বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করি না আমরা: আয়াতুল্লাহ খামেনি

বাবলুর রহমান ## ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করি না আমরা। সাম্রাজ্যবাদী শক্তির নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে ধরে নিয়ে দেশের দায়িত্বশীলদের কাজ করতে হবে।

ফার্সি নববর্ষ নওরোজ উপলক্ষ্যে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি রোববার এসব কথা বলেন।

আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেন, দেশের অর্থনীতিকে কোনো অবস্থায় সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ওপর নির্ভরশীল করে ফেলা যাবে না।

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় এ নেতা তার ভাষণে ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার তীব্র নিন্দা জানিয়ে একে ‘ভয়াবহ অপরাধ’ বলে উল্লেখ করেন।

তিনি আরও বলেন, যে দেশটি পরমাণু বোমা হামলা চালিয়ে একটি দেশের দুই লাখ ২০ হাজার মানুষকে হত্যা করতে পারে সে দেশের কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ অপ্রত্যাশিত নয়।

তবে এই নিষেধাজ্ঞা আমাদের জন্য অনেক ক্ষেত্রে সুযোগ সৃষ্টি করেছে। আমাদের যুবসমাজ নতুন নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন এবং অনেক পণ্য দেশেই তৈরি করে ইরানকে পরনির্ভরশীলতা থেকে মুক্তি দিয়েছেন। এটি আমাদের জন্য ছিল একটি মূল্যবান শিক্ষা।

নিষেধাজ্ঞার মোকাবিলায় আমাদের দু’টি করণীয় রয়েছে। প্রথমত, আমরা নিষেধাজ্ঞা আরোপকারীর কাছে গিয়ে অনুরোধ করতে পারি যে, আপনারা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিন। তখন সে আমাদের ওপর সাম্রাজ্যবাদী দাবি-দাওয়া চাপিয়ে দেবে। এই পথটি অপমানজনক ও অবমাননাকর।

দ্বিতীয় পথ হচ্ছে— নিষেধাজ্ঞাকে পাশ কাটিয়ে সব অর্থনৈতিক প্রয়োজন দেশের ভেতরেই মেটানোর চেষ্টা করা। ইরানি জনগণ দ্বিতীয় পথ বেছে নিয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করি না আমরা: আয়াতুল্লাহ খামেনি

প্রকাশের সময় : ০৪:৫৪:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মার্চ ২০২১

বাবলুর রহমান ## ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করি না আমরা। সাম্রাজ্যবাদী শক্তির নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে ধরে নিয়ে দেশের দায়িত্বশীলদের কাজ করতে হবে।

ফার্সি নববর্ষ নওরোজ উপলক্ষ্যে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি রোববার এসব কথা বলেন।

আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেন, দেশের অর্থনীতিকে কোনো অবস্থায় সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ওপর নির্ভরশীল করে ফেলা যাবে না।

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় এ নেতা তার ভাষণে ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার তীব্র নিন্দা জানিয়ে একে ‘ভয়াবহ অপরাধ’ বলে উল্লেখ করেন।

তিনি আরও বলেন, যে দেশটি পরমাণু বোমা হামলা চালিয়ে একটি দেশের দুই লাখ ২০ হাজার মানুষকে হত্যা করতে পারে সে দেশের কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ অপ্রত্যাশিত নয়।

তবে এই নিষেধাজ্ঞা আমাদের জন্য অনেক ক্ষেত্রে সুযোগ সৃষ্টি করেছে। আমাদের যুবসমাজ নতুন নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন এবং অনেক পণ্য দেশেই তৈরি করে ইরানকে পরনির্ভরশীলতা থেকে মুক্তি দিয়েছেন। এটি আমাদের জন্য ছিল একটি মূল্যবান শিক্ষা।

নিষেধাজ্ঞার মোকাবিলায় আমাদের দু’টি করণীয় রয়েছে। প্রথমত, আমরা নিষেধাজ্ঞা আরোপকারীর কাছে গিয়ে অনুরোধ করতে পারি যে, আপনারা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিন। তখন সে আমাদের ওপর সাম্রাজ্যবাদী দাবি-দাওয়া চাপিয়ে দেবে। এই পথটি অপমানজনক ও অবমাননাকর।

দ্বিতীয় পথ হচ্ছে— নিষেধাজ্ঞাকে পাশ কাটিয়ে সব অর্থনৈতিক প্রয়োজন দেশের ভেতরেই মেটানোর চেষ্টা করা। ইরানি জনগণ দ্বিতীয় পথ বেছে নিয়েছে।