আতাউর রহমান, সাতক্ষীরা ব্যুরো ##
কলারোয়ার শ্রীপতিপুর গ্রামে একই রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়ার নারী-পুরষের মৃত্যুর ঘটনার রহস্য উন্মোচন হয়েছে। এই নারী ও পুরুষকে হত্যা করে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য আমগাছের ডালে একই রশিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এই নারী ও পুরুষের মাঝে দীর্ঘ পরকীয়া সম্পর্ক ছিলো। সে কারণেই তাদেরকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। হত্যার এ ঘটনা নিজ হাতেই ঘটিয়েছেন ওই নারীর স্বামী আহসান ওরফে হাসান। হাসানকে সহায়তা করে তার ছোট ভাই আসাদ। স্বামী আহসান একজ মানসিক প্রতিবন্ধী। পুলিশ মূল আসামি আহসান ওরফে হাসান ও হাসানের ছোট ভাই আসাদকে গ্রেপ্তার করেছে। সেই সাথে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রড উদ্ধার করেছে।
সাতক্ষীরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাহ উদ্দিন এ ঘটনায় সোমবার সকালে প্রেসব্রিফিংএ জানান, এই নারী ও পুরুষের মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক ছিলো। ঘটনার রাতে তাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পাায় স্বামী আহসান ওরফে হাসান।এসময় সে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে ও গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা নিশ্চিত করে। পরে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তার ছোট ভাই আসাদের সহায়তায় মৃতদেহ দুটি আমগাছের ডালে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। আসামিদ্বয়কে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এঘটনায় মৃত যুবক করিম পাড়ের পিতা জয়নাল পাড় বাদি হয়ে কলারোয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
উল্লেখ্য, কলারোয়া উপজেলার শ্রীপতিপুর গ্রামে রোববার (৭ফেব্রুয়ারি) একটি আমগাছের ডালে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ২ নারী ও পুরুষের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত গৃহবধূ ফাতেমা বেগম (৪০) উপজেলার কয়লা ইউনিয়নের শ্রীপতিপুর গ্রামের শেখ আহসান ওরফে হাসানের স্ত্রী ও করিম পাড় (৩০) শ্যামনগর উপজেলার ধুমঘাট দক্ষিণপাড়ার জয়নাল পাড়ের ছেলে।