শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোরআন তিলাওয়াতের অর্থ আল্লাহর সঙ্গে কথা বলা

মো: মতিয়ার রহমান #

পুরস্কারের কথা পড়ার সময় আনন্দের ভাব এবং শাস্তির কথা পড়ার সময় ভয় ও ক্রন্দনের ভাব হৃদয়ে জাগাবে।৬. পড়ার পূর্বে আউজুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পড়বে।৭. সুস্পষ্ট স্বরে এবং উত্তমরূপে পড়বে। ৮. কমপক্ষে সাত দিনে এবং ঊর্ধ্বে এক বছরে কোরআন শেষ করবে। ৯. আল্লাহর সর্বশেষ বাণী বলে বিশ্বাস করবে এবং আল্লাহর সাথে কথাবার্তা হচ্ছে বলে মনে করবে।

কোরআন পাঠ সম্পর্কে নিম্নে কতিপয় হাদিস দেয়া হলো

১. হাদিস: হজরত ইবনে মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, ‘আমি এ আয়াত ভুলে গিয়েছি,’ কারও এমন কথা বলা বড়ই পরিতাপের বিষয়। কোরআন মুখস্থ কর। এটা চার পা-বিশিষ্ট প্রাণী হতেও অধিক পলায়নকারী। ২. হাদিস: হজরত জুনদব (রা.) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, যে পর্যন্ত তোমাদের মন কোরআনের দিকে থাকে, ততক্ষণ কোরআন পড়। যখন তোমাদের মতভেদ হয় ইহা হতে উঠে যাও। (বোখারি, মুসলিম) ৩. হাদিস: হজরত আবু হোরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত। হজরত (স) বলেছেন, আল্লাহ মনোযোগ সহকারে তার নবীর উচ্চ ও সুললিত স্বরে কোরআন পাঠ যে রূপ শোনেন অন্য কিছুই তদ্রূপ শোনেন না। (বোখারি) ৪. হাদিস: হজরত আবু হোরায়রা (রা) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স) বলেছেন, সুললিত স্বরে যে কোরআন পড়ে না সে আমাদের দলভুক্ত নয়। (বোখারি) ৫. হাদিস: হজরত সায়াদ (রা.) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, যে কোরআন পড়ে ভুলে যায়, সে কিয়ামতের দিন আল্লাহর সঙ্গে নাক ও কান কাটা অবস্থায় সাক্ষাৎ করবে। (আবু দাউদ)

১. গোসল ফরজ হলে গোসল করে, অজু শেষে কোরআন স্পর্শ করবে।২. কিবলামুখী হয়ে বসবে।৩. কোরআন পাঠকালে অন্য কথা বলবে না এবং ভক্তিসহকারে পাঠ করবে।৪. পরিষ্কারভাবে এবং আস্তে আস্তে অর্থের দিকে লক্ষ্য করে পড়বে।৬. হাদিস: হজরত ওকবাহ (রা.) হতে বর্ণিত। হজরত (স) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোরআন উচ্চস্বরে পাঠ করে সে প্রকাশ্য দাতার ন্যায়, যে ব্যক্তি নিম্নস্বরে পাঠ করে সে গোপনদাতার ন্যায়। (আবু দাউদ)৭. হাদিস: হজরত শোয়ায়েব (রা) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, কোরআনের হারাম জিনিসকে যে হালাল বলে মনে করে, সে কোরআনের প্রতি বিশ্বাস করে না। (তিরমিজি)৮. হাদিস: হজরত লায়েস (রা.) হতে বর্ণিত। হজরত উম্মে সালামা (রা) কে রাসূলুল্লাহ (স)-এর কোরআন পাঠ সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করলে, তিনি বললেন, তিনি প্রত্যেক অক্ষর সুস্পষ্ট করে পাঠ করতেন। (তিরমিজি)৯. হাদিস: হজরত ইবনে জোরাইজ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (স) কোরআনের শব্দ ভেঙে ভেঙে পড়তেন। তিনি বলতেন: ‘আলহামদু লিল্লাহি রব্বিল আলামিন’ অতঃপর থেকে বলতেন: ‘আর রহমানির রহিম’, এভাবে। (তিরমিজি) হাদিসগুলো ‘বিষয় ভিত্তিক হাদিসে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)’ বই থেকে সংগৃহীত।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

কোরআন তিলাওয়াতের অর্থ আল্লাহর সঙ্গে কথা বলা

প্রকাশের সময় : ০৪:১০:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০

মো: মতিয়ার রহমান #

পুরস্কারের কথা পড়ার সময় আনন্দের ভাব এবং শাস্তির কথা পড়ার সময় ভয় ও ক্রন্দনের ভাব হৃদয়ে জাগাবে।৬. পড়ার পূর্বে আউজুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পড়বে।৭. সুস্পষ্ট স্বরে এবং উত্তমরূপে পড়বে। ৮. কমপক্ষে সাত দিনে এবং ঊর্ধ্বে এক বছরে কোরআন শেষ করবে। ৯. আল্লাহর সর্বশেষ বাণী বলে বিশ্বাস করবে এবং আল্লাহর সাথে কথাবার্তা হচ্ছে বলে মনে করবে।

কোরআন পাঠ সম্পর্কে নিম্নে কতিপয় হাদিস দেয়া হলো

১. হাদিস: হজরত ইবনে মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, ‘আমি এ আয়াত ভুলে গিয়েছি,’ কারও এমন কথা বলা বড়ই পরিতাপের বিষয়। কোরআন মুখস্থ কর। এটা চার পা-বিশিষ্ট প্রাণী হতেও অধিক পলায়নকারী। ২. হাদিস: হজরত জুনদব (রা.) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, যে পর্যন্ত তোমাদের মন কোরআনের দিকে থাকে, ততক্ষণ কোরআন পড়। যখন তোমাদের মতভেদ হয় ইহা হতে উঠে যাও। (বোখারি, মুসলিম) ৩. হাদিস: হজরত আবু হোরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত। হজরত (স) বলেছেন, আল্লাহ মনোযোগ সহকারে তার নবীর উচ্চ ও সুললিত স্বরে কোরআন পাঠ যে রূপ শোনেন অন্য কিছুই তদ্রূপ শোনেন না। (বোখারি) ৪. হাদিস: হজরত আবু হোরায়রা (রা) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স) বলেছেন, সুললিত স্বরে যে কোরআন পড়ে না সে আমাদের দলভুক্ত নয়। (বোখারি) ৫. হাদিস: হজরত সায়াদ (রা.) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, যে কোরআন পড়ে ভুলে যায়, সে কিয়ামতের দিন আল্লাহর সঙ্গে নাক ও কান কাটা অবস্থায় সাক্ষাৎ করবে। (আবু দাউদ)

১. গোসল ফরজ হলে গোসল করে, অজু শেষে কোরআন স্পর্শ করবে।২. কিবলামুখী হয়ে বসবে।৩. কোরআন পাঠকালে অন্য কথা বলবে না এবং ভক্তিসহকারে পাঠ করবে।৪. পরিষ্কারভাবে এবং আস্তে আস্তে অর্থের দিকে লক্ষ্য করে পড়বে।৬. হাদিস: হজরত ওকবাহ (রা.) হতে বর্ণিত। হজরত (স) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোরআন উচ্চস্বরে পাঠ করে সে প্রকাশ্য দাতার ন্যায়, যে ব্যক্তি নিম্নস্বরে পাঠ করে সে গোপনদাতার ন্যায়। (আবু দাউদ)৭. হাদিস: হজরত শোয়ায়েব (রা) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, কোরআনের হারাম জিনিসকে যে হালাল বলে মনে করে, সে কোরআনের প্রতি বিশ্বাস করে না। (তিরমিজি)৮. হাদিস: হজরত লায়েস (রা.) হতে বর্ণিত। হজরত উম্মে সালামা (রা) কে রাসূলুল্লাহ (স)-এর কোরআন পাঠ সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করলে, তিনি বললেন, তিনি প্রত্যেক অক্ষর সুস্পষ্ট করে পাঠ করতেন। (তিরমিজি)৯. হাদিস: হজরত ইবনে জোরাইজ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (স) কোরআনের শব্দ ভেঙে ভেঙে পড়তেন। তিনি বলতেন: ‘আলহামদু লিল্লাহি রব্বিল আলামিন’ অতঃপর থেকে বলতেন: ‘আর রহমানির রহিম’, এভাবে। (তিরমিজি) হাদিসগুলো ‘বিষয় ভিত্তিক হাদিসে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)’ বই থেকে সংগৃহীত।