মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যশোরে যুদ্ধাপরাধ মামলার সাক্ষীদের সুরক্ষার দাবিতে স্মারকলিপি ও সংবাদ সম্মেলন

যশোর ব্যুরো ##  মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধ মামলার সাক্ষীদের সুরক্ষার দাবিতে যশোরে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যশোর জেলা শাখার উদ্যোগে সোমবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাক্ষী সুরক্ষা আইনকে পাশ কাটিয়ে ট্রাইব্যুনালের সাক্ষী ও তাদের স্বজন এবং একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতার নামে মামলা-হামলা ও হয়রানির প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। দাবি বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপিও পেশ করা হয়। স্মারকলিপি গ্রহণ করেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক (ডিডিএলজি) হুসাইন শওকত। সাক্ষীদের সুরক্ষা প্রদান নিশ্চিত করা না হলে আগামিতে সাক্ষীদের পক্ষে আর সাক্ষ্য প্রদান করা সম্ভব হবে না বলে সংবাদ সম্মেলন ও স্মারকলিপির মাধ্যমে জানানো হয়।

স্মারকলিপি ও সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, বাঘারপাড়া উপজেলার প্রেমচারা গ্রামের যুদ্ধাপরাধী আমজাদ মোল্লার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা হওয়ার পর থেকে সাক্ষীদের বিরুদ্ধে হামলা, অপহরণ, হত্যা, বাড়িতে আগুন দেয়াসহ বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন শুরু হয়।

সাথে সাথে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে সাক্ষীদের হয়রানি করা হচ্ছে। সাক্ষী, তাদের আত্মীয় স্বজন ও নির্মূল কমিটির নেতাদেরকে আসামি করে ঘনঘন গ্রেফতারসহ তল্লাশির নামে বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। এই অবস্থায় সাক্ষীরা ট্রাইব্যুনালে যেতে ভয় পাচ্ছে। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি মনে করছে, এ তৎপরতা মামলা থেকে যুদ্ধাপরাধীকে রক্ষার অপকৌশল। এ জন্য সাক্ষীদের সুরক্ষা প্রদান করা সরকারের দায়িত্ব বিধায় এ ধরণের অপতৎপরতা অবিলম্বে বন্ধ করা হোক।

সংবাদ সম্মেলনে যশোরে আদালত চত্বরে সাক্ষীর উপর হামলা করাসহ একাধিকবার বিভিন্ন সাক্ষীর ফলদ বাগান কেটে দেয়া, বাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাটের ঘটনার বর্ণনা দেয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দাবি করা হয়, আমজাদ রাজাকার ও তার পরিবারের সাথে স্থানীয় এক শীর্ষনেতার যোগসাজসে এসব ঘটনা ঘটছে। অনতিবিলম্বে স্থানীয় ওই শীর্ষ নেতার আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে গড়ে ওঠা  আমজাদ রাজাকারের সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে আইগনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলন ও স্মারকলিপি পেশ করার উপস্থিত ছিলেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির যশোর জেলা শাখার সভাপতি হারুন অর রশীদ, সাধারণ সম্পাদক সাজেদ রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন দোদুল, এ বি এম কামরুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম, দফতর সম্পাদক প্রণব দাস, সদস্য সৈয়দ আবুল কালাম শামছুদ্দীন জ্যোতি, খবির শিকদার, শ্যামল শর্মা প্রমুখ।

ট্রাইব্যুনালের সাক্ষীদের মধ্য উপস্থিত ছিলেন আলাউদ্দিন বিশ্বাস, রকিব উদ্দিন বিশ্বাস রতন, খলিলুর রহমান খোকন, ইসহাক মোল্ল, আব্দুল হক মোল্লা ও এহিয়ার রহমান প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

জনপ্রিয়

পেট্টাপোলে বিজিবি-বিএসএফ সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

যশোরে যুদ্ধাপরাধ মামলার সাক্ষীদের সুরক্ষার দাবিতে স্মারকলিপি ও সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশের সময় : ০৭:৫২:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

যশোর ব্যুরো ##  মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধ মামলার সাক্ষীদের সুরক্ষার দাবিতে যশোরে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যশোর জেলা শাখার উদ্যোগে সোমবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাক্ষী সুরক্ষা আইনকে পাশ কাটিয়ে ট্রাইব্যুনালের সাক্ষী ও তাদের স্বজন এবং একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতার নামে মামলা-হামলা ও হয়রানির প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। দাবি বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপিও পেশ করা হয়। স্মারকলিপি গ্রহণ করেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক (ডিডিএলজি) হুসাইন শওকত। সাক্ষীদের সুরক্ষা প্রদান নিশ্চিত করা না হলে আগামিতে সাক্ষীদের পক্ষে আর সাক্ষ্য প্রদান করা সম্ভব হবে না বলে সংবাদ সম্মেলন ও স্মারকলিপির মাধ্যমে জানানো হয়।

স্মারকলিপি ও সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, বাঘারপাড়া উপজেলার প্রেমচারা গ্রামের যুদ্ধাপরাধী আমজাদ মোল্লার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা হওয়ার পর থেকে সাক্ষীদের বিরুদ্ধে হামলা, অপহরণ, হত্যা, বাড়িতে আগুন দেয়াসহ বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন শুরু হয়।

সাথে সাথে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে সাক্ষীদের হয়রানি করা হচ্ছে। সাক্ষী, তাদের আত্মীয় স্বজন ও নির্মূল কমিটির নেতাদেরকে আসামি করে ঘনঘন গ্রেফতারসহ তল্লাশির নামে বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। এই অবস্থায় সাক্ষীরা ট্রাইব্যুনালে যেতে ভয় পাচ্ছে। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি মনে করছে, এ তৎপরতা মামলা থেকে যুদ্ধাপরাধীকে রক্ষার অপকৌশল। এ জন্য সাক্ষীদের সুরক্ষা প্রদান করা সরকারের দায়িত্ব বিধায় এ ধরণের অপতৎপরতা অবিলম্বে বন্ধ করা হোক।

সংবাদ সম্মেলনে যশোরে আদালত চত্বরে সাক্ষীর উপর হামলা করাসহ একাধিকবার বিভিন্ন সাক্ষীর ফলদ বাগান কেটে দেয়া, বাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাটের ঘটনার বর্ণনা দেয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দাবি করা হয়, আমজাদ রাজাকার ও তার পরিবারের সাথে স্থানীয় এক শীর্ষনেতার যোগসাজসে এসব ঘটনা ঘটছে। অনতিবিলম্বে স্থানীয় ওই শীর্ষ নেতার আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে গড়ে ওঠা  আমজাদ রাজাকারের সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে আইগনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলন ও স্মারকলিপি পেশ করার উপস্থিত ছিলেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির যশোর জেলা শাখার সভাপতি হারুন অর রশীদ, সাধারণ সম্পাদক সাজেদ রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন দোদুল, এ বি এম কামরুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম, দফতর সম্পাদক প্রণব দাস, সদস্য সৈয়দ আবুল কালাম শামছুদ্দীন জ্যোতি, খবির শিকদার, শ্যামল শর্মা প্রমুখ।

ট্রাইব্যুনালের সাক্ষীদের মধ্য উপস্থিত ছিলেন আলাউদ্দিন বিশ্বাস, রকিব উদ্দিন বিশ্বাস রতন, খলিলুর রহমান খোকন, ইসহাক মোল্ল, আব্দুল হক মোল্লা ও এহিয়ার রহমান প্রমুখ।