সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুন্দরবনের সব নদী-খালে ২ মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ

সম্রাট আকবর:/=
১ জুলাই থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বন বিভাগ। এই দুই মাস বেশিরভাগ মাছের প্রজনন মৌসুম থাকায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন বিভাগ। এ জন্য ২৪ জুন থেকে সুন্দরবনে প্রবেশের জন্য সব পাশ ও পারমিট দেয়া বন্ধ রেখেছে বন বিভাগ। এর আগে গেল বছরও এই দুই মাস সুন্দরবনে মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল।

পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মাদ বেলায়েত হোসেন বলেন, সুন্দরবনে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় ইন্টিগ্রেটেড রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানস এর (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৯ সালে সুন্দরবন বন বিভাগ একটি চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে। যার অংশ হিসেবে প্রতিবছর ১ জুলাই থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনের (পূর্ব ও পশ্চিম) সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ থাকবে। এই দুই মাস সুন্দরবনের নদী খালে থাকা বেশির ভাগ মাছের প্রজনন মৌসুম। যার ফলে এ সময় মাছ ধরা বন্ধ থাকলে সুন্দরবনের নদী খালে যেমন মাছ বৃদ্ধি পাবে, তেমনি অন্যান্য প্রাণি, উদ্ভিদসহ সব জীবের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত প্রতিবছর একই সময়ে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে মাছ আহরণ নিষিদ্ধ থাকবে। এ সময়ে চোরা শিকারিরা যাতে মেতে না উঠতে পারে সে জন্য বনে টহল জোরদার করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

জনপ্রিয়

ফেসবুকে পোস্ট নিয়ে সাংবাদিকের ওপর অতর্কিত হামলা

সুন্দরবনের সব নদী-খালে ২ মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ

প্রকাশের সময় : ০৭:১৪:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুন ২০২০

সম্রাট আকবর:/=
১ জুলাই থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বন বিভাগ। এই দুই মাস বেশিরভাগ মাছের প্রজনন মৌসুম থাকায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন বিভাগ। এ জন্য ২৪ জুন থেকে সুন্দরবনে প্রবেশের জন্য সব পাশ ও পারমিট দেয়া বন্ধ রেখেছে বন বিভাগ। এর আগে গেল বছরও এই দুই মাস সুন্দরবনে মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল।

পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মাদ বেলায়েত হোসেন বলেন, সুন্দরবনে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় ইন্টিগ্রেটেড রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানস এর (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৯ সালে সুন্দরবন বন বিভাগ একটি চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে। যার অংশ হিসেবে প্রতিবছর ১ জুলাই থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনের (পূর্ব ও পশ্চিম) সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ থাকবে। এই দুই মাস সুন্দরবনের নদী খালে থাকা বেশির ভাগ মাছের প্রজনন মৌসুম। যার ফলে এ সময় মাছ ধরা বন্ধ থাকলে সুন্দরবনের নদী খালে যেমন মাছ বৃদ্ধি পাবে, তেমনি অন্যান্য প্রাণি, উদ্ভিদসহ সব জীবের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত প্রতিবছর একই সময়ে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে মাছ আহরণ নিষিদ্ধ থাকবে। এ সময়ে চোরা শিকারিরা যাতে মেতে না উঠতে পারে সে জন্য বনে টহল জোরদার করা হয়েছে।