
How to care for a person with COVID-19 at home: এখন পৃথিবীর প্রায় প্রতিটা দেশই করোনা ভাইরাসের ভয়ে কুঁকড়ে আছে।প্রায় প্রত্যেকের মনেই উঁকি দিচ্ছে, ”যদি আমাকেও করোনা আক্রমণ (Got Covid-19 Infection) করে, তাহলে কী হবে?” এই রকম অবস্থায় আপনাকে বাড়িতে থাকতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে, মাস্ক পরতে হবে, বারংবার সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে, সেনিটাইজিং করতে হবে- এই সমস্ত বিষয় মাথায় রাখাটা খুবই জরুরি। তবে কতদিন সমস্ত কাজ কর্ম ছেড়ে আপনি কতদিন বাড়িতে বসে থাকবেন? কর্মের তাগিদে আপনাকে বাড়ি থেকে বেরতেই হবে, এক্ষেত্রে সংক্ৰমিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় অনেক বেশি। যদি পরিবারের কেউ করোনা আক্রান্ত হয়, তাহলে কী করবেন? জেনে নিন…
How To Take Care Of Corona Patient In Your Family: যাদের মধ্যে এই রোগের লক্ষণ (Covid-19 Pre-symptomatic patients) দেখা যাবে, গৃহ ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রালয়ের নির্দেশ অনুসারে তাদের নিজেদের বাড়িতেই আইসোলেশন (Follow Home Isolation) পালন করে চলতে হবে। আইসোলেশানের ক্ষেত্রে পরিবারের অন্য সদস্যদের থেকে দূরে থাকতে হবে। তাদের জন্য বাড়িতে আলাদা ভাবে সমস্ত রকম ব্যবস্থা রাখতে হবে। পরিবারের কোনও সদস্যের যদি করোনা ভাইরাস পজিটিভ হয়, তাহলে কীভাবে তাঁর যত্ন নেবেন, এখানে সেটাই বলা হচ্ছে।
কীভাবে বাড়িতেই দেখাশোনা করবেন করোনা ভাইরাসের রোগীদের (How to take care of a family member infected with Covid-19 at home)
১. একটি ঘরে রাখুন: — এমডি আরিফা ক্যাসবয়-এর মতে সংক্ৰমিত রোগীকে একটা ঘরে রাখতে হবে, সেই ঘরের সঙ্গে লাগোয়া বাথরুম থাকত খুবই জরুরি। যদি আলাদা বাথরুম দেওয়া সম্ভব না হয়, তাহলে রোগী তা ব্যবহার করার সঙ্গে সঙ্গে সেই সমস্ত স্থান জীবাণু মুক্ত করাটা খুবই জরুরি, যে সমস্ত জায়গায় হাত লাগার সম্ভাবনা বেশি থাকে।যেমন ধরুন কল, দরজা, দরজার হ্যান্ডেল প্রভৃতি।
২. একজন ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে:
ওই এমডি নিজের ইনস্টাগ্রামের পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন।তাতে তিনি বলেছেন, যদি কেউ অসুস্থতা বোধ করেন তাহলে রোগীর নিজের থেকেই সচেতন হয় উচিত।তার নিজেরই সবকিছু পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে ধ্যান দিতে হবে। সংক্ৰমিত ব্যক্তি যাতে রান্নাঘরে না ঢোকে সেদিকে বিশেষ খেয়াল দিতে হবে।
৩. যদি আলাদা ঘর না থাকে:
যদি আপনার বাড়িতে সংক্ৰমিত রোগীকে আলাদা ঘরে রাখা সম্ভব না হয়, তাহলে অন্যদের থেকে তাকে তিন ফুট দূরে থাকতে হবে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠনের মতানুসারে চিকিৎসক মাস্ক পরে থাকত খুবই জরুরি।
ড. লক্ষ্মণ জেসানি পরামর্শ দিয়েছেন যে, সংক্ৰমিত রোগীকে এমন ঘরে রাখা উচিত, যেখানে হাওয়া চলাচল হয়। তিনি আরও বলেন, ”২৪ ঘণ্টা একজন কেয়ার টেকার থাকাটা জরুরি। যে রোগীর চিকিৎসার দিকে ধ্যান দেবে এবং নিয়মিত হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখে চলবে…”
কীভাবে দেখাশোনা করবেন করোনা রোগীদের? দেখে নিন ড. লক্ষ্মণ জেসানি-র দেওয়া কিছু টিপস:
১. রোগীর সঙ্গে কথা বলা বা তার দেখাশোনা করার সময় মাস্ক ও গ্লাভস পরার সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত রকম সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ২. এমন রোগীদের বাচ্চাদের, বয়স্কদের ও দুর্বল রোগীদের থেকে দূরে থাকতে হবে। ৩. বর্তমান প্রোটকল অনুসারে সমস্ত বিধি নিষেধ মানতে হবে। যদি কোনও ব্যক্তির মধ্যে রোগের লক্ষণ থাকে তাহলে তাকে ১৭ দিন আইসোলেশানে থাকতে হবে। যদি হালকা জ্বর অনুভব করেন তাহলে ১০ দিন নিজেকে আলাদা রাখুন। ৪. সংক্ৰমিত ব্যক্তির মধ্যে সর্দি-কাশির লক্ষণ থাকলে তাদের বারংবার সাবান জলে হাত ধুতে হবে বা এলকোহল যুক্ত স্যানিটাইজার দিয়ে বারবার হাত পরিষ্কার করতে হবে।
সংক্ৰমিত ব্যক্তির মধ্যে সর্দি-কাশির লক্ষণ থাকলে তাদের বারংবার সাবান জলে হাত ধুতে হবে
করোনা ভাইরাসের রোগীদের দেখাশোনা করার সময় যে বিষয় গুলি মাথায় রাখবেন (Other tips for infected people at home quarantine)
বাড়িতে থাকুন, স্কুল, অফিস বা সার্বজনিক কোনও স্থানে যাবেন না। আরামে থাকুন। প্রচুর পরিমাণে জলীয় পদার্থ পান করুন।পুষ্টিকর খাবার খান। নিজের নাক মুখ ঢেকে রাখুন।কাশি বা হাঁচির সময় ডিস্পোজাল টিসুর ব্যবহার করুন। ব্যবহারের পর তা নষ্ট করে ফেলুন। সুত্র :-এনডিটিভি