শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতে তুষারধসে নিহত বেড়ে ৫০, এখনও নিখোঁজ দেড় শতাধিক

আতাউর রহমান ## ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ তুষারধসের এক সপ্তাহ পর আরো ১৩টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এনিয়ে এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ জনে দাঁড়িয়েছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী এখনো কমপক্ষে ১৬০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের সন্ধানে উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে।

রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) তপোবনের সুড়ঙ্গ থেকে নতুন ১৩টি মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু।

সীমান্ত পুলিশের মুখপাত্র বিবেক পাণ্ডে জানান, কাদা এবং পাথর সরানোর সময় সুড়ঙ্গ থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দু’জনকে শনাক্ত করা গেছে। একজন হলেন তেহরির বাসিন্দা অমল সিংহ এবং অপরজন হলেন অনিল। তিনি দেহরাদূনের বাসিন্দা।

চামোলির জেলা প্রশাসক স্বাতী ভাদোরিয়া বলেন, আমরা ধারণা করছি- এই সুড়ঙ্গে আরো ২০/৩০ জন আটকে থাকতে পারেন। তাদের উদ্ধারে কার্যক্রম আরো জোরদার করা হচ্ছে। এছাড়া মোট নিখোঁজ এখনো ১৬০ জন। নিখোঁজদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।

তিনি জানিয়েছেন, শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) তপোবন-বিষ্ণুগড় সুড়ঙ্গের মধ্যে আরো বড় পথ তৈরি করে উদ্ধারকাজ এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়। প্রথম থেকেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল সেখানে অন্তত ৩০ জন আটকে রয়েছেন।

এনটিপিসির প্রকল্পের ব্যবস্থাপক আরপি আগরওয়াল বলেন, তিনটি ভিন্ন পদ্ধতিতে টানেলে আটকেপড়া মানুষদের উদ্ধারে কাজ চলছে।

শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) একটি বড় গর্ত তৈরি করা হয়েছে, যেখান দিয়ে একটি পাইপ ও ক্যামেরা সুড়ঙ্গের ভিতর যেতে পারে। ক্যামেরার সাহায্যে দেখা হচ্ছে ভিতরে কেউ আটকে পড়েছেন কি-না। উদ্ধারকাজে গতি এসেছে। আশা করি- দ্রুত আটকে পড়া সবাইকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি সকালে জোশীমঠের কাছে ওই তুষারধসের ঘটনা ঘটে। এর জেরে ধোলিগঙ্গায় জলস্তর প্রবলভাবে বেড়ে যায়। তীব্র জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যায় অনেকগুলো গ্রাম। এমনকি সেতুও ভেঙে পড়ে। পাশাপাশি দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে একটি তপোবন-বিষ্ণুগড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

ভারতে তুষারধসে নিহত বেড়ে ৫০, এখনও নিখোঁজ দেড় শতাধিক

প্রকাশের সময় : ১২:৫৬:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১

আতাউর রহমান ## ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ তুষারধসের এক সপ্তাহ পর আরো ১৩টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এনিয়ে এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ জনে দাঁড়িয়েছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী এখনো কমপক্ষে ১৬০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের সন্ধানে উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে।

রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) তপোবনের সুড়ঙ্গ থেকে নতুন ১৩টি মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু।

সীমান্ত পুলিশের মুখপাত্র বিবেক পাণ্ডে জানান, কাদা এবং পাথর সরানোর সময় সুড়ঙ্গ থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দু’জনকে শনাক্ত করা গেছে। একজন হলেন তেহরির বাসিন্দা অমল সিংহ এবং অপরজন হলেন অনিল। তিনি দেহরাদূনের বাসিন্দা।

চামোলির জেলা প্রশাসক স্বাতী ভাদোরিয়া বলেন, আমরা ধারণা করছি- এই সুড়ঙ্গে আরো ২০/৩০ জন আটকে থাকতে পারেন। তাদের উদ্ধারে কার্যক্রম আরো জোরদার করা হচ্ছে। এছাড়া মোট নিখোঁজ এখনো ১৬০ জন। নিখোঁজদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।

তিনি জানিয়েছেন, শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) তপোবন-বিষ্ণুগড় সুড়ঙ্গের মধ্যে আরো বড় পথ তৈরি করে উদ্ধারকাজ এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়। প্রথম থেকেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল সেখানে অন্তত ৩০ জন আটকে রয়েছেন।

এনটিপিসির প্রকল্পের ব্যবস্থাপক আরপি আগরওয়াল বলেন, তিনটি ভিন্ন পদ্ধতিতে টানেলে আটকেপড়া মানুষদের উদ্ধারে কাজ চলছে।

শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) একটি বড় গর্ত তৈরি করা হয়েছে, যেখান দিয়ে একটি পাইপ ও ক্যামেরা সুড়ঙ্গের ভিতর যেতে পারে। ক্যামেরার সাহায্যে দেখা হচ্ছে ভিতরে কেউ আটকে পড়েছেন কি-না। উদ্ধারকাজে গতি এসেছে। আশা করি- দ্রুত আটকে পড়া সবাইকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি সকালে জোশীমঠের কাছে ওই তুষারধসের ঘটনা ঘটে। এর জেরে ধোলিগঙ্গায় জলস্তর প্রবলভাবে বেড়ে যায়। তীব্র জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যায় অনেকগুলো গ্রাম। এমনকি সেতুও ভেঙে পড়ে। পাশাপাশি দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে একটি তপোবন-বিষ্ণুগড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র।