বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বেনাপোলে রেলওয়ে ট্রান্সশিপমেন্ট গুডস ইয়ার্ডের উদ্বোধন

নজরুল ইসলাম ## বাংলাদেশ রেলওয়ের বেনাপোল স্টেশনে গুডস ইয়ার্ড সম্প্রসারণের কাজ উদ্বোধন  করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মুহাম্মাদ শামছুজ্জামান।

রবিবার (১০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১ টার সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের রাজশাহী অঞ্চলের মহাব্যবস্থাবক মিহির কান্তি গুহ’র সভাপতিত্বে বেনাপোল রেলষ্টেশনে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মুহাম্মদ শামছুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গুডস ইয়ার্ডের কাজ উদ্বোধন করেন।

এ সময় রেলওয়ের মহাপরিচালক মুহাম্মাদ শামছুজ্জামান জানান, বর্তমানে বেনাপোল বন্দরের রেলওয়ে ইয়ার্ড না থাকায় আমদানি বাণিজ্য ব্যাহত হচ্ছে। এজন্য রেলপথে আমদানি বাণিজ্য আরো গতিশীল করতে বেনাপোল রেলস্টেশনে  দুটি গুডস ইয়ার্ড তৈরির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধন করা হয়েছে। পৌনে ১ কিলোমিটার ইয়ার্ড নির্মানে খরচ হবে ৩ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা। পরবর্তীকালে এই গুডস ইয়ার্ড আর ও তৈরি করা হবে। বেনাপোল বন্দর দিয়ে রেলপথে আমদানি-বাণিজ্য গতিশীল করার লক্ষ্যে আর ও ইয়ার্ড নির্মান করা হবে।

বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার আজিজুর রহমান বলেন, সরকার বেনাপোল বন্দর থেকে বছরে প্রায় ৬-৭ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পায়। করোনা কালীন সময়ে শুধু রেলপথের আমদানি পণ্য থেকে সরকার ৩০০ কোটি টাকা রাজস্ব পেয়েছে। এই রেলপথে ইয়ার্ড তৈরি হলে সরকার আরো বেশি রাজস্ব পাবে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, আগে বেনাপোল বন্দরে রেলপথে খুব সীমিত আকারে আমদানি হতো। বর্তমানে করোনার কারণে স্থলপথে আমদানি-রফতানি বানিজ্য কিছুটা স্থবির হয়ে পড়ে। এজন্য আমদানি-রফতানি বাণিজ্য গতিশীল করতে বেনাপোল বন্দরের রেলপথে আমদানিতে ব্যাপক সাড়া ফেলে। তবে বন্দরের ইয়ার্ড না থাকায় রেলপথে আমদানিতে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। এজন্য বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছিল। পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেনাপোল রেলপথে আমদানি-বাণিজ্য সম্প্রসারণে বেনাপোলে দুটি গুডস ইয়ার্ড তৈরির অনুমতি দেন। এরই ধারাবাহিকতায় বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনের দুটি ইয়ার্ড তৈরির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনার উদ্বোধন করা হয় যা খুব দ্রুত ইয়ার্ড তৈরির কাজ শুরু হবে

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল কাস্টমস হাউজের কমিশনার আজিজুর রহমান, বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল, বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় মহাব্যবস্থাপক (পাকশি) শাইদুল ইসলাম,প্রধান প্রকৌশলী (রাজশাহী) আবু ফাত্তাহ মাছুদুর বহমান, বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজনসহ আমদানি-রফতানির সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

বেনাপোলে রেলওয়ে ট্রান্সশিপমেন্ট গুডস ইয়ার্ডের উদ্বোধন

প্রকাশের সময় : ০৪:৫৬:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ জানুয়ারী ২০২১

নজরুল ইসলাম ## বাংলাদেশ রেলওয়ের বেনাপোল স্টেশনে গুডস ইয়ার্ড সম্প্রসারণের কাজ উদ্বোধন  করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মুহাম্মাদ শামছুজ্জামান।

রবিবার (১০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১ টার সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের রাজশাহী অঞ্চলের মহাব্যবস্থাবক মিহির কান্তি গুহ’র সভাপতিত্বে বেনাপোল রেলষ্টেশনে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মুহাম্মদ শামছুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গুডস ইয়ার্ডের কাজ উদ্বোধন করেন।

এ সময় রেলওয়ের মহাপরিচালক মুহাম্মাদ শামছুজ্জামান জানান, বর্তমানে বেনাপোল বন্দরের রেলওয়ে ইয়ার্ড না থাকায় আমদানি বাণিজ্য ব্যাহত হচ্ছে। এজন্য রেলপথে আমদানি বাণিজ্য আরো গতিশীল করতে বেনাপোল রেলস্টেশনে  দুটি গুডস ইয়ার্ড তৈরির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধন করা হয়েছে। পৌনে ১ কিলোমিটার ইয়ার্ড নির্মানে খরচ হবে ৩ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা। পরবর্তীকালে এই গুডস ইয়ার্ড আর ও তৈরি করা হবে। বেনাপোল বন্দর দিয়ে রেলপথে আমদানি-বাণিজ্য গতিশীল করার লক্ষ্যে আর ও ইয়ার্ড নির্মান করা হবে।

বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার আজিজুর রহমান বলেন, সরকার বেনাপোল বন্দর থেকে বছরে প্রায় ৬-৭ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পায়। করোনা কালীন সময়ে শুধু রেলপথের আমদানি পণ্য থেকে সরকার ৩০০ কোটি টাকা রাজস্ব পেয়েছে। এই রেলপথে ইয়ার্ড তৈরি হলে সরকার আরো বেশি রাজস্ব পাবে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, আগে বেনাপোল বন্দরে রেলপথে খুব সীমিত আকারে আমদানি হতো। বর্তমানে করোনার কারণে স্থলপথে আমদানি-রফতানি বানিজ্য কিছুটা স্থবির হয়ে পড়ে। এজন্য আমদানি-রফতানি বাণিজ্য গতিশীল করতে বেনাপোল বন্দরের রেলপথে আমদানিতে ব্যাপক সাড়া ফেলে। তবে বন্দরের ইয়ার্ড না থাকায় রেলপথে আমদানিতে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। এজন্য বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছিল। পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেনাপোল রেলপথে আমদানি-বাণিজ্য সম্প্রসারণে বেনাপোলে দুটি গুডস ইয়ার্ড তৈরির অনুমতি দেন। এরই ধারাবাহিকতায় বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনের দুটি ইয়ার্ড তৈরির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনার উদ্বোধন করা হয় যা খুব দ্রুত ইয়ার্ড তৈরির কাজ শুরু হবে

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল কাস্টমস হাউজের কমিশনার আজিজুর রহমান, বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল, বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় মহাব্যবস্থাপক (পাকশি) শাইদুল ইসলাম,প্রধান প্রকৌশলী (রাজশাহী) আবু ফাত্তাহ মাছুদুর বহমান, বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজনসহ আমদানি-রফতানির সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।