বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ ৭ খাবার

দেবুল কুমার দাস:/=

এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো কলার চেয়ে্ও বেশি পটাশিয়াম সমৃদ্ধ। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণসহ বেশকিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে পটাশিয়ামের। সুস্থ থাকতে খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন এই খাবারগুলো।

১. স্পিনাচ: স্বাস্থ্যকর এই সবুজ শাকে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিতে ভরপুর। এতে প্রচুর পানি ও  ফাইবারে ভরপুর। এটি প্রয়োজনীয় ভিটামিন- এ, সি এবং কে জোগা ন দেয়। এছাড়াও এতে ফলিক এসিড, আয়রন এবং ক্যালসিয়ামে ভরপুর। এটি ওজন কমাতে্ও সহায়ক।

২. ডাব: গরমে ডাবের পানি শরীর সতেজ রাখতে সহায়তা করে। এই পানীয়তে অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে। কোমল পানীয়ের পরিবর্তে ডাবের পানি খেতে পারেন। এটি শরীর আর্দ্র রাখবে এবং পর‌্যাপ্ত পরিমাণ পটাশিয়াম জোগান দেয়ার পাশাপাশি শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান দূর করতে সহায়তা করবে।

৩. তরমুজ: গ্রীষ্মকালীন এই ফলে পানিতে ভরপুর। এটি হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। প্রচুর পটাশিয়াম থাকার কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

৪. আলু:  রান্নায় বহুল ব্যবহৃত একটি সবজি। সাধারণ এবং মিষ্টি দুই ধরনের আলুতেই পটাশিয়াম রয়েছে।

৫. বেদানা: পটাশিয়াম সমৃদ্ধ আরেকটি ফল। এটি ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন সি, কে এবং ফলিত সমৃদ্ধ। এতে প্রদাহ প্রতিরোধী উপাদান রয়েছে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং  অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি কমায়।

৬. কমলার জুস: অনেকে সকালের নাসতায় কমলার জুস পান করে থাকেন। এটি শরীরে ভিটামিন সি এবং পটাশিয়ামের জোগান দেয়। এতে পর‌্যপ্ত ফাইবারও রয়েছে।

৭. শুকনো এপ্রিকট: সবসময়ই পা্ওয়া যায় শুকনো এপ্রিকট ফল। পাকা ফলের মতোই পুষ্টিমান অটুট থাকে এই শুকনো ফলে। ৬টি শুকনো এপ্রিকটে ৪৮৮ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম পা্ওয়া যায়। এটি শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, চোখ এবং হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

জনপ্রিয়

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ ৭ খাবার

প্রকাশের সময় : ০৮:১০:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুন ২০২০

দেবুল কুমার দাস:/=

এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো কলার চেয়ে্ও বেশি পটাশিয়াম সমৃদ্ধ। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণসহ বেশকিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে পটাশিয়ামের। সুস্থ থাকতে খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন এই খাবারগুলো।

১. স্পিনাচ: স্বাস্থ্যকর এই সবুজ শাকে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিতে ভরপুর। এতে প্রচুর পানি ও  ফাইবারে ভরপুর। এটি প্রয়োজনীয় ভিটামিন- এ, সি এবং কে জোগা ন দেয়। এছাড়াও এতে ফলিক এসিড, আয়রন এবং ক্যালসিয়ামে ভরপুর। এটি ওজন কমাতে্ও সহায়ক।

২. ডাব: গরমে ডাবের পানি শরীর সতেজ রাখতে সহায়তা করে। এই পানীয়তে অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে। কোমল পানীয়ের পরিবর্তে ডাবের পানি খেতে পারেন। এটি শরীর আর্দ্র রাখবে এবং পর‌্যাপ্ত পরিমাণ পটাশিয়াম জোগান দেয়ার পাশাপাশি শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান দূর করতে সহায়তা করবে।

৩. তরমুজ: গ্রীষ্মকালীন এই ফলে পানিতে ভরপুর। এটি হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। প্রচুর পটাশিয়াম থাকার কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

৪. আলু:  রান্নায় বহুল ব্যবহৃত একটি সবজি। সাধারণ এবং মিষ্টি দুই ধরনের আলুতেই পটাশিয়াম রয়েছে।

৫. বেদানা: পটাশিয়াম সমৃদ্ধ আরেকটি ফল। এটি ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন সি, কে এবং ফলিত সমৃদ্ধ। এতে প্রদাহ প্রতিরোধী উপাদান রয়েছে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং  অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি কমায়।

৬. কমলার জুস: অনেকে সকালের নাসতায় কমলার জুস পান করে থাকেন। এটি শরীরে ভিটামিন সি এবং পটাশিয়ামের জোগান দেয়। এতে পর‌্যপ্ত ফাইবারও রয়েছে।

৭. শুকনো এপ্রিকট: সবসময়ই পা্ওয়া যায় শুকনো এপ্রিকট ফল। পাকা ফলের মতোই পুষ্টিমান অটুট থাকে এই শুকনো ফলে। ৬টি শুকনো এপ্রিকটে ৪৮৮ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম পা্ওয়া যায়। এটি শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, চোখ এবং হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।