বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত দাদার বুকে বসে নাতির আর্তনাদ

দেবুল কুমার দাস: স্টাফ রিপোর্টার:/= 

কাশ্মীরে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে এক বেসামরিক নাগরিককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। নিহত ৬৫ বছর বয়সী বশির আহমেদ খানের গুলিবিদ্ধ লাশের ওপর বসে কাঁদছে তার তিন বছর বয়সী নাতি। এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।আলজাজিরা জানায়, ভারত নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলটিতে এমন নির্মমতা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

বশির আহমেদের ভাই নাজির আহমেদ বলেন, আমার ভাই কোনো যোদ্ধা ছিল না। সে কোনো বন্দুকও বহন করতো না। কেন তাকে হত্যা করা হলো?তবে স্থানীয় পুলিশ নাজির আহমেদের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।  তাদের দাবি, উত্তর শহর সোপোরে  স্বাধীনতাকামী ও নিরাপত্তা বাহিনীর বন্দুকযুদ্ধে মধ্যে আটকে পড়ে বশির আহমেদের গাড়ি।

ওই ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্য নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছে বলে সাংবাদিকদের পুলিশ জানায়।    বশির আহমেদের ছেলে সুহাইল আহমেদ বলেন, আমরা একটা ফোন পাই, যাতে বলা হয় আমার বাবা একটা দুর্ঘটনায় পড়েছেন।

তিনি বলেন, আমরা যখন সোপোরে পৌঁছি, তখন আমাদের বলা হলো আমার বাবা বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। তিনি যদি বন্দুকযুদ্ধেই নিহত হন তাহলে তার লাশ গাড়িতে থাকার কথা ছিল, কিন্তু তাকে পড়ে থাকতে দেখি রাস্তাতে।

নিহত এই কাশ্মীরির পরিবারের দাবি, তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে ভারতীয় বাহিনী। মাসে ছয় হাজার রুপি বেতনের ছোটখাটো একটি চাকরি করতেন বশির আহমেদ।

এদিকে নিহত দাদার লাশের ওপর শিশু নাতির গড়াগড়ি খেয়ে কান্নার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে কাশ্মীরিরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।নিরাপরাধ বেসামরিক লোক হত্যার প্রতিবাদে কয়েকশ স্থানীয় বাসিন্দা রাস্তায় নামে বিক্ষোভ করেন এদিন। সুত্র-দেশ রুপান্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

জনপ্রিয়

ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত দাদার বুকে বসে নাতির আর্তনাদ

প্রকাশের সময় : ০৬:৫৯:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জুলাই ২০২০

দেবুল কুমার দাস: স্টাফ রিপোর্টার:/= 

কাশ্মীরে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে এক বেসামরিক নাগরিককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। নিহত ৬৫ বছর বয়সী বশির আহমেদ খানের গুলিবিদ্ধ লাশের ওপর বসে কাঁদছে তার তিন বছর বয়সী নাতি। এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।আলজাজিরা জানায়, ভারত নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলটিতে এমন নির্মমতা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

বশির আহমেদের ভাই নাজির আহমেদ বলেন, আমার ভাই কোনো যোদ্ধা ছিল না। সে কোনো বন্দুকও বহন করতো না। কেন তাকে হত্যা করা হলো?তবে স্থানীয় পুলিশ নাজির আহমেদের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।  তাদের দাবি, উত্তর শহর সোপোরে  স্বাধীনতাকামী ও নিরাপত্তা বাহিনীর বন্দুকযুদ্ধে মধ্যে আটকে পড়ে বশির আহমেদের গাড়ি।

ওই ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্য নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছে বলে সাংবাদিকদের পুলিশ জানায়।    বশির আহমেদের ছেলে সুহাইল আহমেদ বলেন, আমরা একটা ফোন পাই, যাতে বলা হয় আমার বাবা একটা দুর্ঘটনায় পড়েছেন।

তিনি বলেন, আমরা যখন সোপোরে পৌঁছি, তখন আমাদের বলা হলো আমার বাবা বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। তিনি যদি বন্দুকযুদ্ধেই নিহত হন তাহলে তার লাশ গাড়িতে থাকার কথা ছিল, কিন্তু তাকে পড়ে থাকতে দেখি রাস্তাতে।

নিহত এই কাশ্মীরির পরিবারের দাবি, তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে ভারতীয় বাহিনী। মাসে ছয় হাজার রুপি বেতনের ছোটখাটো একটি চাকরি করতেন বশির আহমেদ।

এদিকে নিহত দাদার লাশের ওপর শিশু নাতির গড়াগড়ি খেয়ে কান্নার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে কাশ্মীরিরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।নিরাপরাধ বেসামরিক লোক হত্যার প্রতিবাদে কয়েকশ স্থানীয় বাসিন্দা রাস্তায় নামে বিক্ষোভ করেন এদিন। সুত্র-দেশ রুপান্তর