মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জোর করে চুমু খাওয়ার গুরুতর অভিযোগ

নজরুল ইসলাম #

আরেকটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করলেন সাবেক মডেল অ্যামি ডরিস। তার দাবি, ট্রাম্প তাকে একবার জোর করে চুমু খেয়েছিলেন!

যুক্তরাজ্যের সংবাদপত্র দ্য গার্ডিয়ানকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ডরিস বলেছেন, ‘১৯৯৭ সালে ট্রাম্প আমাকে জোর করে চুম্বন করেন। ঘটনাটা ঘটেছিল নিউ ইয়র্কে ইউএস ওপেন টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপ চলার সময় ভিআইপি বক্সে।’

ডরিস বলেছেন, ‘ট্রাম্প আমায় চেপে ধরেন। তারপর জোর করে তার জিভ আমার মুখের ভেতরে ঢুকিয়ে দেন। ট্রাম্প এত জোরে চেপে ধরেছিলেন যে আমি ছাড়াতে পারছিলাম না। আমি বারবার তাকে থামতে বলেছিলাম, কিন্তু তিনি থামেননি।’

ডরিসের দাবি, ‘আমি সে সময় অনেককে এই ঘটনার কথা বলেছিলাম। তাদেরকে জিজ্ঞাসা করে দেখতে পারেন।’যখন এই ঘটনা ঘটেছিল, তখন তার বয়স ছিল ২৪ বছর। ট্রাম্পের ৫১। তিনি তখন দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন।

ডরিস এই সাক্ষাৎকার গার্ডিয়ানকে দিয়েছিলেন এক বছর আগে। তার অনুরোধ ছিল, তখন তা যেন ছাপা না হয়। তিনি বলেছেন, ট্রাম্প এই কাজ করার পরেও ছাড়া পেয়ে গেছেন দেখে আমার খুব খারাপ লাগে।

ট্রাম্পের আইনজীবী গার্ডিয়ানকে জানিয়েছেন, ডরিস যা বলছেন তা একেবারেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। এরকম ঘটনা ঘটলে তার তো সাক্ষী থাকবে। আগামী ৩ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার আগে এই ধরনের অভিযোগ পুরোপুরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ নতুন নয়। এর আগেও অনেক অভিযোগ শোনা গেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

জনপ্রিয়

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জোর করে চুমু খাওয়ার গুরুতর অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ০৮:১২:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

নজরুল ইসলাম #

আরেকটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করলেন সাবেক মডেল অ্যামি ডরিস। তার দাবি, ট্রাম্প তাকে একবার জোর করে চুমু খেয়েছিলেন!

যুক্তরাজ্যের সংবাদপত্র দ্য গার্ডিয়ানকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ডরিস বলেছেন, ‘১৯৯৭ সালে ট্রাম্প আমাকে জোর করে চুম্বন করেন। ঘটনাটা ঘটেছিল নিউ ইয়র্কে ইউএস ওপেন টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপ চলার সময় ভিআইপি বক্সে।’

ডরিস বলেছেন, ‘ট্রাম্প আমায় চেপে ধরেন। তারপর জোর করে তার জিভ আমার মুখের ভেতরে ঢুকিয়ে দেন। ট্রাম্প এত জোরে চেপে ধরেছিলেন যে আমি ছাড়াতে পারছিলাম না। আমি বারবার তাকে থামতে বলেছিলাম, কিন্তু তিনি থামেননি।’

ডরিসের দাবি, ‘আমি সে সময় অনেককে এই ঘটনার কথা বলেছিলাম। তাদেরকে জিজ্ঞাসা করে দেখতে পারেন।’যখন এই ঘটনা ঘটেছিল, তখন তার বয়স ছিল ২৪ বছর। ট্রাম্পের ৫১। তিনি তখন দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন।

ডরিস এই সাক্ষাৎকার গার্ডিয়ানকে দিয়েছিলেন এক বছর আগে। তার অনুরোধ ছিল, তখন তা যেন ছাপা না হয়। তিনি বলেছেন, ট্রাম্প এই কাজ করার পরেও ছাড়া পেয়ে গেছেন দেখে আমার খুব খারাপ লাগে।

ট্রাম্পের আইনজীবী গার্ডিয়ানকে জানিয়েছেন, ডরিস যা বলছেন তা একেবারেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। এরকম ঘটনা ঘটলে তার তো সাক্ষী থাকবে। আগামী ৩ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার আগে এই ধরনের অভিযোগ পুরোপুরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ নতুন নয়। এর আগেও অনেক অভিযোগ শোনা গেছে।