ভারত থেকে আসে। স্থানীয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রফিকুল ইসলাম জানান, সাতক্ষীরার খালিদ হাসান ট্রেডার্স ভারতের মহারাষ্ট্র থেকে এই পিয়াজ আমদানি করেন। তিনি আরও জানান, আমদানিকৃত পিয়াজ দর্শনা রেল বন্দরে আনলোড করে ট্রাক যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হবে। এরপর থেকে বিভিন্ন আমদানিকারক ভারত থেকে পিয়াজ আমদানি করছেন। প্রায় প্রতিদিনই দর্শনা রেল বন্দরে ভারত থেকে ট্রেনে পিয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। গত ৯ মে থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত এক মাস ৮ দিনে এক হাজার ২৯৯ টি রেলওয়ে ওয়াগনযোগে ৪৯ হাজার ৬০০ মেট্টিক টন পিাঁজ আমদানি করা হয়েছে। আরও পিয়াজ আমদানির অপেক্ষায় রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। ভারত থেকে আমদানি করা পিয়াজ স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি ২৫Ñ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অপর দিকে স্থানীয় পিয়াজ ৪৫Ñ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলওয়ে স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট মীর  লিয়াকত আলী জানান, দর্শনা রেল বন্দরে ভারত থেকে একই সময়ে পিয়াজ, পাথর, চিনি, আদা প্রভৃতি পণ্য আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে   তুলনামুলক পিয়াজ  আমদানি বেশি হয়েছে। আমদানিকৃত পিয়াজ বেশিরভাগই দর্শনা রেল ইয়ার্ডে আনলোড করা হচ্ছে। এছাড়া যশোর নওয়াপাড়া, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন রেল ষ্টেশনে  ওয়াগন থেকে আমদানিকারকগন পিয়াঁজ ডেলিভারি নিচ্ছেন। তিনি আরো বলেন কেবলমাত্র পিয়াজ আমদানি বাবদ ওয়াগন ভাড়া আদায় করেছেন তিন কোটি ১৫ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।

 

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

দর্শনা রেল বন্দর দিয়ে ৫০ হাজার মেট্টিক টন পিয়াজ আমদানি

প্রকাশের সময় : ০৫:৫৭:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০২০

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:/=

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা-ভারতের গেদে ট্রেন রুট দিয়ে ভারত থেকে ৪৯ হাজার ৬০০ মেট্টিকটন পিয়াজ আমদানি করা হয়েছে। আমদানিকৃত পিয়াজ বহন করে বাংলাদেশ রেলওয়ে দর্শনা আন্তর্জাতিক রেল স্টেশনের মাধ্যমে প্রায় ৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা আয় করেছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউন থাকার কারণে দু’দেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়। দীর্ঘ এক মাস ১৪ দিন বন্ধ থাকার পর গত ৯ মে দর্শনা রেল বন্দর দিয়ে ৪২ টি রেলওয়ে ওয়াগনের মাধ্যমে এক হাজার ৪৫ মেট্টিক টন  পিয়াজের প্রথম চালান ভারত থেকে আসে। স্থানীয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রফিকুল ইসলাম জানান, সাতক্ষীরার খালিদ হাসান ট্রেডার্স ভারতের মহারাষ্ট্র থেকে এই পিয়াজ আমদানি করেন। তিনি আরও জানান, আমদানিকৃত পিয়াজ দর্শনা রেল বন্দরে আনলোড করে ট্রাক যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হবে। এরপর থেকে বিভিন্ন আমদানিকারক ভারত থেকে পিয়াজ আমদানি করছেন। প্রায় প্রতিদিনই দর্শনা রেল বন্দরে ভারত থেকে ট্রেনে পিয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। গত ৯ মে থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত এক মাস ৮ দিনে এক হাজার ২৯৯ টি রেলওয়ে ওয়াগনযোগে ৪৯ হাজার ৬০০ মেট্টিক টন পিাঁজ আমদানি করা হয়েছে। আরও পিয়াজ আমদানির অপেক্ষায় রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। ভারত থেকে আমদানি করা পিয়াজ স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি ২৫Ñ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অপর দিকে স্থানীয় পিয়াজ ৪৫Ñ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলওয়ে স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট মীর  লিয়াকত আলী জানান, দর্শনা রেল বন্দরে ভারত থেকে একই সময়ে পিয়াজ, পাথর, চিনি, আদা প্রভৃতি পণ্য আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে   তুলনামুলক পিয়াজ  আমদানি বেশি হয়েছে। আমদানিকৃত পিয়াজ বেশিরভাগই দর্শনা রেল ইয়ার্ডে আনলোড করা হচ্ছে। এছাড়া যশোর নওয়াপাড়া, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন রেল ষ্টেশনে  ওয়াগন থেকে আমদানিকারকগন পিয়াঁজ ডেলিভারি নিচ্ছেন। তিনি আরো বলেন কেবলমাত্র পিয়াজ আমদানি বাবদ ওয়াগন ভাড়া আদায় করেছেন তিন কোটি ১৫ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।