বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সঞ্চয়পত্র: ৫ মাসেই অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন

হাসানুল বান্না নয়ন ##  ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মাত্র পাঁচ মাসে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার ঋণ নিয়েছে ১৯ হাজার ৪৫ কোটি টাকা। এটি ২০১৯-২০ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২২৬ শতাংশ বেশি। জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

সূত্র জানায়, বাজেট ঘাটতি মোকাবিলায় সরকার বরাবরের মতো এবারও সঞ্চয়পত্রকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। ঘাটতি বাজেটে অর্থায়নে বৈদেশিক সহায়তার বাড়ার কথা বলা হলেও তা তেমন বাড়েনি বরং বেড়েছে সঞ্চয়পত্র নির্ভরতা। ২০২০-২১ অর্থবছরে বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২০ হাজার কোটি টাকা। সে হিসাবে বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রতি মাসে গড়ে ১ হাজার ৬৬৬ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু গত পাঁচ মাসে গড়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৮০৯ কোটি টাকা। এভাবে চললে বছর শেষে সরকারের এইখাত থেকে নিট ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৪৬ হাজার কোটি টাকা।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

সঞ্চয়পত্র: ৫ মাসেই অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন

প্রকাশের সময় : ০৫:১৭:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারী ২০২১

হাসানুল বান্না নয়ন ##  ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মাত্র পাঁচ মাসে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার ঋণ নিয়েছে ১৯ হাজার ৪৫ কোটি টাকা। এটি ২০১৯-২০ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২২৬ শতাংশ বেশি। জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

সূত্র জানায়, বাজেট ঘাটতি মোকাবিলায় সরকার বরাবরের মতো এবারও সঞ্চয়পত্রকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। ঘাটতি বাজেটে অর্থায়নে বৈদেশিক সহায়তার বাড়ার কথা বলা হলেও তা তেমন বাড়েনি বরং বেড়েছে সঞ্চয়পত্র নির্ভরতা। ২০২০-২১ অর্থবছরে বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২০ হাজার কোটি টাকা। সে হিসাবে বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রতি মাসে গড়ে ১ হাজার ৬৬৬ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু গত পাঁচ মাসে গড়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৮০৯ কোটি টাকা। এভাবে চললে বছর শেষে সরকারের এইখাত থেকে নিট ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৪৬ হাজার কোটি টাকা।