মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারত-প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের ভারসাম্য রক্ষায় চার দেশের বিবৃতি

আব্দুল লতিফ ## আন্তর্জাতিক আইন মেনে ভারত-প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের শান্তি ও ভারসাম্য রক্ষা করা হবে বলে এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া। ইন্দো-প্যাসিফিকের সুস্থিতি রক্ষা করতে প্রথমবারের মতো জোটবদ্ধ হল চতুর্দেশীয় অক্ষ তথা কোয়াডের এই চার দেশ।

মূলত চীনের বিরুদ্ধে শক্তি বাড়ানোর লক্ষ্যে একত্রিত হয়েছে শক্তিশালী এই চার দেশ। চার দেশের নেতা বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, ইন্দো-প্যাসিফিক শুধু নয় বর্তমান বিশ্ব যেন কয়েকটি রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণাধীন না হয়ে যায় সেদিকেও নজর দেবে কোয়াড। খবর দ্য ওয়ালের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর জো বাইডেনের এটিই প্রথম বহুপাক্ষিক বৈঠক। বৈঠকে বাইডেন বলেন, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পদক্ষেপ ভবিষ্যতমুখী। এই অঞ্চলের ভারসাম্য বজায় রাখতে হলে সব দেশকেই উন্মুক্ত ও উদার ভাবনা রাখতে হবে। কোনো একদেশের আধিপত্য নয়, বরং সব দেশের মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে। কোয়াডের লক্ষ্য হবে সেদিকেই নজর দেওয়া।

ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ভৌগোলিক, অর্থনৈতিক এবং কৌশলগত পরিধি বাড়ানোর জন্য সক্রিয় হবে এই চার দেশ। এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে চীন-বিরোধী আঞ্চলিক অক্ষ জোরদার করতে আগে থেকেই তৎপর ভারত। কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, পুরোদস্তুর এক সমুদ্রযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। যার ভূকৌশলগত কেন্দ্রে অবস্থানের কারণে ভারতের উপর চাপ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই চীনের পাল্টা প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার মতো মহাশক্তিধর রাষ্ট্রের সঙ্গে জোট বেঁধেছে ভারত।

অন্যদিকে, ফ্রান্স, রাশিয়া ও পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোকেও পৃথকভাবে নিজেদের সঙ্গে রাখতে চাইছে ভারত। শুধু মাত্র কোয়াড নয়, প্রয়োজনে সমুদ্রপথে চীনের মোকাবিলার জন্য পৃথক জোট গঠনও লক্ষ্য ভারতের।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

জনপ্রিয়

ভারত-প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের ভারসাম্য রক্ষায় চার দেশের বিবৃতি

প্রকাশের সময় : ০৫:২০:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ মার্চ ২০২১
আব্দুল লতিফ ## আন্তর্জাতিক আইন মেনে ভারত-প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের শান্তি ও ভারসাম্য রক্ষা করা হবে বলে এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া। ইন্দো-প্যাসিফিকের সুস্থিতি রক্ষা করতে প্রথমবারের মতো জোটবদ্ধ হল চতুর্দেশীয় অক্ষ তথা কোয়াডের এই চার দেশ।

মূলত চীনের বিরুদ্ধে শক্তি বাড়ানোর লক্ষ্যে একত্রিত হয়েছে শক্তিশালী এই চার দেশ। চার দেশের নেতা বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, ইন্দো-প্যাসিফিক শুধু নয় বর্তমান বিশ্ব যেন কয়েকটি রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণাধীন না হয়ে যায় সেদিকেও নজর দেবে কোয়াড। খবর দ্য ওয়ালের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর জো বাইডেনের এটিই প্রথম বহুপাক্ষিক বৈঠক। বৈঠকে বাইডেন বলেন, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পদক্ষেপ ভবিষ্যতমুখী। এই অঞ্চলের ভারসাম্য বজায় রাখতে হলে সব দেশকেই উন্মুক্ত ও উদার ভাবনা রাখতে হবে। কোনো একদেশের আধিপত্য নয়, বরং সব দেশের মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে। কোয়াডের লক্ষ্য হবে সেদিকেই নজর দেওয়া।

ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ভৌগোলিক, অর্থনৈতিক এবং কৌশলগত পরিধি বাড়ানোর জন্য সক্রিয় হবে এই চার দেশ। এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে চীন-বিরোধী আঞ্চলিক অক্ষ জোরদার করতে আগে থেকেই তৎপর ভারত। কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, পুরোদস্তুর এক সমুদ্রযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। যার ভূকৌশলগত কেন্দ্রে অবস্থানের কারণে ভারতের উপর চাপ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই চীনের পাল্টা প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার মতো মহাশক্তিধর রাষ্ট্রের সঙ্গে জোট বেঁধেছে ভারত।

অন্যদিকে, ফ্রান্স, রাশিয়া ও পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোকেও পৃথকভাবে নিজেদের সঙ্গে রাখতে চাইছে ভারত। শুধু মাত্র কোয়াড নয়, প্রয়োজনে সমুদ্রপথে চীনের মোকাবিলার জন্য পৃথক জোট গঠনও লক্ষ্য ভারতের।