শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জনগণের টাকা ফেরত না দিলে কারাগারে দেব: খেলাপিদের হাইকোর্ট

সাজেদুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধি ## আপনারা টাকা তুলে নিয়েছেন। আর যারা পিপলস লিজিংয়ে টাকা জমা রেখেছিল, তারা না খেয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। পিপলস লিজিংয়ের টাকা জনগণের টাকা, চোর-বাটপারদের টাকা না। আগে টাকা দিন, পরে কথা বলুন। তা না হলে ভেতরে (কারাগারে) ঢুকানো হবে।’

ঋণখেলাপি ও তাদের আইনজীবীদের উদ্দেশ্য করে হাইকোর্টের কোম্পানি বেঞ্চের বিচারক মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ ঋণখেলাপিদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এসব কথা বলেন।

এ সময় শুনানি করেন আইনজীবী ড. সাঈদা নাসরিন। তার মক্কেলের কাছে পিপলস লিজিং কত টাকা পাবে জানতে চাইলে আদালতকে তিনি বলেন, তার কাছে ৩৮৪ কোটি টাকা পিপলস লিজিংয়ের পাওনা রয়েছে। এ সময় আদালত বলেন, ‘আগে টাকা দেবেন, তারপর ইনস্টলমেন্টের আবেদন করবেন। না হলে কারাগারে ঢুকাব। এটা জনগণের জমানো টাকা। চোর-বাটপারদের টাকা না।’

আদালত আরও বলেন, ‘আমরা দেখছি হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে এ কোম্পানিকে বাঁচিয়ে রেখে টাকা উদ্ধার করা যায় কিনা। আমানতকারীরা আজকে খেয়ে না খেয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন। আমরা চেষ্টা করছি ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধারের।’

আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস থেকে ৫ লাখ টাকা এবং তার বেশি ঋণ নিয়ে খেলাপি হওয়া ১৩৭ জনের সশরীরে আদালতে হাজিরার দ্বিতীয় দিন ছিল আজ।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

রাজনীতিতে নাম লেখাতে যাচ্ছেন সানিয়া মির্জা

জনগণের টাকা ফেরত না দিলে কারাগারে দেব: খেলাপিদের হাইকোর্ট

প্রকাশের সময় : ০৫:০৪:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১
সাজেদুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধি ## আপনারা টাকা তুলে নিয়েছেন। আর যারা পিপলস লিজিংয়ে টাকা জমা রেখেছিল, তারা না খেয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। পিপলস লিজিংয়ের টাকা জনগণের টাকা, চোর-বাটপারদের টাকা না। আগে টাকা দিন, পরে কথা বলুন। তা না হলে ভেতরে (কারাগারে) ঢুকানো হবে।’

ঋণখেলাপি ও তাদের আইনজীবীদের উদ্দেশ্য করে হাইকোর্টের কোম্পানি বেঞ্চের বিচারক মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ ঋণখেলাপিদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এসব কথা বলেন।

এ সময় শুনানি করেন আইনজীবী ড. সাঈদা নাসরিন। তার মক্কেলের কাছে পিপলস লিজিং কত টাকা পাবে জানতে চাইলে আদালতকে তিনি বলেন, তার কাছে ৩৮৪ কোটি টাকা পিপলস লিজিংয়ের পাওনা রয়েছে। এ সময় আদালত বলেন, ‘আগে টাকা দেবেন, তারপর ইনস্টলমেন্টের আবেদন করবেন। না হলে কারাগারে ঢুকাব। এটা জনগণের জমানো টাকা। চোর-বাটপারদের টাকা না।’

আদালত আরও বলেন, ‘আমরা দেখছি হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে এ কোম্পানিকে বাঁচিয়ে রেখে টাকা উদ্ধার করা যায় কিনা। আমানতকারীরা আজকে খেয়ে না খেয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন। আমরা চেষ্টা করছি ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধারের।’

আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস থেকে ৫ লাখ টাকা এবং তার বেশি ঋণ নিয়ে খেলাপি হওয়া ১৩৭ জনের সশরীরে আদালতে হাজিরার দ্বিতীয় দিন ছিল আজ।