বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কলারোয়ায় মেয়র পদে মুখোমুখি স্বামী-স্ত্রী

আতাউর রহমান,সাতক্ষীরা ব্যুরো ##  সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে স্বামী-স্ত্রীসহ পাঁচজন প্রার্থী  প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত তৃতীয় ধাপের তফশীল অনুযায়ী গত ১০ জানুয়ারি ছিল প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর কেউই তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করায় সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত তারা দু’জনই থেকে গেলেন ভোটের মাঠে।

নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নামা মেয়র প্রার্থীরা হলেন, কলারোয়া উপজেলা আ’লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান বুলবুল, স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আ’লীগের সাবেক আহবায়ক ও জেলা সদস্য সাজেদুর রহমান খান চৌধুরী মজনু, কলারোয়া পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী শেখ শরিফুজ্জামান তুহিন, কলারোয়া উপজেলা বিএনপি’র ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক বহিষ্কৃত পৌর মেয়র আক্তারুল ইসলাম এবং তার সহধর্মিণী নাসরিন সুলতানা

এর আগে রবিবার দিনভর মেয়র পদে কে কে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করছেন তা নিয়ে বেশ কৌতূহল ছিল কলারোয়া পৌরবাসীর মাঝে। কারণ কলারোয়া পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন কলারোয়া উপজেলা বিএনপি’র ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আক্তারুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী নাসরিন সুলতানা। রবিবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন হলেও মেয়র পদে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী পাঁচজনের মধ্যে কেউই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, কলারোয়া পৌরসভার সাময়িক বহিষ্কৃত মেয়র আক্তারুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার আসামি। মামলাটি বর্তমানে সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন আছে। এ মামলায় ইতিমধ্যে সাক্ষ্য গ্রহণ ও সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। আগামী ১৯ জানুয়ারি মামলার যুক্তি-তর্ক প্রদর্শনের দিন ধার্য রয়েছে। মূলতঃ এ মামলার আসামি হওয়ায় নিজের পাশাপাশি স্ত্রীকে দিয়েও মনোনয়নপত্র ক্রয় করান আক্তারুল ইসলাম। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মামলা পর্যবেক্ষণ করে মূল সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অর্থাৎ শেষ পর্যন্ত কে মাঠে থাকবে, কে থাকবে না তা মামলার ভবিষ্যতের উপর নির্ভর করছে। এখন পর্যন্ত আমরা স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই নির্বাচনী মাঠে আছি। 

এদিকে কলারোয়া পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর পদে ৫১ জনের মধ্যে একজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। ফলে চূড়ান্ত ভাবেই কলারোয়া পৌরসভার নির্বাচনে ভোটের লড়াইয়ে মাঠে থাকছেন পাঁচ মেয়র ও ৫০ জন কাউন্সিলর প্রার্থী। 

নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত তৃতীয় ধাপের তফশীল অনুযায়ী আগামী ৩০ জানুয়ারি সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

জনপ্রিয়

কলারোয়ায় মেয়র পদে মুখোমুখি স্বামী-স্ত্রী

প্রকাশের সময় : ১০:৩৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী ২০২১

আতাউর রহমান,সাতক্ষীরা ব্যুরো ##  সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে স্বামী-স্ত্রীসহ পাঁচজন প্রার্থী  প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত তৃতীয় ধাপের তফশীল অনুযায়ী গত ১০ জানুয়ারি ছিল প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর কেউই তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করায় সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত তারা দু’জনই থেকে গেলেন ভোটের মাঠে।

নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নামা মেয়র প্রার্থীরা হলেন, কলারোয়া উপজেলা আ’লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান বুলবুল, স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আ’লীগের সাবেক আহবায়ক ও জেলা সদস্য সাজেদুর রহমান খান চৌধুরী মজনু, কলারোয়া পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী শেখ শরিফুজ্জামান তুহিন, কলারোয়া উপজেলা বিএনপি’র ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক বহিষ্কৃত পৌর মেয়র আক্তারুল ইসলাম এবং তার সহধর্মিণী নাসরিন সুলতানা

এর আগে রবিবার দিনভর মেয়র পদে কে কে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করছেন তা নিয়ে বেশ কৌতূহল ছিল কলারোয়া পৌরবাসীর মাঝে। কারণ কলারোয়া পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন কলারোয়া উপজেলা বিএনপি’র ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আক্তারুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী নাসরিন সুলতানা। রবিবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন হলেও মেয়র পদে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী পাঁচজনের মধ্যে কেউই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, কলারোয়া পৌরসভার সাময়িক বহিষ্কৃত মেয়র আক্তারুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার আসামি। মামলাটি বর্তমানে সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন আছে। এ মামলায় ইতিমধ্যে সাক্ষ্য গ্রহণ ও সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। আগামী ১৯ জানুয়ারি মামলার যুক্তি-তর্ক প্রদর্শনের দিন ধার্য রয়েছে। মূলতঃ এ মামলার আসামি হওয়ায় নিজের পাশাপাশি স্ত্রীকে দিয়েও মনোনয়নপত্র ক্রয় করান আক্তারুল ইসলাম। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মামলা পর্যবেক্ষণ করে মূল সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অর্থাৎ শেষ পর্যন্ত কে মাঠে থাকবে, কে থাকবে না তা মামলার ভবিষ্যতের উপর নির্ভর করছে। এখন পর্যন্ত আমরা স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই নির্বাচনী মাঠে আছি। 

এদিকে কলারোয়া পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর পদে ৫১ জনের মধ্যে একজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। ফলে চূড়ান্ত ভাবেই কলারোয়া পৌরসভার নির্বাচনে ভোটের লড়াইয়ে মাঠে থাকছেন পাঁচ মেয়র ও ৫০ জন কাউন্সিলর প্রার্থী। 

নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত তৃতীয় ধাপের তফশীল অনুযায়ী আগামী ৩০ জানুয়ারি সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।