শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘরের কাজের জন্য টাকা দিতে হবে স্ত্রীকে

ড.সারিয়া সুলতানা ## ঘরোয়া কাজের জন্য স্ত্রীকে টাকা পরিশোধ করার নির্দেশ দিয়েছেন চীনের একটি আদালত। সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী বেইজিংয়ের একটি ডিভোর্স আদালত স্বামীকে টাকা পরিশোধের বিষয়ে নজিরবিহীন এই রায় দেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, পাঁচ বছর বিনা বেতনে ঘরের কাজ করার ক্ষতিপূরণ হিসেবে চীনা মুদ্রায় ওই নারীকে ৫০ হাজার ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৬ লাখ ৫৩ হাজার টাকা) পরিশোধ করার আদেশ দেন আদালত।

আদালতের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালে বিয়ে করেন চেন এবং ওয়াং। পাঁচ বছর সংসার করার পর ২০২০ সালে স্ত্রী ওয়াংকে তালাক দেন স্বামী চেন। তবে তালাকের বিষয়টি মানতে পারছিলেন না স্ত্রী। শেষ পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দাবি করেন তিনি।

স্ত্রীর দাবি, পাঁচ বছরের সংসার জীবনে ঘরের কোনো কাজে তাকে সাহায্য করেননি স্বামী চেন। এমনকি বাচ্চার দেখাশোনার কাজেও স্ত্রীর হাতে হাত মেলাননি তিনি। সন্তান লালন-পালনসহ সংসারের সব কাজ তিনি একাই করেছেন। আর তাই ক্ষতিপূরণ পাওয়া তার অধিকার।

স্ত্রী ওয়াংয়ের এই যুক্তি মেনে নেয় বেইজিংয়ের ফাংশান জেলার আদালত। সাংসারিক জীবনের প্রতি মাসে দুই হাজার ইউয়ান করে দেওয়ার পাশাপাশি এককালীন আরও ৫০ হাজার ইউয়ান দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

ঘরের কাজের জন্য টাকা দিতে হবে স্ত্রীকে

প্রকাশের সময় : ০১:৫২:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ড.সারিয়া সুলতানা ## ঘরোয়া কাজের জন্য স্ত্রীকে টাকা পরিশোধ করার নির্দেশ দিয়েছেন চীনের একটি আদালত। সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী বেইজিংয়ের একটি ডিভোর্স আদালত স্বামীকে টাকা পরিশোধের বিষয়ে নজিরবিহীন এই রায় দেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, পাঁচ বছর বিনা বেতনে ঘরের কাজ করার ক্ষতিপূরণ হিসেবে চীনা মুদ্রায় ওই নারীকে ৫০ হাজার ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৬ লাখ ৫৩ হাজার টাকা) পরিশোধ করার আদেশ দেন আদালত।

আদালতের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালে বিয়ে করেন চেন এবং ওয়াং। পাঁচ বছর সংসার করার পর ২০২০ সালে স্ত্রী ওয়াংকে তালাক দেন স্বামী চেন। তবে তালাকের বিষয়টি মানতে পারছিলেন না স্ত্রী। শেষ পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দাবি করেন তিনি।

স্ত্রীর দাবি, পাঁচ বছরের সংসার জীবনে ঘরের কোনো কাজে তাকে সাহায্য করেননি স্বামী চেন। এমনকি বাচ্চার দেখাশোনার কাজেও স্ত্রীর হাতে হাত মেলাননি তিনি। সন্তান লালন-পালনসহ সংসারের সব কাজ তিনি একাই করেছেন। আর তাই ক্ষতিপূরণ পাওয়া তার অধিকার।

স্ত্রী ওয়াংয়ের এই যুক্তি মেনে নেয় বেইজিংয়ের ফাংশান জেলার আদালত। সাংসারিক জীবনের প্রতি মাসে দুই হাজার ইউয়ান করে দেওয়ার পাশাপাশি এককালীন আরও ৫০ হাজার ইউয়ান দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক।