সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশের বিভিন্ন জেলায় দুদক ৯৪ জনপ্রতিনিধির দুর্নীতি অনুসন্ধান করবে

ইকবাল হোসেন:/=

দেশের বিভিন্ন জেলায় ৯৪ জন জনপ্রতিনিধির দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর সরকারের বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির প্রকৃত উপকারভোগীদের বঞ্চিত করে সুবিধাদি আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে এসব জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে।

কমিশনের অভিযোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক এ কে এম সোহেলের নেতৃত্বাধীন যাচাই-বাছাই কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে কমিশন এই ৯৪ জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়।

এসব জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে সরকারি ত্রাণ আত্মসাৎ, ভুয়া মাস্টাররোলের মাধ্যমে সরকারি চাল আত্মসাৎ, সরকারি ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিতরণ না করে কালোবাজারে বিক্রি, জেলেদের ভিজিএফের চাল আত্মসাৎ, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রণয়নে স্বজনপ্রীতি ও অনিয়ম, উপকারভোগীদের ভুয়া তালিকা প্রণয়ন করে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির খাদ্যসামগ্রী আত্মসাৎ ইত্যাদি।

এই ৯৪ জন প্রতিনিধিদের মধ্যে ৩০ জন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ৬৪ জন ইউপি সদস্য রয়েছেন। এসব জনপ্রতিনিধিদের ইতোমধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সাময়িকভাবে বরখাস্তও করেছে।

এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, ইতোমধ্যে কমিশন সরকারের সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে ২১টি মামলা দায়ের করেছে। এসব মামলায় অনেকে গ্রেপ্তারও হয়েছেন। মামলাগুলো তদন্ত করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, নতুন করে এই ৯৪ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। আমরা প্রত্যাশা করি জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে সবাই সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ত্রাণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদক কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কারো প্রতি ন্যূনতম নমনীয় হওয়ার সুযোগ নেই। ত্রাণ দুর্নীতিবাজ প্রত্যেককেই আইনের মুখোমুখি হতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

জনপ্রিয়

পলিথিন-প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে বনজীবিদের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মশালা অনুষ্ঠিত

দেশের বিভিন্ন জেলায় দুদক ৯৪ জনপ্রতিনিধির দুর্নীতি অনুসন্ধান করবে

প্রকাশের সময় : ০৪:৫৬:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুন ২০২০

ইকবাল হোসেন:/=

দেশের বিভিন্ন জেলায় ৯৪ জন জনপ্রতিনিধির দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর সরকারের বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির প্রকৃত উপকারভোগীদের বঞ্চিত করে সুবিধাদি আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে এসব জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে।

কমিশনের অভিযোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক এ কে এম সোহেলের নেতৃত্বাধীন যাচাই-বাছাই কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে কমিশন এই ৯৪ জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়।

এসব জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে সরকারি ত্রাণ আত্মসাৎ, ভুয়া মাস্টাররোলের মাধ্যমে সরকারি চাল আত্মসাৎ, সরকারি ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিতরণ না করে কালোবাজারে বিক্রি, জেলেদের ভিজিএফের চাল আত্মসাৎ, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রণয়নে স্বজনপ্রীতি ও অনিয়ম, উপকারভোগীদের ভুয়া তালিকা প্রণয়ন করে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির খাদ্যসামগ্রী আত্মসাৎ ইত্যাদি।

এই ৯৪ জন প্রতিনিধিদের মধ্যে ৩০ জন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ৬৪ জন ইউপি সদস্য রয়েছেন। এসব জনপ্রতিনিধিদের ইতোমধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সাময়িকভাবে বরখাস্তও করেছে।

এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, ইতোমধ্যে কমিশন সরকারের সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে ২১টি মামলা দায়ের করেছে। এসব মামলায় অনেকে গ্রেপ্তারও হয়েছেন। মামলাগুলো তদন্ত করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, নতুন করে এই ৯৪ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। আমরা প্রত্যাশা করি জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে সবাই সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ত্রাণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদক কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কারো প্রতি ন্যূনতম নমনীয় হওয়ার সুযোগ নেই। ত্রাণ দুর্নীতিবাজ প্রত্যেককেই আইনের মুখোমুখি হতে হবে।