
রোকনুজ্জামান রিপন:/=
যশোর করোনার দুর্যোগ মোকাবেলায় মানুষকে সর্বাধিক সেবা প্রদান করে আলোচনায় এখন যশোর জেলা পুলিশ। তাই সাধারণ মানুষের মুখে মুখে এখন জেলা পুলিশের ভূয়সী প্রশংসা। করোনা প্রতিরোধে সাহসী ভূমিকা পালন করছে পুলিশ সুপার (এসপি) মো: আশরাফ হোসেনের নেতৃত্বে যশোর জেলা পুলিশ।
গত মার্চ থেকে করোনা প্রতিরোধে কাজ করতে গিয়ে জেলার ৫ জন পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।তবুও থেমে নেই করোনা প্রতিরোধে কার্যক্রম।
জেলা পুলিশ তথ্য অনুযায়ী, করোনা সংকট মোকাবেলায় কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সামগ্রী প্রদান, প্রায় ৮ হাজার অসহায় দুস্থ, সাংবাদিক, খেলোয়াড়, পতিতালয়, বিউটিশিয়ান, ভ্যান-রিক্সা চালক ও পরিবহন শ্রমিকদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণসহ নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আম্পান পরবর্তীতে সড়কের উপর থেকে গাছ অপসারন করেন জেলা পুলিশের সদস্যরা।
করোনার ভয়াবহতা ও প্রতিরোধে মানুষকে সচেতন করতে মাঠপর্যায়ে প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়। বিভিন্ন হাট-বাজারে গ্রামে-গঞ্জে ও শহরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সর্বস্তরের সদস্য মাইকিং করে মানুষের মাঝে করোনা প্রতিরোধের জন্য সামাজিক দূরত্ব মানতে উৎসাহিত করেন পুলিশ।
পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন বলেন, যারা নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবার তারা সবচেয়ে সংকটে রয়েছে। কারণ তারা প্রকাশ্যে সহায়তা চাইতে পারছেন না। এমন পরিবারের সদস্যদের মাঝে তিনি গোপনে খাদ্য সহায়তা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, যে সব পুলিশ সদস্যের পরিবার সংকটে আছেন তাদেরও সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, জেলায় করোনা সংক্রমণ শুরু হলে লকডাউন, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য সেনাবাহিনী জেলা ও প্রশাসকসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করে জেলা পুলিশ। যতদিন পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় ততদিন পর্যন্ত জেলা পুলিশের পক্ষে এ কাজ অব্যাহত থাকবে। বেনাপোল যশোর শেখ নাছির উদ্দীন