শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিক্ষিকাকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ , গ্রেফতারি পরোয়ানা ধর্ষকের বিরুদ্ধে

নজরুল ইসলাম #

যশোরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকাকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ ও প্রতারণার মাধ্যমে ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলার আসামি জিএম বাবুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বুধবার যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মাহমুদা খাতুন এই আদেশ দিয়েছেন। এর আগে, গত ৫ মার্চ যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ওই শিক্ষিকা বাবু ওরফে জিএম বাবুর নামে আদালতে মামলা করেন। বাবু উপজেলার হানুয়ার গ্রামের কলেজপাড়ার বাসিন্দা।

মামলার বিবরনে জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই সহকারী শিক্ষিকার দুইটি মেয়ে ও একটি ছেলে রয়েছে। ২০১৪ সালে স্বামীর সাথে তার সম্পর্ক ছিন্ন হয়। এরপর তিনি মণিরামপুরের রাজগঞ্জ বাজার এলাকার একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছেন। ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে জিএম বাবুর সাথে তার পরিচয় হয়। এরপর শিক্ষিকার ভাড়া বাসায় বাবুর যাতায়াত শুরু হয়। এক পর্যায় তার অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে-মেয়েদের সাথে বাবুর সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সাথে শিক্ষিকাকে বিয়ে করার জন্য নানা ধরনের প্রলোভন দেখান বাবু। এক পর্যায় শিক্ষিকার সাথে বাবুর শারীরিক সম্পর্ক হয়। একই সাথে বাবু বিভিন্ন সময় তার কাছ থেকে ২২ লাখ ৩১ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংক এবং এনজিও থেকে শিক্ষিকাকে দিয়ে ঋণ করে নিয়েছেন আরো কয়েক লাখ টাকা। তবে ওই ঋণের ক্ষেত্রে বাবু নিজেকে শিক্ষিকার স্বামী পরিচয় দিয়েছেন।

জানা যায়, গত ৩ মার্চ বাবুকে বাসায় ডেকে নিয়ে ওই শিক্ষিকা বিয়ে করার জন্য বলেন। এসময় বাবু তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। এঘটনায় মণিরামপুর থানায় গেলে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয় থানা কর্তৃপক্ষ। এরপর ৫ মার্চ ওই শিক্ষিকা যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ মামলা করেন। বিচারক মাহমুদা খাতুন মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আদেশ দেন।

পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল মান্নান তদন্ত শেষে ঘটনাটির প্রাথমিকভাবে সত্যতা পেয়েছেন বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর বিচারক বাবুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

পায়ুপথে ৭০ লাখ টাকার স্বর্ণ, পাচারকারী আটক

শিক্ষিকাকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ , গ্রেফতারি পরোয়ানা ধর্ষকের বিরুদ্ধে

প্রকাশের সময় : ০৯:১৪:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২০

নজরুল ইসলাম #

যশোরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকাকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ ও প্রতারণার মাধ্যমে ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলার আসামি জিএম বাবুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বুধবার যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মাহমুদা খাতুন এই আদেশ দিয়েছেন। এর আগে, গত ৫ মার্চ যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ওই শিক্ষিকা বাবু ওরফে জিএম বাবুর নামে আদালতে মামলা করেন। বাবু উপজেলার হানুয়ার গ্রামের কলেজপাড়ার বাসিন্দা।

মামলার বিবরনে জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই সহকারী শিক্ষিকার দুইটি মেয়ে ও একটি ছেলে রয়েছে। ২০১৪ সালে স্বামীর সাথে তার সম্পর্ক ছিন্ন হয়। এরপর তিনি মণিরামপুরের রাজগঞ্জ বাজার এলাকার একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছেন। ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে জিএম বাবুর সাথে তার পরিচয় হয়। এরপর শিক্ষিকার ভাড়া বাসায় বাবুর যাতায়াত শুরু হয়। এক পর্যায় তার অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে-মেয়েদের সাথে বাবুর সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সাথে শিক্ষিকাকে বিয়ে করার জন্য নানা ধরনের প্রলোভন দেখান বাবু। এক পর্যায় শিক্ষিকার সাথে বাবুর শারীরিক সম্পর্ক হয়। একই সাথে বাবু বিভিন্ন সময় তার কাছ থেকে ২২ লাখ ৩১ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংক এবং এনজিও থেকে শিক্ষিকাকে দিয়ে ঋণ করে নিয়েছেন আরো কয়েক লাখ টাকা। তবে ওই ঋণের ক্ষেত্রে বাবু নিজেকে শিক্ষিকার স্বামী পরিচয় দিয়েছেন।

জানা যায়, গত ৩ মার্চ বাবুকে বাসায় ডেকে নিয়ে ওই শিক্ষিকা বিয়ে করার জন্য বলেন। এসময় বাবু তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। এঘটনায় মণিরামপুর থানায় গেলে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয় থানা কর্তৃপক্ষ। এরপর ৫ মার্চ ওই শিক্ষিকা যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ মামলা করেন। বিচারক মাহমুদা খাতুন মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আদেশ দেন।

পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল মান্নান তদন্ত শেষে ঘটনাটির প্রাথমিকভাবে সত্যতা পেয়েছেন বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর বিচারক বাবুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।