শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাইডেন-খামেনি মুখোমুখি

ইমরান হোসেন আশা ##

ইরানের বিরুদ্ধে পরমাণু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার সম্ভাবনা নাকচ করে দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, যতক্ষণ ইরান পারমাণবিক চুক্তির শর্ত না মানবে, ততক্ষণ যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে না। খবর ‘এএফপি’র।

মার্কিন টেলিভিশন সিবিএসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জো বাইডেনকে প্রশ্ন করা হয়, ইরানকে আলোচনার টেবিলে ফেরাতে তিনি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবেন কি না? জবাবে পরিষ্কার ‘না’ বলে দেন বাইডেন।

এর আগে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন, তেহরানকে ২০১৫ সালের চুক্তিতে ফেরাতে হলে ওয়াশিংটনকে সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিতে হবে। রবিবার এক টুইট বার্তায় খামেনি এ কথা জানান।

খামেনির এ প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সময় রবিবার প্রচারিত ওই সাক্ষাৎকারে বাইডেন সাফ নাকচ করে দিলেন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি।

২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি করে ইরান। কিন্তু ২০১৮ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন। তারপর তিনি ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।

গেলো ৪ জানুয়ারি ইরান ঘোষণা দেয়, তারা ইউেরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রক্রিয়া আরো ২০ শতাংশ বাড়িয়েছে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী যা ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি।

খামেনি টুইট বার্তায় বলেন, ইরান ২০১৫ সালের চুক্তির অধীনে সব বাধ্যবাধকতা পালন করেছে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও তিন ইউরোপীয় দেশ করেনি।…যদি তারা চায় ইরান তার প্রতিশ্রুতিতে ফিরে আসুক, তাহলে প্রথমে অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে।

খামেনি আরো বলেন, সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয়েছে কি না, তা যাচাই-বাছাই শেষে আমরা ফিরে আসবো।

ইতোমধ্যে জেসিপিও এতে যুক্তরাষ্ট্রকে ফিরিয়ে আনতে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) সমন্বয়কের দায়িত্ব পালনের আহবান জানিয়েছিলেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাভেদ জারিফ। সম্প্রতি মস্কোতে ইরান ও রাশিয়ার শীর্ষ কূটনীতিকদের বৈঠকও হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

জনপ্রিয়

যারা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চান, অসৎ উদ্দেশ্য আছে তাদের: সালাহউদ্দিন

বাইডেন-খামেনি মুখোমুখি

প্রকাশের সময় : ১১:২৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ইমরান হোসেন আশা ##

ইরানের বিরুদ্ধে পরমাণু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার সম্ভাবনা নাকচ করে দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, যতক্ষণ ইরান পারমাণবিক চুক্তির শর্ত না মানবে, ততক্ষণ যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে না। খবর ‘এএফপি’র।

মার্কিন টেলিভিশন সিবিএসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জো বাইডেনকে প্রশ্ন করা হয়, ইরানকে আলোচনার টেবিলে ফেরাতে তিনি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবেন কি না? জবাবে পরিষ্কার ‘না’ বলে দেন বাইডেন।

এর আগে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন, তেহরানকে ২০১৫ সালের চুক্তিতে ফেরাতে হলে ওয়াশিংটনকে সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিতে হবে। রবিবার এক টুইট বার্তায় খামেনি এ কথা জানান।

খামেনির এ প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সময় রবিবার প্রচারিত ওই সাক্ষাৎকারে বাইডেন সাফ নাকচ করে দিলেন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি।

২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি করে ইরান। কিন্তু ২০১৮ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন। তারপর তিনি ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।

গেলো ৪ জানুয়ারি ইরান ঘোষণা দেয়, তারা ইউেরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রক্রিয়া আরো ২০ শতাংশ বাড়িয়েছে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী যা ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি।

খামেনি টুইট বার্তায় বলেন, ইরান ২০১৫ সালের চুক্তির অধীনে সব বাধ্যবাধকতা পালন করেছে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও তিন ইউরোপীয় দেশ করেনি।…যদি তারা চায় ইরান তার প্রতিশ্রুতিতে ফিরে আসুক, তাহলে প্রথমে অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে।

খামেনি আরো বলেন, সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয়েছে কি না, তা যাচাই-বাছাই শেষে আমরা ফিরে আসবো।

ইতোমধ্যে জেসিপিও এতে যুক্তরাষ্ট্রকে ফিরিয়ে আনতে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) সমন্বয়কের দায়িত্ব পালনের আহবান জানিয়েছিলেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাভেদ জারিফ। সম্প্রতি মস্কোতে ইরান ও রাশিয়ার শীর্ষ কূটনীতিকদের বৈঠকও হয়।