
ইকবাল হোসেন:/=
করোনাভাইরাসের প্রকোপ যুক্তরাষ্ট্রে এখনো খুব একটা কমেনি। প্রতিদিনকার আক্রান্ত, মৃত্যুর সংখ্যা এখনো উদ্বেগজনক থাকলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে দাবি করেছেন দেশটির করোনা বিষয়ক টাস্কফোর্সের অন্যতম সদস্য অ্যান্থনি ফাউসি। এএফপি’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে ফের লকডাউন দেওয়ারও দরকার নেই।
কভিড-১৯ মহামারির দিক থেকে সবচেয়ে বেশি পর্যুদস্ত যুক্তরাষ্ট্র। আক্রান্ত ও মৃত্যু উভয় তালিকাতেই শীর্ষে আছে দেশটি। জনস হপকিন্সের তথ্যের বরাত দিয়ে এএফপি জানিয়েছে, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে প্রায় ৭০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজার ছুঁই ছুঁই।
চব্বিশ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ২৫ হাজার। মোট আক্রান্ত ২১ লাখ ৯০ হাজার ছুঁই ছুঁই। আক্রান্ত-মৃত্যু উভয় তালিকাতেই শীর্ষে দেশটি।
আগে যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে এপিসেন্টার ছিল নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সি। বর্তমানে করোনার প্রকোপ সেখানে অনেকটা কমে এসেছে। সংক্রমণ বেড়েছে উত্তর-পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলে। নতুন করে আক্রান্ত বাড়ছে ওকলামা, ক্যালিফোর্নিয়া ও টেক্সাসে। এরপরও দেশজুড়ে লকডাউনও শিথিলের ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প প্রশাসন।
এই সিদ্ধান্ত যথার্থই বলছেন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম সেরা সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞ ফাউসি। তার মতে আর লকডাউনের দরকার নেই। এএফপিকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি মনে করি না যে, আমাদের আবার লকডাউন ফিরিয়ে আনা নিয়ে কথা বলতে হবে।”
“দেশের জায়গাগুলোতে আক্রান্ত বেড়ে চলছে সেসব জায়গায় পরিস্থিতি কিভাবে আরও ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে চেষ্টা নিয়ে বরং আমাদের আলোচনা করতে হবে।” দেশে স্বাভাবিক জীবনযাপন ফেরানোর জন্য অঞ্চল ধরে ধরে পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন ফাউসি। স্কুলগুলো কবে নাগাদ খোলা হতে পারে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন- “যেসব কাউন্টিতে কোনো সংক্রমণ সেসব অঞ্চলে স্কুল খুলে দিতে কোনো সমস্যা নেই।”
“যেসব অঞ্চলে হালকা সংক্রমণ রয়েছে সেসব অঞ্চলের স্কুলগুলো খুলে দিতে কিছুটা অপেক্ষা করতে হতে পারে। আর দেশের যেসব অঞ্চলে এখনো ন্যূনতম সংক্রমণ রয়েছে সেসব অঞ্চলে ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা যেতে পারে। যেমন: একদিন পর পর ক্লাস, সকাল-বিকেল শিফট, শিক্ষার্থীদের মাস্ক পরিয়ে দূরত্ব বজায় রেখে বসানো।”