শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মাদক দিয়ে কাউকে ফাঁসানোর চেষ্টাকারী পুলিশের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা

মশিউর রহমান কাজল #

মাদকাসক্ত, মাদক ব্যবসার পৃষ্ঠপোষক অথবা মাদক দিয়ে কাউকে ফাঁসানোর চেষ্টাকারী কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাকে কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। যারা এমন স্পর্শকাতর কর্মকাণ্ডে জড়িত তাদের পুলিশে থাকার প্রয়োজন নেই।বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণের পর শনিবার সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আরএমপির নতুন কমিশনার (ডিআইজি) আবু কালাম সিদ্দিক এভাবে পুলিশের প্রতি এমন কঠোর বার্তা দেন।

পুলিশ কমিশনার বলেন, রাজশাহী দেশের একটি সীমান্ত বিস্তৃত জেলা। আর এ কারণে রাজশাহীতে মাদকের প্রবণতা বেশি। তবে পুলিশ চাইলে মাদকের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন একেবারে অসম্ভব নয়। আমি দায়িত্ব নিয়েই আরএমপির দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করে এই বার্তা দিয়েছি।

যারা মাদক ব্যবসাকে পুঁজি করে টাকা কামাতে চান, মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে টাকা নেন এবং মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলেছেন তাদেরকে এখনই সতর্ক হতে হবে। আর যারা নিজেরাই মাদকাসক্ত হয়েছেন তাদেরও দ্রুত মাদক ছাড়তে হবে। না’হলে পুলিশে তাদের জায়গা হবে না। কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আমি একটুও পিছপা হবো না।

নাগরিক সেবার বিষয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, মানুষ বিপদে পড়েই পুলিশের কাছে যান। পুলিশ বিপদগ্রস্ত মানুষকে সর্বোচ্চ সেবা দেবেন এটাই নীতি। পুলিশের সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেবা পেতে কেউ পুলিশি হয়রানির যাতে শিকার না হন সেদিকেও নজর রাখতে হবে।

সকালে রাজশাহী মহানগর পুলিশ লাইন্স সম্মেলন কেন্দ্রে মতবিনিময়কালে রাজশাহীতে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের বিপুল সংখ্যক কর্মী অংশ নেন। আরএমপি কমিশনার রাজশাহীতে পুলিশি সেবার উন্নয়নে তাদেরও মতামত ও পরামর্শ শোনেন।

মতবিনিময়কালে অন্যদের মধ্যে আরএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) সুজায়েত ইসলাম, ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার সালমা বেগম, উপ-কমিশনার (সদর) রশীদুল হাসান প্রমুখ পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

মাদক দিয়ে কাউকে ফাঁসানোর চেষ্টাকারী পুলিশের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা

প্রকাশের সময় : ০৯:৫৫:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০

মশিউর রহমান কাজল #

মাদকাসক্ত, মাদক ব্যবসার পৃষ্ঠপোষক অথবা মাদক দিয়ে কাউকে ফাঁসানোর চেষ্টাকারী কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাকে কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। যারা এমন স্পর্শকাতর কর্মকাণ্ডে জড়িত তাদের পুলিশে থাকার প্রয়োজন নেই।বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণের পর শনিবার সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আরএমপির নতুন কমিশনার (ডিআইজি) আবু কালাম সিদ্দিক এভাবে পুলিশের প্রতি এমন কঠোর বার্তা দেন।

পুলিশ কমিশনার বলেন, রাজশাহী দেশের একটি সীমান্ত বিস্তৃত জেলা। আর এ কারণে রাজশাহীতে মাদকের প্রবণতা বেশি। তবে পুলিশ চাইলে মাদকের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন একেবারে অসম্ভব নয়। আমি দায়িত্ব নিয়েই আরএমপির দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করে এই বার্তা দিয়েছি।

যারা মাদক ব্যবসাকে পুঁজি করে টাকা কামাতে চান, মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে টাকা নেন এবং মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলেছেন তাদেরকে এখনই সতর্ক হতে হবে। আর যারা নিজেরাই মাদকাসক্ত হয়েছেন তাদেরও দ্রুত মাদক ছাড়তে হবে। না’হলে পুলিশে তাদের জায়গা হবে না। কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আমি একটুও পিছপা হবো না।

নাগরিক সেবার বিষয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, মানুষ বিপদে পড়েই পুলিশের কাছে যান। পুলিশ বিপদগ্রস্ত মানুষকে সর্বোচ্চ সেবা দেবেন এটাই নীতি। পুলিশের সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেবা পেতে কেউ পুলিশি হয়রানির যাতে শিকার না হন সেদিকেও নজর রাখতে হবে।

সকালে রাজশাহী মহানগর পুলিশ লাইন্স সম্মেলন কেন্দ্রে মতবিনিময়কালে রাজশাহীতে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের বিপুল সংখ্যক কর্মী অংশ নেন। আরএমপি কমিশনার রাজশাহীতে পুলিশি সেবার উন্নয়নে তাদেরও মতামত ও পরামর্শ শোনেন।

মতবিনিময়কালে অন্যদের মধ্যে আরএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) সুজায়েত ইসলাম, ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার সালমা বেগম, উপ-কমিশনার (সদর) রশীদুল হাসান প্রমুখ পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।