শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চীনে ‘ভাইরাস পাসপোর্ট’ কর্মসূচি চালু

ইমরান হোসেন আশা ## করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ভিন্ন একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে চীন। দেশটিতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে যাত্রীদের স্বাস্থ্যসনদ পরিদর্শনের ক্ষেত্রে ‘ভাইরাস পাসপোর্ট’ কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। বলা হচ্ছে সংক্রমণ রোধে বিশ্বে প্রথম এমন পদক্ষেপ নিল চীন।

মঙ্গলবার (৯ মার্চ) বার্তা সংস্থা এএফপির একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দেশটিতে সোমবার (৮ মার্চ) এই ডিজিটাল স্বাস্থ্যসনদ চালু করা হয়েছে। এই সনদে যাত্রীর টিকাদানের তথ্য ও করোনা পরীক্ষার ফলাফলের তথ্য থাকবে। নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উইচ্যাটের মাধ্যমে চীনা নাগরিকরা এই সনদ পাবেন।

কেউ চাইলে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসনদ ছাড়াও কাগজে ছাপানো স্বাস্থ্যসনদও সংগ্রহ করতে পারবেন। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এটিই এখন পর্যন্ত বিশ্বের প্রথম ‘ভাইরাস পাসপোর্ট’।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং আন্তসীমান্ত ভ্রমণের সহায়তায় এই সনদ চালু করা হলো।’ যদিও এর আগে দেশটির নাগরিকরা ভ্রমণের সময় আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যসনদই দেখিয়ে আসছিলেন। তবে সেটি বাধ্যতামূলক ছিল না।

চীনের সরকারি গণমাধ্যম সিনহুয়া সোমবার জানায়, ডিজিটাল এই স্বাস্থ্যসনদে একটি কিউআর কোড যুক্ত আছে। এর মাধ্যমে কোন দেশ চাইলে ভ্রমণকারীর তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে। ইতোমধ্যে দেশটির অভ্যন্তরীণ যাতায়াত এবং জনসমাগমস্থলে প্রবেশের জন্য উইচ্যাটের মাধ্যমে কিউআর কোডের শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে।

এ ধরণের উদ্যোগে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে অনেকের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তারা আশঙ্কা করছে এর মাধ্যমে সরকার তাদের নজরদারি কার্যক্রম চালাতে পারে। এটির মাধ্যমে যাত্রীর অবস্থান শনাক্ত করে যদি দেখা যায়, তিনি কোনো আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে ছিলেন না বা ভাইরাসের হটস্পট এলাকা ভ্রমণ করেননি, তাহলে সেক্ষেত্রে ‘সবুজ’ কোড আসবে, যার মানে এই যাত্রী সুস্থ।

চীন ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনসহ আরও কয়েকটি দেশ এ ধরণের ডিজিটাল পাসপোর্ট চালুর কথা ভাবছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) টিকা গ্রহণকারীদের জন্য একই ধরনের ‘গ্রিন পাস’ নিয়ে কাজ করছে, যা দিয়ে জোটভুক্ত দেশগুলোর নাগরিকেরা সদস্য দেশগুলোর এক দেশ থেকে আরেক দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

চীনে ‘ভাইরাস পাসপোর্ট’ কর্মসূচি চালু

প্রকাশের সময় : ১১:৪৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ মার্চ ২০২১
ইমরান হোসেন আশা ## করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ভিন্ন একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে চীন। দেশটিতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে যাত্রীদের স্বাস্থ্যসনদ পরিদর্শনের ক্ষেত্রে ‘ভাইরাস পাসপোর্ট’ কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। বলা হচ্ছে সংক্রমণ রোধে বিশ্বে প্রথম এমন পদক্ষেপ নিল চীন।

মঙ্গলবার (৯ মার্চ) বার্তা সংস্থা এএফপির একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দেশটিতে সোমবার (৮ মার্চ) এই ডিজিটাল স্বাস্থ্যসনদ চালু করা হয়েছে। এই সনদে যাত্রীর টিকাদানের তথ্য ও করোনা পরীক্ষার ফলাফলের তথ্য থাকবে। নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উইচ্যাটের মাধ্যমে চীনা নাগরিকরা এই সনদ পাবেন।

কেউ চাইলে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসনদ ছাড়াও কাগজে ছাপানো স্বাস্থ্যসনদও সংগ্রহ করতে পারবেন। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এটিই এখন পর্যন্ত বিশ্বের প্রথম ‘ভাইরাস পাসপোর্ট’।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং আন্তসীমান্ত ভ্রমণের সহায়তায় এই সনদ চালু করা হলো।’ যদিও এর আগে দেশটির নাগরিকরা ভ্রমণের সময় আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যসনদই দেখিয়ে আসছিলেন। তবে সেটি বাধ্যতামূলক ছিল না।

চীনের সরকারি গণমাধ্যম সিনহুয়া সোমবার জানায়, ডিজিটাল এই স্বাস্থ্যসনদে একটি কিউআর কোড যুক্ত আছে। এর মাধ্যমে কোন দেশ চাইলে ভ্রমণকারীর তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে। ইতোমধ্যে দেশটির অভ্যন্তরীণ যাতায়াত এবং জনসমাগমস্থলে প্রবেশের জন্য উইচ্যাটের মাধ্যমে কিউআর কোডের শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে।

এ ধরণের উদ্যোগে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে অনেকের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তারা আশঙ্কা করছে এর মাধ্যমে সরকার তাদের নজরদারি কার্যক্রম চালাতে পারে। এটির মাধ্যমে যাত্রীর অবস্থান শনাক্ত করে যদি দেখা যায়, তিনি কোনো আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে ছিলেন না বা ভাইরাসের হটস্পট এলাকা ভ্রমণ করেননি, তাহলে সেক্ষেত্রে ‘সবুজ’ কোড আসবে, যার মানে এই যাত্রী সুস্থ।

চীন ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনসহ আরও কয়েকটি দেশ এ ধরণের ডিজিটাল পাসপোর্ট চালুর কথা ভাবছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) টিকা গ্রহণকারীদের জন্য একই ধরনের ‘গ্রিন পাস’ নিয়ে কাজ করছে, যা দিয়ে জোটভুক্ত দেশগুলোর নাগরিকেরা সদস্য দেশগুলোর এক দেশ থেকে আরেক দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন।