
নুরুজ্জামান লিটন:/=
রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আরো এক উপ কমিশনার (ডেপুটি কমিশনার বা ডিসি) করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মো. আল আমিন নামের এ কর্মকর্তা চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে কর্মরত। বিসিএস (কাস্টমস অ্যান্ড এক্সাইজ) ২৯ ব্যাচের এ কর্মকর্তা বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সোমবার বিসিএস (কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট) অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ মুসফিকুর রহমান ও মো. আল আমিনের একাধিক সহকর্মী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১০৭। যার মধ্যে চারজন ডেপুটি কমিশনার ও ছয়জন সহকারী কমিশনার। সুস্থ হয়েছেন ২৪ জন।
সৈয়দ মুসফিকুর রহমান জানান, মো. আল আমিন রোববার (২১ জুন) নমুনা পজেটিভ এসেছে। বর্তমানে সে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমরা তার সাথে যোগাযোগ রেখে চিকিৎসার খোঁজ রাখছি। রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সে আক্রান্ত হয়েছেন। তার দুই বাচ্চা ও স্ত্রীর নমুনা পরীক্ষা করা হবে।
মো. আল আমিনের একাধিক সহকর্মী জানান, ডিউটি করতে গিয়ে সে আক্রান্ত হয়েছেন। গত ১০ দিন ধরে তার জ্বর, কাশি। সাতদিন আগে নমুনা পরীক্ষা করানো হলেও তার রেজাল্ট পায়নি। পরশু আবার নমুনা পরীক্ষা করানো হয়। রোববার নমুনা পজেটিভ আসে। বর্তমানে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, তার পাঁচ ও দেড় বছরের দুই সন্তান রয়েছে। তার স্ত্রী ও দুই সন্তানের নমুনা পরীক্ষা করা হবে। দায়িত্ব পালন করার সময় সব সময় পিপিই পরতো। এছাড়া সব সময় সাবধানতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে। এরপরও আক্রান্ত। হাউস থেকে তার চিকিৎসার খোঁজ রাখা হচ্ছে।
ডিসি মো. আল আমিন বলেন, এখনো গায়ে জ্বর আছে। আগের চেয়ে ভালো আছি। পরিবারের অন্যদের নমুনা পরীক্ষা করানো হবে। দোয়া করবেন।
কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সূত্রমতে, রোববার পর্যন্ত সর্বশেষ সিলেট ভ্যাট কমিশনারেটের সহকারী কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ আল আমিন সস্ত্রীক এবং ঢাকা কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা কবির শিকদার আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত ১০৭ জনের ২ জন রাজস্ব কর্মকর্তা মারা গেছেন।
ছয়টি কাস্টমস হাউসের মধ্যে বেনাপোল ছাড়া বাকি ৫টি কাস্টমস হাউসে ৬৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী আক্রান্ত। খুলনা ও রাজশাহী ভ্যাট কমিশনারেটে এখনো কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী আক্রান্ত হয়নি। বাকি এলটিইউ ও ৯টি কমিশনারেটে ৩৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরী করোনার বিরুদ্ধে আগাম সতর্কতামুলক ব্যবস্থা গ্রহন করায় এ কাস্সটমস হা্লউসের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীরা নিরাপদে আছেন।