
আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ:/=
সমসাময়িক তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমদের সাথে একই সময়ে ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার ইচ্ছে পোষণ করলেন বাংলাদেশের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
ক্রিকেট বিষয়ক একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেছেন, একই দলে থাকলেও তামিম-মুশফিকের সাথে দারুণ প্রতিযোগিতা চলে সাকিবের। কেউ একজন রান করলে অন্য দুজন তাকে ছাড়িয়ে যেতে মুখিয়ে থাকেন।
সাকিব বলেন, ‘আমাদের তিনজনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দিতা হয় এবং সেটা দলের স্বার্থেই হয়। আমাদের মধ্যে যে প্রতিন্দ্বন্দিতা সেটি খুবই ইতিবাচক। যা দলের জন্যই ভালো। আমাদের মধ্যে কেউ একশ রান করলে, অন্যের চিন্তা থাকে নিজের স্কোরটা ১২০ করার। বাংলাদেশের হয়ে আমাদের পরিসংখ্যানও কাছাকাছি। এমনই আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা।’
প্রায় একই সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু করেন তামিম-মুশফিক ও সাকিব। ২০০৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ দিয়েই স্পটলাইটে আসেন তারা। বর্তমানে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ও সেরা তিন খেলোয়াড় তারা। তাদের হাত ধরে বাংলাদেশ অনেক ঐতিহাসিক জয়ও পেয়েছে।
বর্তমানে পরিবারের সাথে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন সাকিব। তিনি জানান, একত্রে ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার পর তামিম-মুশফিকের সাথে বসে অতীত দিনগুলোর মধুর স্মৃতিচারণ করতে চান।
সাকিব বলেন, ‘আমার মনে হয় আমাদের তিনজনের জন্য দারুণ সময় আসবে তখনই, যখন আমরা একসাথে অবসরে যাব। এক জায়গায় বসে একদিন স্মৃতিচারণ করব। বাংলাদেশের হয়ে আমরা কি কি করেছি, কেমন করেছি, কি অর্জন করেছি, সেগুলো নিয়ে কথা বলব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সেই অনূর্ধ্ব-১৫ দল থেকেই এক সাথে খেলছি। এখনো আমরা একসাথে খেলছি এবং আশা করছি, এক সাথে আরও কয়েকটা বছর আমরা খেলতে পারব। পরবর্তীতে বসে আমরা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য কি করেছি, তা নিয়ে কথা বলতে পারব।’
জুয়াড়ির তথ্য গোপন করায় বর্তমানে সবধরনের ক্রিকেটে নিষিদ্ধ আছেন সাকিব। তবে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ এই তিনজনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি।
সাকিব বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা ২০২৩ বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবছি। যেটা কিনা দেশের ক্রিকেট ও আমাদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের জন্য এখন কেবল তাকানোর পালা। আশা করি, কয়েক বছর পরে আমরা পেছনে দেখব এবং চিন্তা করব, আমরা কি করেছি।’