
রায়হান সোবহান ## মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে গুলি চালিয়ে দুইজনকে হত্যা করেছে নিরাপত্তাবাহিনী। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। সংস্থার মহাসচিব বলেছেন, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার মেনে নেয়া যায় না।
শনিবার মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি ছোড়ে পুলিশ। এতে দুই জন নিহতের পাশাপাশি ২০ জনের বেশি মানুষ আহত হন।
এই ঘটনায় নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস টুইটবার্তায় বলেন, ‘আমি মিয়ানমারে প্রাণঘাতী সহিংসতার পথ অবলম্বন করার নিন্দা জানাই। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনরতদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার, ভয়-ভীতি দেখানো এবং নিপীড়ন করা মেনে নেয়া যায় না।’
তিনি বলেন, ‘সবারই শান্তিপূর্ণভাবে সভা-সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। আমি সব পক্ষকে নির্বাচনের ফলাফলের প্রতি সম্মান দেখানোর এবং বেসামরিক শাসন ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলছে যে তারা এই সহিংসতার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন। মিয়ানমারে থাকা মার্কিন দূতাবাস বলেছে, তারা এ ঘটনায় ‘গভীরভাবে বিক্ষুব্ধ’।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব এক টুইটে বলেছেন, ‘মিয়ানমারের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভাকারীদের উপর গুলির ঘটনা অগ্রহণযোগ্য। যারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে এবং ভিন্নমতের কণ্ঠরোধ করছে তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে মিলে এ বিষয়ে আরও পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবো।’
মিয়ানমারে বড় বিনিয়োগকারী দেশ সিঙ্গাপুর হুশিয়ার করেছে যে, পরিস্থিতি জটিলতর হতে থাকলে তার পরিণাম মিয়ানমার এবং আশপাশের অঞ্চলের জন্য ভাল হবে না।