
অফসরাহ মহসিন:/=
ধুলো, ময়লা, দূষণের কবলে চুল নিয়ে ভুগছেন অনেকে। এক দিন অন্তর শ্যাম্পু না করলেই চুলে চিটচিটে ভাব। আবার শ্যাম্পুর মধ্যে থাকা কেমিক্যাল চুলের ক্ষতি করেই চলেছে ক্রমাগত। তার উপর রয়েছে আমাদের অবহেলা। চুল ঠিক রাখতে হলে শ্যাম্পু করার ব্যাপারে কিছুটা সতর্কতা রাখতেই হবে।
জেনে নিন শ্যাম্পু করার সময়ে কোন ভুলগুলো এড়িয়ে চলতে হবে:
শ্যাম্পু বাছাইয়ে ভুল :চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু বাছাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এজন্য জানতে হবে আপনার চুল শুষ্ক, তৈলাক্ত নাকি ভঙ্গুর। প্রয়োজনে চুল বিশেষজ্ঞের পরামর্শও নিতে পারেন। পাশাপাশি এড়িয়ে চলতে পারেন শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার একসঙ্গে আছে এমন পণ্য। আপাত দৃষ্টিতে এটি খরচ কমানোর উৎকৃষ্ট পথ মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে একটি পণ্য দিয়ে চুল শ্যাম্পু ও কন্ডিশনিং উভয়ই করা সম্ভব নয়। দীর্ঘদিন একই শ্যাম্পু ব্যবহার করাও চুলের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
চুল ভালোভাবে না ভেজা :শ্যাম্পু করার আগে চুল ভালোভাবে ভেজানো না হলে, শ্যাম্পু তার কাজও ভালোভাবে করতে পারে না। ফলে চুল রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে যায়। তাই চুলে শ্যাম্পু দেওয়ার আগে দু-তিন মিনিট পর্যন্ত চুল ভিজিয়ে নেওয়া উচিৎ।
সঠিক স্থানে শ্যাম্পু না পৌঁছানো : চুলের গোড়ায় শ্যাম্পু পৌঁছানো বেশি জরুরি। মনে রাখতে হবে শ্যাম্পু বেশি দরকার হয় চুলের গোড়ায়। আর কন্ডিশনার কাজ করবে চুলের আগার দিকে। পাশাপাশি প্রতিবার শ্যাম্পু করার সময় মাথার একই জায়গায় শ্যাম্পু ঢালা হলে সেখানের ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
ঘন ঘন শ্যাম্পু ব্যবহার : প্রতিদিন চুল শ্যাম্পু করা উচিত নয়। এতে চুল রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। কমপক্ষে একদিন পর পর শ্যাম্পু করতে হবে। চুলে অতিরিক্ত ধুলাবালি লেগে গেলে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।
কন্ডিশনার :যখনই আমরা শ্যাম্পু করি চুল আর্দ্রতা হারায়। তাই চুলের স্বাস্থ্য ধরে রাখতে প্রতিবারই কন্ডিশনিং করা প্রয়োজন। কিন্তু অনেক সময়ই সময় বাঁচাতে কন্ডিশনিং করি না আমরা। মনে রাখবেন মাত্র দুমিনিট সময় লাগে কন্ডিশনিং করতে। সময় বাঁচাতে গিয়ে চুলের ক্ষতি করবেন না।
চুল ধোয়ায় ভুল :ব্যবহারের পর দ্রুত ধুয়ে ফেললে শ্যাম্পু ঠিক মতো কাজ করার সুযোগ পায় না। চুল মালিশ করে কয়েক মিনিট রেখে তারপর ধুয়ে ফেলুন। আর গরম পানি দিয়ে চুল ধোয়া এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুলে চুলের গোড়া বন্ধ হয়। ফলে কেশ হয় ঝলমলে ও নরম। পাশাপাশি চুল পড়াও কমে।