মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আন্তর্জাতিক চুক্তির সীমার চেয়ে ‘১০ গুণ বেশি’ ইউরেনিয়াম মজুদ করেছে ইরান

মো: হাফিজুর রহমান #

আন্তর্জাতিক চুক্তির অধীনে অনুমোদিত সীমার চেয়ে ১০ গুণ বেশি ইউরেনিয়াম মজুদ করেছে ইরান। দেশটির পুরোনো একটি পারমাণবিক কেন্দ্র পরিদর্শনের পর এ মন্তব্য করেছে জাতিসংঘের পরমাণু নজরদারিবিষয়ক সংস্থা দ্য ইন্টারন্যাশনাল অটোমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ)।

শুক্রবার ভিয়েনায় আইএইএ’র সদর দফতরে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্দেহজনক কেন্দ্রের মধ্যে ইতিমধ্যেই একটি পরিদর্শন করেছেন সংস্থার পরিদর্শকরা।

অন্যটি চলতি মাসেই পরিদর্শন করা হবে বলে তেহরানের সঙ্গে কথা হয়েছে। শনিবার এ খবর নিশ্চিত করেছে বিবিসি।

গত কয়েক মাস ধরে দু’পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনার পর ইরান তাদের পারমাণবিক কেন্দ্র পরিদর্শনের অনুমতি দেয়।

আইএইএ বলেছে, ইরানের মজুদ করা ইউরেনিয়ামের সংখ্যা দুই হাজার ১০৫ কেজি, যা পরমাণু সমঝোতায় বর্ণিত পরিমাণের ১০ গুণ।

২০১৫ সালে বিশ্বের ছয় পরাশক্তির সঙ্গে পরমাণু চুক্তি অনুযায়ী তিনশ’ কেজির নিচে এটি মজুদ থাকার কথা।
জাতিসংঘের পরমাণুবিষয়ক সংস্থা বলছে, ইরান এখনও ৪.৫ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে যাচ্ছে। যদিও পরমাণু সমঝোতায় দেশটি সর্বোচ্চ ৩.৬৭ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

আইএইএ-এর অভিযোগ ছিল ইরান আইএইএ’কে না জানিয়ে তার দুটি স্থাপনায় পরমাণু তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। পরে তেহরানের পক্ষ থেকে তাদেরকে ওই দুই পরমাণু স্থাপনা পরিদর্শনের অনুমতি দেয়া হয়।

গত সপ্তাহে তেহরান সফরে ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান সালেহির সঙ্গে আইএইএ’র প্রধান রাফায়েল গ্রোসির বৈঠক হয়। সে সময় ইরান স্বেচ্ছায় তাদের দুটি পরমাণু স্থাপনা আইএইএ’র পরিদর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে সম্মত হয়।

গ্রোসির সঙ্গে ইরান যে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে তা আইএইএ’র গতকালের প্রতিবদনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

অবশ্য ইরান জোর দাবি করেছে, শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে তারা পরমাণু কর্মসূচি বহাল রেখেছে। আইএইএ’তে নিযুক্ত ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি কাজেম গারিবাবাদি শুক্রবার রাতে ভিয়েনা সফরে এমন মন্তব্য করেন।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গারিবাবাদি বলেন, গত তিন মাসে ইরানের সঙ্গে আইএইএ’র সহযোগিতার যে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। এতে ইরানের পক্ষ থেকে সংস্থাটিকে সহযোগিতা করার যে কথা বলা হয়েছে তা আইএইএ’র সব সদস্য দেশ ও নির্বাহী পরিষদ স্বাগত জানাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

জনপ্রিয়

পেট্টাপোলে বিজিবি-বিএসএফ সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

আন্তর্জাতিক চুক্তির সীমার চেয়ে ‘১০ গুণ বেশি’ ইউরেনিয়াম মজুদ করেছে ইরান

প্রকাশের সময় : ০৮:০১:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

মো: হাফিজুর রহমান #

আন্তর্জাতিক চুক্তির অধীনে অনুমোদিত সীমার চেয়ে ১০ গুণ বেশি ইউরেনিয়াম মজুদ করেছে ইরান। দেশটির পুরোনো একটি পারমাণবিক কেন্দ্র পরিদর্শনের পর এ মন্তব্য করেছে জাতিসংঘের পরমাণু নজরদারিবিষয়ক সংস্থা দ্য ইন্টারন্যাশনাল অটোমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ)।

শুক্রবার ভিয়েনায় আইএইএ’র সদর দফতরে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্দেহজনক কেন্দ্রের মধ্যে ইতিমধ্যেই একটি পরিদর্শন করেছেন সংস্থার পরিদর্শকরা।

অন্যটি চলতি মাসেই পরিদর্শন করা হবে বলে তেহরানের সঙ্গে কথা হয়েছে। শনিবার এ খবর নিশ্চিত করেছে বিবিসি।

গত কয়েক মাস ধরে দু’পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনার পর ইরান তাদের পারমাণবিক কেন্দ্র পরিদর্শনের অনুমতি দেয়।

আইএইএ বলেছে, ইরানের মজুদ করা ইউরেনিয়ামের সংখ্যা দুই হাজার ১০৫ কেজি, যা পরমাণু সমঝোতায় বর্ণিত পরিমাণের ১০ গুণ।

২০১৫ সালে বিশ্বের ছয় পরাশক্তির সঙ্গে পরমাণু চুক্তি অনুযায়ী তিনশ’ কেজির নিচে এটি মজুদ থাকার কথা।
জাতিসংঘের পরমাণুবিষয়ক সংস্থা বলছে, ইরান এখনও ৪.৫ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে যাচ্ছে। যদিও পরমাণু সমঝোতায় দেশটি সর্বোচ্চ ৩.৬৭ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

আইএইএ-এর অভিযোগ ছিল ইরান আইএইএ’কে না জানিয়ে তার দুটি স্থাপনায় পরমাণু তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। পরে তেহরানের পক্ষ থেকে তাদেরকে ওই দুই পরমাণু স্থাপনা পরিদর্শনের অনুমতি দেয়া হয়।

গত সপ্তাহে তেহরান সফরে ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান সালেহির সঙ্গে আইএইএ’র প্রধান রাফায়েল গ্রোসির বৈঠক হয়। সে সময় ইরান স্বেচ্ছায় তাদের দুটি পরমাণু স্থাপনা আইএইএ’র পরিদর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে সম্মত হয়।

গ্রোসির সঙ্গে ইরান যে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে তা আইএইএ’র গতকালের প্রতিবদনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

অবশ্য ইরান জোর দাবি করেছে, শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে তারা পরমাণু কর্মসূচি বহাল রেখেছে। আইএইএ’তে নিযুক্ত ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি কাজেম গারিবাবাদি শুক্রবার রাতে ভিয়েনা সফরে এমন মন্তব্য করেন।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গারিবাবাদি বলেন, গত তিন মাসে ইরানের সঙ্গে আইএইএ’র সহযোগিতার যে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। এতে ইরানের পক্ষ থেকে সংস্থাটিকে সহযোগিতা করার যে কথা বলা হয়েছে তা আইএইএ’র সব সদস্য দেশ ও নির্বাহী পরিষদ স্বাগত জানাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।