শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বিয়ের প্রলোভনে দশম শ্রেনির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

মোস্তাফিজুর রহমান, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:/=

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় নিজ শেখ সুন্দর এলাকায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মাসুম (২২) নামে এক যুবককে বিরুদ্ধে।শুক্রবার (১৯ জুন) রাতে এ ঘটনায় বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ঐ স্কুল ছাত্রী পিতা। এর আগে ১৭ জুন গভীর রাতে উপজেলার সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর (৬ নং ওয়ার্ড) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ধর্ষক মাসুম ঐ এলাকার আমির হোসেনের ছেলে।থানায় করা অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার নিজ শেখ সুন্দর এলাকার স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীর সাথে একই এলাকার আমির হোসেনের ছেলে মাসুমের মাঝে একবছর যাবতকাল প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তারা একে অপরের নিকট আত্মীয় ও প্রতিবেশী হওয়ার ঐ স্কুল ছাত্রীর বাড়িতে অবাধে যাতায়াত ছিলো মাসুমের। সেই সুবাদে মাসুম মাঝেমধ্যে রাতের আধারে চুপিসারে এসে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে চলে যেতো।১৬ জুন রাত ৮-৯ টার দিকে স্কুল ছাত্রী তার দুই ছোট ভাইসহ নিজ ঘরে ঘুমাতে যায়। এর কিছুক্ষণের মধ্যে ছোট দুই ভাই ঘুমিয়ে পড়ে। সেই সময়ে ১৭ জুন রাত ১২টার পর মাসুম চুপিসারে এসে মেয়েটিকে ডেকে তার ঘরে ঢুকে। ঘরে ঢুকে মাসুম পুর্বের ন্যায় মেয়েটিকে ফুসলিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আলাদা বিছানায় ধর্ষণ করতে থাকে। এমন সময় প্রকৃতির চাপে মেয়েটির একটি ছোট ভাই জাগনা পেয়ে তাকে ডাকতে থাকে। ছেলেটির চিৎকার শুনে মাসুম মেয়েটিকে ছেড়ে দিয়ে ঘরের দরজার আড়ালে লুকিয়ে পড়ে। বোনকে পাশে দেখতে না পেয়ে তার ছোট ভাই মোবাইল ফোনের আলো জ্বালালে দরজার পাশে মাসুমকে লুকিয়ে থাকতে পেয়ে জোড়ে চিল্লাতে থাকে। বাচ্চা ছেলের চিল্লাচিল্লি শুনে তার বাবা-মা তড়িঘড়ি করে ঘর থেকে বের হয়ে টর্চ লাইট জ্বালিয়ে দেখেন মাসুম ঐ ঘর থেকে বের হয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।এরপর ঘটনাটি রাতে জানাজানি হয়। সকালে ইউপি সদস্য আব্দুল মতিনসহ এলাকার কিছু মাতবর এসে মেয়েটির বাবাকে থানায় অভিযোগ না দিয়ে বিষয়টি বসে মিমাংসা করার জন্য চাপ দেয়। এভাবে ঘটনার ৩দিন পেরিয়ে গেলোও বিষয়টির ফয়সালা করতে পারেননি কেউ। এরি মাঝে তড়িঘড়ি করে মাসুমের পরিবার অন্য যায়গায় তার বিয়ে ঠিক করলে শুক্রবার রাতে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।মাসুমের সাথে যোগাযোগ করতে না পেরে তার বড় ভাই আব্দুল মান্নানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি বসে মিমাংসা করা হবে।সানিয়াজান ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য মতিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ঘটনাটি নিয়ে এর আগে দুইদিন বসলেও কোন সমাধান হয়নি। আজকে বাদ জুমা ৩ বারের মতো মিমাংসা জন্য বসলে মাসুমের পরিবার এলাকার বাহিরের কয়েকজম উপস্থিত থাকার কথা বলে তারিখ পরিবর্তন করে সময় চায়।এবিষয়ে কথা হলে সানিয়াজান ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর বলেন, বিষয়টি আমি লোক মুখে শুনেছি। তবে এবিষয়ে আমাকে কেউ অভিযোগ করেনি।হাতীবান্ধা থানার অফিসার্স ইনচার্জ ওসি) উমর ফারুক বলেন, মেয়েটির বাবা এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। ঘটনাটি তদন্তপুর্ব আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বিয়ের প্রলোভনে দশম শ্রেনির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ০৯:০১:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ জুন ২০২০

মোস্তাফিজুর রহমান, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:/=

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় নিজ শেখ সুন্দর এলাকায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মাসুম (২২) নামে এক যুবককে বিরুদ্ধে।শুক্রবার (১৯ জুন) রাতে এ ঘটনায় বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ঐ স্কুল ছাত্রী পিতা। এর আগে ১৭ জুন গভীর রাতে উপজেলার সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর (৬ নং ওয়ার্ড) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ধর্ষক মাসুম ঐ এলাকার আমির হোসেনের ছেলে।থানায় করা অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার নিজ শেখ সুন্দর এলাকার স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীর সাথে একই এলাকার আমির হোসেনের ছেলে মাসুমের মাঝে একবছর যাবতকাল প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তারা একে অপরের নিকট আত্মীয় ও প্রতিবেশী হওয়ার ঐ স্কুল ছাত্রীর বাড়িতে অবাধে যাতায়াত ছিলো মাসুমের। সেই সুবাদে মাসুম মাঝেমধ্যে রাতের আধারে চুপিসারে এসে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে চলে যেতো।১৬ জুন রাত ৮-৯ টার দিকে স্কুল ছাত্রী তার দুই ছোট ভাইসহ নিজ ঘরে ঘুমাতে যায়। এর কিছুক্ষণের মধ্যে ছোট দুই ভাই ঘুমিয়ে পড়ে। সেই সময়ে ১৭ জুন রাত ১২টার পর মাসুম চুপিসারে এসে মেয়েটিকে ডেকে তার ঘরে ঢুকে। ঘরে ঢুকে মাসুম পুর্বের ন্যায় মেয়েটিকে ফুসলিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আলাদা বিছানায় ধর্ষণ করতে থাকে। এমন সময় প্রকৃতির চাপে মেয়েটির একটি ছোট ভাই জাগনা পেয়ে তাকে ডাকতে থাকে। ছেলেটির চিৎকার শুনে মাসুম মেয়েটিকে ছেড়ে দিয়ে ঘরের দরজার আড়ালে লুকিয়ে পড়ে। বোনকে পাশে দেখতে না পেয়ে তার ছোট ভাই মোবাইল ফোনের আলো জ্বালালে দরজার পাশে মাসুমকে লুকিয়ে থাকতে পেয়ে জোড়ে চিল্লাতে থাকে। বাচ্চা ছেলের চিল্লাচিল্লি শুনে তার বাবা-মা তড়িঘড়ি করে ঘর থেকে বের হয়ে টর্চ লাইট জ্বালিয়ে দেখেন মাসুম ঐ ঘর থেকে বের হয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।এরপর ঘটনাটি রাতে জানাজানি হয়। সকালে ইউপি সদস্য আব্দুল মতিনসহ এলাকার কিছু মাতবর এসে মেয়েটির বাবাকে থানায় অভিযোগ না দিয়ে বিষয়টি বসে মিমাংসা করার জন্য চাপ দেয়। এভাবে ঘটনার ৩দিন পেরিয়ে গেলোও বিষয়টির ফয়সালা করতে পারেননি কেউ। এরি মাঝে তড়িঘড়ি করে মাসুমের পরিবার অন্য যায়গায় তার বিয়ে ঠিক করলে শুক্রবার রাতে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।মাসুমের সাথে যোগাযোগ করতে না পেরে তার বড় ভাই আব্দুল মান্নানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি বসে মিমাংসা করা হবে।সানিয়াজান ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য মতিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ঘটনাটি নিয়ে এর আগে দুইদিন বসলেও কোন সমাধান হয়নি। আজকে বাদ জুমা ৩ বারের মতো মিমাংসা জন্য বসলে মাসুমের পরিবার এলাকার বাহিরের কয়েকজম উপস্থিত থাকার কথা বলে তারিখ পরিবর্তন করে সময় চায়।এবিষয়ে কথা হলে সানিয়াজান ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর বলেন, বিষয়টি আমি লোক মুখে শুনেছি। তবে এবিষয়ে আমাকে কেউ অভিযোগ করেনি।হাতীবান্ধা থানার অফিসার্স ইনচার্জ ওসি) উমর ফারুক বলেন, মেয়েটির বাবা এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। ঘটনাটি তদন্তপুর্ব আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।