
সাজ্জাদুল ইসলাম সৌরভ:/=
করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট প্রদান, প্রতারণা ও বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার (৭ জুলাই) র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম এ কথা জানিয়েছেন।
ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘করোনার চিকিৎসার নামে প্রতারণা এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসা রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে ভুয়া রিপোর্ট প্রদান করায় অমানুষের পরিচয় দিয়েছেন তারা। আমি ব্যক্তিগত ভাবে তাদের মানুষ বলতে নারাজ।’
সারোয়ার আলম বলেন, ‘প্রায় ৪ হাজার মানুষের করোনার ভুয়া টেস্ট করেছে রিজেন্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কতটা অমানবিক ও খারাপ হলে মানুষ এতটা নিম্ন কাজ করতে পারে। চিকিৎসা খাতের অনিয়ম দুর্নীতি যারাই করবে আমরা সম্মিলিতভাবে সেসব প্রতিহত করব।’
এই অভিযানে রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহেদকে প্রধান করে অন্য সকল জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। পাশাপাশি রিজেন্ট হাসপাতালে দুটি শাখা ও প্রধান কার্যালয় সিলগালার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে, বিকেল তিনটার দিকে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালায় র্যাব। বিকেল ৩টার পর এ অভিযান শুরু করে র্যাব। অভিযানের শুরতেই রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহেদের ফ্ল্যাগস্ট্যান্ড লাগানো গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। এরপর র্যাবের অভিযানে করোনা পরীক্ষার অনুমোদনহীন কিট উদ্ধার করা হয়। তবে, প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালানো হলেও পলাতক রয়েছেন গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহেদ।
করোনা চিকিৎসায় অনিয়ম পাওয়ায় সিলগালা করা উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা হঠাৎ করেই ভোগান্তিতে পড়েছেন। র্যাব বলছে চুক্তি অনুযায়ী বিনামূল্যে চিকিৎসার কথা থাকলেও তারা লাখ লাখ টাকা বিল করেছে। তবে রিজেন্ট কর্তৃপক্ষের দাবি, অনুমতিপত্রে বিনামূল্যে করোনা চিকিৎসার কোনো কথা উল্লেখ নেই।