ইকবাল হোসেন:/=
বয়স চল্লিশের কোঠা পেরলে কিছু না কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়াটা মোটেও অস্বাভাবিক নয়! কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি আর বয়স, দুইয়ের কথা মাথায় রাখলে আমাদের চল্লিশোর্ধ বাবাদের স্বাস্থ্যের দিকে একটু বাড়তি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কীভাবে? রইল তারই গাইডলাইন:
ডায়েটে ফাইবার ইনটেক বাড়ান। ফাইবারসমৃদ্ধ ডায়েট হজমে সাহায্য করে, বাওয়েল ফাংশন ঠিক রাখে ও গুড ব্যাকটিরিয়া বাঁচিয়ে রাখে। হার্টের সমস্যা থেকে টাইপ টু ডায়াবিটিস, খানিকটা হলেও রুখে দিতে পারে ফাইবার। ডাল, ব্ল্যাক বিনস, চিয়া সিড, তিল, চারমগজ, ফ্ল্যাক্সসিড, কড়াইশুঁটি, ওটস, কিনোয়া, পাতাওলা সবজি, আমন্ড, কাজুবাদাম, পেস্তা ও আনপলিশড চালে থাকে পর্যাপ্ত ফাইবার। কলা বা পালংশাকের মতো খাবারে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি ও সোডিয়ামের মাত্রা কম থাকে। এগুলোও খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখবেন। ঝিঙে, পটল, চিচিঙ্গে, বাঁধাকপি, লেটুস, ব্রকোলি, ফুলকপির মতো সবজি ও তরমুজ, শসা, পেয়ারা ও ন্যাসপাতির মতো ফলও এই বয়সে খুব উপকারী।
চল্লিশের পরে ইমিউনিটি ধরে রাখতে রান্নায় মশলা ও হার্বস ব্যবহার করুন। তুলসী, যষ্টিমধু, শুকনো আদা, জিরে, ধনে, হলুদ, কালোজিরে, গোলমরিচ, দারচিনি, লবঙ্গ ইমিউনিটি বাড়াতে ও রোগ তাড়াতে কাজে দেয়। দুধে হলুদ মিশিয়েও খেতে পারেন।
বয়স বাড়লে হাড়ের জোর কমে। তাই ক্যালশিয়াম-সমৃদ্ধ ডায়েট প্রয়োজন। দুধ, বাড়িতে পাতা দই, সিরিয়াল, মাছ খান নিয়মিত। প্রোটিন ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের জন্য চিকেন, ডাল, সয়া মিল্ক, লো ফ্যাট পনির, লিন ফিশ (চারাপোনা, বাটা, পার্শে) খেতে পারেন। গ্রিন টি, ব্ল্যাক টি, আপেল আর হলুদও খাওয়া জরুরি।
স্যাচুরেটেড ফ্যাটের বদলে হেলদি ফ্যাট খান। অর্থাৎ অলিভ অয়েল, সানফ্লাওয়ার অয়েল, ফিশ অয়েল উপকারী। আর্টিফিশিয়াল সুইটনার, প্যাকেটের জুস, মাফিন ও কেক, মাটন, জাঙ্ক ফুড যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।